কৃতজ্ঞতাভরা হৃদয়ে দিলীপ কুমারের চিঠিগুলো এখনো পড়েন স্ত্রী সায়রা
Published: 7th, July 2025 GMT
২০২১ সালের ৭ জুলাই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার। তার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে স্ত্রী সায়রা বানু একটি লেখা শেয়ার করেছেন যা প্রমাণ করে, মৃত্যুর পরেও তাদের বন্ধন কতোটা সুদৃঢ়। সায়রা স্বামীকে ‘প্রজন্মের পথপ্রদর্শক নক্ষত্র’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
সোমবার ইনস্টাগ্রামে দিলীপ কুমারের বিখ্যাত চলচ্চিত্র এবং তরুণ বয়সের ছবি সম্বলিত একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সায়রা বানু।
ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘সাহেবের অভাব কখনোই দূর হতে পারে না.
এরপর তিনি লিখেছেন, ‘তাদের ভালোবাসা এবং বার্তাগুলো প্রার্থনার মতো আসে, যা উষ্ণতায় মোড়ানো। আমি কৃতজ্ঞতাভরা হৃদয়ে প্রতিটি চিঠি পাঠ করি এটা ভেবে যে, পৃথিবী এখনও সেই মানুষটির জন্য জায়গা রেখেছে যেখানে সাহেব ছিলেন এবং চিরকাল থাকবেন।’
এই প্রবীণ অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ‘দেখুন, সাহেব কেবল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দ ছিলেন না, তিনি ছিলেন পুরো এক যুগ। ছয় প্রজন্মের অভিনেতাদের অনুপ্রেরণা এবং ভবিষ্যতের জন্য পথপ্রদর্শক তারকা তিনি। তিনি ছিলেন মহান রাষ্ট্রনায়ক পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু, অটল বিহারী বাজপেয়ী, নরসিংহ রাও সাহেবের সেরা সঙ্গী। এছাড়া তার প্রিয় বন্ধুদের মধ্যে ছিলেন কিছু তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন আইনজীবী, অর্থনীতিবিদ, শিল্পপতি। সাধারণ মানুষের হৃদয় থেকে তাকে মুছে ফেলা যায়নি।’
এরপর তিনি লিখেছেন, “তিনি খেলাধুলা ভালোবাসতেন। ক্রিকেট এবং ফুটবল খেলতেন এমনভাবে যেন তিনি মাঠে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি প্রায়শই বলতেন, ‘যদি ভাগ্য বলে কিছু না থাকত, তাহলে আমি একজন জাতীয় স্তরের ক্রীড়াবিদ হতাম।’ কিন্তু নিয়তির নিজস্ব পরিকল্পনা ছিল এবং বিশ্বকে সর্বকালের সেরা অভিনেতা উপহার দিয়েছিল। তবে এসবের বাইরে তিনি ছিলেন একজন কোমল, চমৎকার এবং মজার একজন মানুষ।’
বলা প্রয়োজন, ১৯৬৬ সালে বিয়ে করেন দিলীপ ও সায়রা। সায়রা দিলীপ কুমারের থেকে বয়সে প্রায় ২২ বছরের ছোট। তাদের দাম্পত্য সম্পর্কের বয়স ছিল ৫৪ বছর। শেষ কয়েক বছরে নিজেকে পুরোপুরি সায়রার হাতে সঁপে দিয়েছিলেন কিংবদন্তী এই অভিনেতা। এই দম্পতির কোনও সন্তান নেই। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দিলীপ কুমারের সাথে ছিলেন সায়রা বানু।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রেকর্ড গড়ে মিরাজকে কৃতজ্ঞতা জানালেন তানভীর
তানজিম হাসান উইকেট নিয়েছিলেন শুরুতেই। তবে এরপর ৪৫ বলে ৬৯ রানের জুটিতে দারুণভাবে এগোচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। তাদের আশা যখন বাড়ছিল, তখনই আঘাত হানেন তানভীর ইসলাম। নিশান মাদুস্কাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন।
এরপর ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছেন তানভীর। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এখন বাংলাদেশের সেরা বোলিংটাও তাঁর। আরেক বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাকের রেকর্ড ভেঙেছেন তানভীর। ২০১৩ সালে পাল্লেকেলেতে ৬২ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন রাজ্জাক।
আরও পড়ুনরাজনীতিতে গিয়ে জীবনের সবচেয়ে বাজে কাজটা করেছিলেন জয়াসুরিয়া০৪ জুলাই ২০২৫ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তানভীর বলেছেন, ‘ভালো লাগছে, ঠিক জায়গায় বল করেছি। আগের ম্যাচের চেয়ে আজ ভালো উইকেট ছিল। অধিনায়কের প্রতি কৃতজ্ঞতা, যিনি ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাস দিয়েছেন।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৭৭ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই ওই ম্যাচের পর ভীষণ চাপে ছিল দল। ৫ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে তখনো মেহেদী হাসান মিরাজ জয়শূন্য। আজও বাংলাদেশ করতে পেরেছিল ২৪৮, পরে যদিও ১৬ রানের জয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে।
ওয়ানডেতে দ্বিতীয় ম্যাচেই ৫ উইকেট পেলেন তানভীর