যদি হাসিনার পতন না হতো, এই ডিসি-এসপিরাই গণভবনে প্রমোশনের জন্য লাইন ধরত: হাসনাত আবদুল্লাহ
Published: 7th, July 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘যদি হাসিনার পতন না হতো, তখন এই ডিসি-এসপিরাই গণভবনে প্রমোশনের জন্য লাইন ধরত। বাংলাদেশে যদি কেউ স্বৈরাচারের পক্ষে অবস্থান নেয়, এই বাংলাদেশে তার আর জায়গা হবে না।’ গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে রাজশাহী নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে বড় মসজিদের সামনে এক পথসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে নগরের রেলগেট এলাকায় ‘জুলাই পদযাত্রা’ শুরু করে জাতীয় নাগরিক পার্টি। পরে পদযাত্রাটি নিউমার্কেট, অলকার মোড়, গণকপাড়া, সাহেববাজার, আলুপট্টি হয়ে সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে বড় মসজিদের সামনে পথসভায় মিলিত হয়।
দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর সঞ্চালনায় পথসভায় আরও বক্তব্য দেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনীম জারা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক ইমরান ইমন, রাজশাহী মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী। পথসভা শেষে নগরের গণকপাড়া এলাকায় দলটির মহানগরের কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়।
হাসনাত আবদুল্লাহ প্রথমে জুলাই অভ্যুত্থানে সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সাংবাদিকদের ওপরও নজর রাখছি। এই সাংবাদিকেরাই জুলাই অভ্যুত্থানে আমাদেরকে সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল। প্রিয় রাজশাহীবাসী, বাংলার আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা দেখা যাচ্ছে। আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
বক্তব্যের একপর্যায়ে হাসনাত বসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়া নিয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদেরকে বলব, বসুন্ধরার সাংবাদিকেরা, খুনি হাসিনার পক্ষে এই বসুন্ধরার মিডিয়া কী বৈধতা উৎপাদন করেছে, আমরা ভুলে যাই নাই। এই বসুন্ধরা গ্রুপের সাংবাদিকেরা আবারও নগ্ন হয়ে অপরাধের বৈধতা উৎপাদনের লক্ষ্যে আবার নেমে পড়েছে। আবার আরেকটি এক-এগারো ঘটাতে তারা ষড়যন্ত্র করছে।’
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশেও হাসনাত আবদুল্লাহ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, ‘ডিসি, এসপিদের বলছি, আপনারা যে ভালো ব্যবহার করছেন। আমরা জানি, আপনারা চিপায় পড়ে আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছেন। যদি হাসিনার পতন না হতো, তখন এই ডিসি–এসপিরাই গণভবনে প্রমোশনের জন্য লাইন ধরত। যাঁরা প্রশাসনে আছেন, আপনারা ক্ষমতাপন্থী হবেন। আপনারা ভুল করছেন। আপনারা ভুলে যাবেন না, গত ১৬ বছরের ডিসি-এসপিদের কী পরিণতি হয়েছে। আপনারা ভুলে যাবেন না, এই দিন দিন না আরও দিন আছে। আমরা আপনাদের বলব না, আপনারা এনসিপিপন্থী হোন। আওয়ামী লীগপন্থী, রাজনীতিপন্থী হওয়ার কী পরিণতি.
রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সমালোচনা করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘রাজশাহীর এজেন্সিতে যাঁরা রয়েছেন, বাংলাদেশে যাঁরা গোয়েন্দা সংস্থায় রয়েছেন, তাঁরা জানেন না, বিদেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কী ষড়যন্ত্র হয়। তাঁরা জানেন না, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ঝুঁকিতে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়। তাঁরা যেটা করেন, তাঁরা ক্যান্টনমেন্টে বসে বসে রাজনৈতিক দল খোলেন। তাঁরা এই দলের বিরুদ্ধে আরেকটা দলকে লাগিয়ে দেন। তাঁরা এক রাজার বিরুদ্ধে আরেক রাজাকে লাগিয়ে দেন। আপনারা বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা। আমরা আপনাদেরও দেখছি।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য নগর র আপন র স গঠক
এছাড়াও পড়ুন:
বর্তমানে সময়ে একটি শক্তি এদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে : সজল
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেছেন, আমরা দীর্ঘ সাড়ে ১৫টি বছর ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি করে জয়লাভ করেছি।
আমাদের দল বিএনপি সব সময় মানুষের ভোটের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। আর এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওনের জন্য তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছি।
আমাদের নেতৃ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি নব্বইতে স্বৈরাচার এরশাদ বিলের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
আর এই ২০২৫ সালের নেতৃত্ব দিয়েছেন আমাদের নেতা তারেক রহমান। কারণ তার মার হাত ধরে স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছিল আর তার হাত ধরে ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশ হয়েছে।
দীর্ঘ সাড়ে পনেরোটি বছর তারেক রহমান সুদূর প্রবাস থেকেও আমাদেরকে নেতৃত্ব দিয়ে আন্দোলনকে সফল করেছিলেন। আমরা বিএনপি নেতাকর্মীরা জননেতা তারেক রহমানের নির্দেশও নাই আন্দোলন সংগ্রাম করেছি এর বাইরে কারো নির্দেশনায় না।
আমাদের নেতা তারেক রহমান এদেশের গণতন্ত্রপূর্ণ উদ্ধারে আন্দোলনের সংগ্রাম করেছে ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম করেছে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অন্তর্গত সদর থানা বিএনপির আওতাধীন ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম কার্যক্রম বিতরণ পূর্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা গুলো বলেন।
সোমবার (৭ জুলাই) বিকেল চারটায় খানপুর বরফকল মাঠে ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, বর্তমানে সময়ে একটি শক্তি এদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা যে ভোটের জন্য সাড়ে ১৫ বছর সংগ্রাম করলাম, সেই সংগ্রামকে ধ্বংস করার জন্য কিছু কিছু কুচক্রী মহল এ ভোটের পরিবেশ কে নষ্ট করতে চাচ্ছে।
সুতরাং আমাদেরকে সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। আমি বিশ্বাস করি শেখ হাসিনার মতন এত বড় একটি ফ্যাসিবাদী শক্তি যেহেতু বিএনপিকে ধ্বংস করতে পারে নাই আল্লাহর রহমতে এমন কোন শক্তি নাই যে বিএনপিকে ধ্বংস করতে পারে। ইনশাল্লাহ বিএনপির রাজপথে ছিল, রাজপথেই আছে।
তিনি আরও বলেন, যারা দলের ত্যাগী নেতাকর্মী তাদেরকে বিএনপি সদস্য করা হবে। তাদেরকেই মূল্যায়ন করা হবে। আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন মিছিলে যে শেষ কর্মী টা ছিল তাদেরকেই মূল্যায়ন করতে হবে।
সুতরাং আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করে এই দল করতে গিয়ে যারা হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছে নিজের অস্তিত্বকে ভুলে যায় নাই দলকে ধরে রেখেছে তাদেরকে মূল্যায়ন করা হবে। তাদেরকে বিএনপি'র ফরম দেয়া হবে তারাই সদস্য হবে ।
কোনো ফ্যাসিবাদীর দোসর ও শক্তির লোককে বিএনপির সদস্য ফরম দেওয়া হবে না। আর সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে তারা যেন কোন রকমের সদস্য হতে না পারে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ১১নং ওয়ার্ড বিএনপি'র সভাপতি হাবিবুর রহমান মিঠুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন রিপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডাঃ মজিবুর রহমান, মাহবুব উল্লাহ তপন, মহানগর মহিলাদলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, ১১নং ওয়ার্ড বিএনপি সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির হোসেন মুকুল, সহ- সভাপতি মিজানুর রহমান শামীম, সহ- সভাপতি মীর ইয়ামিন আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম দিপু, কোষাধ্যক্ষ মাসুদ রেজা, প্রচার সম্পাদক সেলিম, সহ- প্রচার সম্পাদক মিঠুন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফিজুর রহমান সুমন, মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ইছান উদ্দিন মাহমুদ ইচ্ছা, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম আপন, ১১নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি সারোয়ার মুজাহিদ মুকুল, বিএনপি নেতা তোফাজ্জল হোসেন, ১১নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল মোল্লা, ১১নং ওয়ার্ড কৃষক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ১১নং ওয়ার্ড শ্রমিকদলের সভাপতি আবু হোসেন, সোহেল, মিজানুর রহমান মিজু, সুমন, রিপন, পলাশ, মানিক, রতন, রবিউল ইসলাম, নান্টু, আরিফুল ইসলাম নয়ন, রতনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।