বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, বিশেষ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) নিয়মিত ক্লাস, ল্যাব ও পরীক্ষার চাপে শিক্ষার্থীদের জীবন ক্রমে বিষণ্ন হয়ে উঠছে। পারিবারিক ও আর্থিক টানাপোড়েন, আবাসন সংকট, পরীক্ষার অপ্রত্যাশিত ফলাফল এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতা শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে দুর্বল করে তোলে। বিভিন্ন মানসিক সমস্যা থেকে আত্মহত্যার মতো চরম পরিণতির দিকেও ধাবিত করে।

এ বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চার মাসে চারজন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার মতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মানসিক পরামর্শ কেন্দ্র রয়েছে, কিন্তু বাস্তবতা হলো সেখানে প্রয়োজনের তুলনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সংখ্যা খুবই কম। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কার্যকর অবকাঠামো নেই।

ফলে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট কোনো হাসপাতালে বা চিকিৎসকের চেম্বারে যেতে হয়, যা শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। এ ছাড়া সমাজের কুসংস্কার এবং নেতিবাচক ধারণা শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বিধা সৃষ্টি করে, যার ফলে তারা তাদের সমস্যাগুলো সরাসরি বলতে চায় না।

অনেকেই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করতে অস্বস্তি বোধ করে, আবার কেউ কেউ এ বিষয়ে খুব একটা সচেতন নয়। এই প্রেক্ষাপটে সময় এসেছে মানসিক স্বাস্থ্যকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে দেখার। শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও কার্যকর ও সহানুভূতিশীল পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

মোসা.

মিশকাতুল ইসলাম

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পলিটিশিয়ান, ইঞ্জিনিয়ার বা আর্কিটেক্টের চেয়ে দেশ অনেক বড়

ছবি: নাসির আলী মামুন, ফটোজিয়াম

সম্পর্কিত নিবন্ধ