জলবায়ু ট্রাস্টে স্বচ্ছতা ফেরানোর উদ্যোগ, নেওয়া হচ্ছে ১০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা: পরিবেশ উপদেষ্টা
Published: 7th, July 2025 GMT
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টকে (বিসিসিটি) আরও দক্ষ, স্বয়ংসম্পূর্ণ ও সময়োপযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে ১০ বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা (স্ট্রাটেজিক প্ল্যান) প্রণয়ন করা হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে এই পরিকল্পনা প্রণয়নসহ আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সোমবার রাজধানীর মহাখালীতে বিসিসিটি কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইন, ২০১০’ সংশোধন ও নির্দেশিকা হালনাগাদ করে সময়োপযোগী করা হবে। পাশাপাশি সরকারি জমি বরাদ্দ পেলে বিসিসিটির জন্য নিজস্ব ভবন নির্মাণ করা হবে, যা সংস্থার কর্মকাণ্ডে স্থায়িত্ব ও গতি আনবে।
উপদেষ্টা জানান, ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণা প্রকল্পগুলোর পেটেন্ট অধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রকল্প কার্যক্রমে রিয়েল টাইম ডিজিটাল মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
বিসিসিটির জনবল দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জনবলকে আরও কার্যকর ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট উপদ ষ ট জলব য়
এছাড়াও পড়ুন:
সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেস শুরু ১৯ সেপ্টেম্বর
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ত্রয়োদশ কংগ্রেস (কেন্দ্রীয় সম্মেলন) আগামী ১৯ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যেই দলের সব শাখা, উপজেলা ও জেলা সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে। গত শুক্র ও শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির দু'দিনব্যাপী সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সভার সিদ্ধান্তগুলো জানানো হয়।
সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে সভায় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, করণীয় ও সরকারের সংস্কারবিষয়ক আলোচনা উত্থাপন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক লুনা নূর। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দলের প্রেসিডিয়াম, কেন্দ্রীয় কমিটি ও কন্ট্রোল কমিশনের সদস্য ও সংগঠকরা।
সভায় সারাদেশে অব্যাহত মব-সন্ত্রাস, খুন-ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এবং এসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জননিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে বিদ্যমান সংকট উত্তরণে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা এবং গণঅভ্যুত্থানে সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের বিচার দৃশ্যমান করার দাবি জানানো হয়।
সভায় চট্টগ্রাম বন্দর লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসাসহ দেশকে সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী শক্তির স্বার্থরক্ষার ভূমিকা নেওয়ার সরকারি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি ও ১৮ জুলাই ‘শহীদ রেজভী দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।