পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন, দুই যুবকের কারাদণ্ড
Published: 7th, July 2025 GMT
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলনের অপরাধে দুই যুবককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই অপরাধে আরো দুজনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
কারাদণ্ড পেয়েছেন বিপ্লব হোসেন (৩২) ও রিপন হোসেন (৩০)। তারা শিলাইদহের বাসিন্দা। অর্থদণ্ড পেয়েছেন মো. জিহাদ ও সেলিম রেজা।
রবিবার (৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের মাজগ্রাম ও কল্যাণপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে জেল-জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার। আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন ভূমি কার্যালয়ের নাজির শহিদুল ইসলাম ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের মাঝগ্রাম ও কল্যাণপুর এলাকায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিল একটি চক্র। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় প্রশাসন। এ সময় দুজনকে কারাদণ্ড ও দুজনকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
কুমারখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার বলেছেন, “পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন করার অপরাধে দুজনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অপর দুজনকে এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
ঢাকা/কাঞ্চন/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ জনক উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শুনতে পাচ্ছি, ডিসি-এসপির কার্যালয় অনেক দলের অফিসে পরিণত হচ্ছে: হাসনাত আবদুল্লাহ
জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘এনসিপিতে যোগ দিতে চাইলে নাকি ভয় দেখানো হয়। এনসিপির প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা ইউনিটের নেতাকর্মীদের জন্য আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত। আমাদেরকে জানাবেন, শুধু ঢাকা থেকে আসতে যতটুকু সময় মাত্র। আমরা শুনতে পাচ্ছি, ডিসি-এসপির কার্যালয়গুলো নাকি অনেক দলের অফিসে পরিণত হচ্ছে। আমরা আপনাদেরকে বলছি, কোনো রাজনৈতিক দলের যখন পতন শুরু হয় তখন আপনাদের কেউ বাঁচাতে আসবে না। আপনারা বেনজির হইয়েন না, আপনারা ডিবির হারুন হইয়েন না। কেননা, আবাবিল পাখির মত একজন হাসনাত অথবা একজন সারজিস আলম আবারও রাস্তায় নেমে আসবে। ডিসি এবং এসপিদের কল্যাণের জন্য বলব, আপনারা বাংলাদেশপন্থি ও জনগণপন্থি হন। কারণ দিনশেষে ক্ষমতার উৎস হচ্ছে জনতা।’
আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরে পথসভা ও পদযাত্রায় বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘সাধারণ মানুষই পরবর্তী নেতৃত্ব নির্ধারণ করবে। আমরা বিশ্বাস করি, হাসিনা মাহিনদের টাকা দিয়ে কিনতে পারেনি। মাহিনদের হাতে যতদিন থাকবে দেশ, ততদিন নিরাপদ থাকবে বাংলাদেশ।’
এ সময় সারজিস আলম বলেন, ‘যখন কেউ আন্দোলন করার বা কমিটিতে নাম দেওয়ার সাহস পাচ্ছিল না তখন মাহিন এগিয়ে এসেছিল।’
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শেখ হাসিনার সময় যে ভয়ের ইতিহাস তৈরি হয়েছিল সেখান থেকেই আমাদের এই ইতিহাস তৈরি হয়েছে। যারা পুলিশের বুলেটের সামনে থেকে ফিরে এসেছে তারা এসব আর ভয় পান না। আমাদের বাধা দিয়ে আটকানো যাবে না। সিরাজগঞ্জ গণঅভ্যুত্থানে যেভাবে পথ দেখিয়েছিল, আগামীতেও সেভাবে পথ দেখাতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, গণঅভ্যুত্থানের পরে নিরপেক্ষ প্রশাসন চাই, বিচার ব্যবস্থা চাই। আমরা আগে দেখতাম তারা একটা দলের হয়ে কাজ করত, আমরা চাই না এখনও তারা সেটা করুক। বাংলাদেশে দেখেছি, আয়না ঘর থেকে শুরু করে কত কিছু করা হয়েছে। তাহলে আমরা বিচার ও সংস্কার ছাড়া কীভাবে নির্বাচনের দিকে যাব। বিচার না হলে কীভাবে আমরা শহীদ ভাই-বোনদের পরিবারের দিকে তাকাব।’ জুলাই পদযাত্রা এগিয়ে যাবে ও দেশের মানুষের সঙ্গে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পদযাত্রায় জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ছাড়াও মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।