জুলাই গণঅভ্যুত্থান বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। আগামী ১৫ জুলাই থেকে শুরু হয়ে কর্মসূচি চলবে ৩০ জুলাই পর্যন্ত। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘রাষ্ট্রীয় নিপীড়নবিরোধী দিবস’ পালন করবে ছাত্র সংগঠনটি। 

গত বছরের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনা স্মরণে সংগঠনের পক্ষ থেকে দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সোমবার বিকেলে ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। 

অন্যান্য কর্মসূচিগুলো হলো- ১৬ জুলাই আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ অভ্যুত্থানের সকল শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও প্রদীপ প্রজ্বলন করা হবে। ১৮ জুলাই ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর শাহবাগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ২৬ জুলাই সাংস্কৃতিক কর্মী ও বামপন্থীদের ‘কারফিউ ভঙ্গ দিবস’ পালন উপলক্ষে সারাদেশে জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, মব সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রোধে সভা-সমাবেশ-মিছিল করা হবে। সর্বশেষ ৩০ জুলাই কেন্দ্রীয়ভাবে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি: ছাত্র জনতার আকাঙ্ক্ষার পথে হাঁটছে কি বাংলাদেশ?’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়া বিবৃতিতে মাসব্যাপী সারাদেশে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও এলাকায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আলোকচিত্র প্রদর্শনী, ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী, দেয়াল পত্রিকা, শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করতে সংগঠনের সংশ্লিষ্ট শাখাকে অবহিত করা হয়। বিশেষ করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, সাভার, ময়মনসিংহ, রংপুর, বগুড়া, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, বরিশাল, সিলেট, মৌলভীবাজার, কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম ইত্যাদি জেলায় অবশ্যই বিভিন্ন শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ কর্মসূচি পালন করতে বলা হয়।

পাশাপাশি জুলাইয়ের গান, কবিতা, প্রবন্ধ, শর্ট ফিল্ম– এই চার ক্যাটাগরিতে সারাদেশে প্রতিযোগিতার আয়োজন করাসহ সংগৃহীত-নির্বাচিত গান, কবিতা, প্রবন্ধ নিয়ে জুলাই অভ্যুত্থান স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ এবং শর্ট ফিল্ম প্রদর্শনীর উদ্যোগ নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ল ই গণঅভ য ত থ ন ব শ বব দ য

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথম আলো আজ শুধু পত্রিকা নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান

নানা প্রতিকূলতা ও বাধা সত্ত্বেও প্রথম আলো কখনো সত্য প্রকাশে পিছপা হয়নি। সত্যই প্রথম আলোর সাহস ও শক্তি। সাহসী ও বস্তুনিষ্ঠ খবর প্রকাশের কারণে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রথম আলোর পথচলা ছিল স্রোতের বিপরীতে। প্রথম আলো আজ শুধু একটি পত্রিকা নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান। সমাজের অসংগতি তুলে ধরার পাশাপাশি প্রথম আলো আরও বেশি ইতিবাচক খবর উপস্থাপন করবে—এটাই পাঠকদের প্রত্যাশা।

প্রথম আলোর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় আয়োজিত সুধী সমাবেশে অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন। আজ শুক্রবার বিকেল পৌনে চারটায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট কুমিল্লা কেন্দ্রের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। এতে কুমিল্লার শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, গণমাধ্যমকর্মী, উদ্যোক্তা, লেখক, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পদস্থ কর্মকর্তা, আইনজীবী, প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্টজনেরা অংশ নিয়ে প্রথম আলো সম্পর্কে তাঁদের মতামত তুলে ধরেন।

জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সমাবেশের শুরু হয়। পরে প্রথম আলোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসংগীত ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে আয়োজন সহযোগী হিসেবে ছিল কুমিল্লার কোটবাড়ী এলাকায় প্রতিষ্ঠিত সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

‘আমরা প্রথম আলোর পাশে রয়েছি’

সমাবেশে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবুল বাশার ভূঁঞা বলেন, ‘প্রথম আলো তার নিজস্বতা নিয়ে যে জায়গায় দাঁড়িয়েছে, সেটি অবশ্যই প্রশংসনীয়। দায়িত্বশীল সংবাদ পরিবেশনে বাংলাদেশে তারাই প্রথম বলে আমি মনে করি। অতীতের মতো আগামী দিনেও প্রকৃত সত্য তুলে ধরবে প্রথম আলো সব সময়—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. আবদুল হাকিম বলেন, প্রথম আলো পত্রিকা সব সময় সত্যটাই প্রকাশ করে। এটাই তাঁদের শক্তি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আলী রাজিব মাহমুদ বলেন, ‘২৭ বছর ধরে একটি পত্রিকা প্রকাশ হওয়া মানে এই পত্রিকা আমাকেও গড়ে তুলেছে। কারণ, এই পত্রিকার শিক্ষা পাতার নিয়মিত পাঠক ছিলাম আমি। গোটা দেশ ও গোটা বিশ্বকে হাতের মুঠোয় এনে দেওয়ার জন্য প্রথম আলোর প্রতি রইল কৃতজ্ঞতা।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রাশেদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে ওঠে প্রথম আলো না পড়লে পত্রিকা পড়ার তৃপ্তি পাই না। প্রথম আলো ছাত্রজীবন থেকেই আমার আস্থায় রয়েছে। এখনো প্রতিদিনই প্রথম আলোর সঙ্গে আছি।’

আরও পড়ুনপ্রথম আলো বাংলাদেশের মানুষের বিজয়ের সঙ্গী২২ ঘণ্টা আগেপ্রথম আলোর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় আয়োজিত সুধী সমাবেশে মঞ্চে বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা। আজ শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নেত্রকোনায় উদীচী ট্র্যাজেডির দুই দশক আজ, ৩ মিনিট স্তব্ধ ছিল শহর
  • পরিচয় শনাক্তে তোলা হচ্ছে ১১৪ জুলাই শহীদের লাশ 
  • বিয়ে উপলক্ষে বসা সামাজিক বৈঠকে ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু
  • প্রথম আলো সব সময় সত্যের সন্ধান দেয়
  • প্রথম আলো আজ শুধু পত্রিকা নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান
  • জুলাই হত্যাকাণ্ডের খুনিদের ফিরিয়ে আনা সরকারের প্রধান লক্ষ্য: প্রে