বাংলাদেশ সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজকে সামনে রেখে ঘোষিত শ্রীলঙ্কার ১৭ সদস্যের দল যেন পুরনোদের প্রত্যাবর্তন আর নতুনদের উত্থানের মিশেল। দলের হাল ধরেছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা ও পেসার চামিকা করুণারত্নে। দুজনেই দলে ফিরেছেন সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে অনুপস্থিতির পর। সঙ্গে প্রথমবারের মতো জায়গা পেয়েছেন উদীয়মান পেসার এসান মালিঙ্কা।

আগামী ১০ জুলাই পাল্লেকেলেতে শুরু হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ যথাক্রমে ১৩ জুলাই ডাম্বুলা ও ১৬ জুলাই কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।

ছয় মাস আগের নিউ জিল্যান্ড সিরিজের পর দল থেকে ছিটকে পড়া দাসুন শানাকা আবার ফিরেছেন নেতৃত্বের ভিন্ন ভূমিকায়। এবার দায়িত্বে থাকবেন চারিথ আশালঙ্কা। তবে শানাকার মাঠের অভিজ্ঞতা দলকে দেবে বাড়তি ভরসা। চামিকা করুণারত্নেও দলে ফিরে পেস আক্রমণে যুক্ত করবেন প্রয়োজনীয় বৈচিত্র্য।

আরো পড়ুন:

লারার প্রতি শ্রদ্ধায় ৩৩৭ রানে থেমে গেলেন মুল্ডার

দলে একাধিক অলরাউন্ডার চান সাইফউদ্দিন

দলে আরেক ফিরতি তারকা দুনিথ ভেল্লালাগে। তরুণ এই স্পিনিং অলরাউন্ডার আবারও সুযোগ পেয়েছেন নিজেকে প্রমাণের।

ডানহাতি পেসার এসান মালিঙ্কা প্রথমবারের মতো জায়গা পেয়েছেন টি-টোয়েন্টি দলে। বয়সভিত্তিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স তাকে এনে দিয়েছে এই সুযোগ।

এবারের দল থেকে বাদ পড়েছেন ভানুকা রাজাপক্ষে, আসিথা ফার্নান্দো ও চামিকা বিক্রমাসিংহে। তাদের জায়গায় বিবেচনায় এসেছে ফর্ম, ফিটনেস ও টিম কনফিগারেশনের বিষয়টি।

বাকি দলে তেমন চমক নেই। ব্যাটিং লাইনআপে আছেন পাথুম নিশাঙ্কা, আভিস্কা ফার্নান্দো, কুশল পেরেরা ও কুশল মেন্ডিস। অভিজ্ঞ দিনেশ চান্দিমালও রয়েছেন দলে। অলরাউন্ড বিভাগে থাকছেন কামিন্দু মেন্ডিস ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।

বোলিং বিভাগে ভরসা মাথিশা পাথিরানা, বিনুরা ফার্নান্দো, মহেশ থিকসানা ও জেফরে ভ্যান্ডারসের ওপর।

শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড:
চারিথা আশালঙ্কা (অধিনায়ক), পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, দিনেশ চান্দিমাল, কুশল পেরেরা, কামিন্দু মেন্ডিস, আভিস্কা ফার্নান্দো, দাসুন শানাকা, দুনিথ ভেল্লালাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহেশ থিকসানা, জেফরে ভ্যান্ডারসে, চামিকা করুণারত্নে, মাথিশা পাথিরানা, নুয়ান থুসারা, বিনুরা ফার্নান্দো, এসান মালিঙ্কা। 

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শূন্য সুখের শহর

আকাশের ঠিকানায় চিঠি লেখার মন্ত্রটা যখন পেয়েছি, তত দিনে রুদ্র ঘর বেঁধে ফেলেছে আকাশেরই ঠিকানায়। আর আমি মাত্র রাঙা কৈশোরের দিকে হাঁটছি, পথ পুরোটা ফুরোয়নি। কেবল ‘খোলসের আবরণে মুক্তোর সুখ’ লুকানো শিখে ফেলার চেষ্টা করে যাচ্ছি। সেই তখন থেকেই ‘ভালো আছি বা ভালো থেকো’ বলার জন্য আকাশকেই বেছে নিয়েছিলাম একমাত্র ঠিকানা হিসেবে। আর এখন এই চটজলদি বার্তার যুগে তো সবার সঙ্গে সম্পর্কগুলোই হয় খুব পানসে; নয় অকারণে জটিল। সম্পর্কগুলোই যেখানে অস্থির, চিঠি লেখা সেখানে পুরোটাই এক বাহুল্য অথবা সংকোচ। ঠিকানাই–বা জানি কজনের? আর ডাকপিয়নই–বা কই যে পরম মমতায় এই চিঠি পৌঁছে দেবে কারও গন্তব্যে? তারপরেও একটা চিঠি লিখতে মন চাইল। কী আশ্চর্য চিঠি লেখার মতো কেউ কোথাও নেই। কারও আর সময় নেই, একটা চিঠির অপেক্ষায় থাকবে। যত্ন করে হলুদ খামটা ছিঁড়ে আস্তে আস্তে ভাঁজ খুলে মেলে ধরবে কারও কথার মালায় সাজানো এক টুকরো কাগুজে বায়োস্কোপ।

যে একটি নগরে দুজন থাকাটাই ছিল একটিমাত্র সুখ। সেই সুখের খঞ্জনা ছেড়ে এত দূরে এসে দেখি, বহু কিছুর ভিড়ে সুখ এখানে কেবলই শূন্য। এ এক শূন্য সুখের শহর।

সে বাস্তবে কেউ থাকুক বা না থাকুক, আমার কল্পনার রুদ্রকে লিখতে বাধা কই? সে পড়ুক বা না পড়ুক, এই উদয়পদ্মের শহর থেকে না হয় একদিন এই চিঠি পৌঁছে যাবে তার আকাশের ঠিকানায়। যে শহরে এত দিন কাছাকাছি থেকেও ‘কত দিন দেখা হয়নি’ আমাদের প্রধানতম আক্ষেপ। সে শহর ছেড়ে হাজার মাইল দূরে আসার পর মনে হলো, চাক্ষুস না হোক, কাগজে–কলমে অন্তত দেখাটা হোক। ফুল, পাখি আর মিষ্টি বকুলের জন্য ‘ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে’ রাখা শুভকামনা পৌঁছে যাক আমাদের অঞ্জনা নদীতীরের খঞ্জনা গ্রামের মতো নগরে। যে একটি নগরে দুজন থাকাটাই ছিল একটিমাত্র সুখ। সেই সুখের খঞ্জনা ছেড়ে এত দূরে এসে দেখি, বহু কিছুর ভিড়ে সুখ এখানে কেবলই শূন্য। এ এক শূন্য সুখের শহর।

নিউইয়র্ক শহরে প্রথমবার এসেছিলাম ঠিক বছর দশেক আগে। সারা দিনের জন্য। সেদিন একঝলক দেখে মনে হয়েছিল একে উদয়পদ্মের শহর। সেদিন যে এসেছিলাম, আসার কথা ছিল তারও বছর দুয়েক আগে একটু লম্বা সময়ের জন্য, একটা ফেলোশিপ নিয়ে। কিন্তু ওই যে, মায়া, খঞ্জনার সুখ। শেষ মুহূর্তে মায়ায় পড়ে আর আগানো হলো না। তবে মনে রয়ে গিয়েছিল। সে সময় এলে কোথায় আবাস হতো, কোথায় অফিস হতো, সে ছবিগুলো মনের ভেতর রয়ে গিয়েছিল বলেই সেবার দিন ভ্রমণে আসা।

নিউইয়র্ক শহরে প্রথমবার এসেছিলাম ঠিক বছর দশেক আগে। সারা দিনের জন্য। সেদিন একঝলক দেখে মনে হয়েছিল একে উদয়পদ্মের শহর। সে সময় এলে কোথায় আবাস হতো, কোথায় অফিস হতো, ভেবে দিন ভ্রমণে আসা।

এবার যখন এলাম, শরীরটা এল বটে, মনটা রয়ে গেল আমার সেই মায়া জড়ানো, স্মৃতি মাখানো ছোট্ট বসতঘরেই। যে ঘরের পরতে পরতে জমা ধূলিও আমার চেনা, আপন। যে ঘরের জানালার পর্দাটা, দরজার চৌকাঠটা, বেসিনের আয়নাটাতেও গল্প লেগে আছে। আমাদের নিজস্ব গল্প। সেই সব অজস্র গল্পকে তালাবন্ধ করে যখন এ শহরে পৌঁছালাম, তখন শহরজুড়ে ফুটে আছে রংবেরঙের টিউলিপ। আর টিউলিপ থেকে চোখ তুলে তাকালেই সাদা গোলাপি চেরিতে তখন মোহনীয় বসন্ত। যেন ফুলের শহর। চেরি ঝরার সময় দ্রুতই চলে এল, চেরি যখন যাই যাই করছে, তখন দেখি লাল ইটের বাড়িগুলোর ফ্রন্ট ইয়ার্ডে মানুষসমান উঁচু ঝোপে ঢেলে ফুটে আছে বাগানবিলাসের মতো একটা লাল গোলাপি ফুল। কোথাও–বা লম্বা গাছে ফুটেছে সাদা ঝিরঝিরে ফুল, যার গন্ধে মনে পড়ে হাস্নাহেনার কথা। অথচ এদের কারও নাম জানি না। এদের সঙ্গে দেখাই যে হলো প্রথমবার। ঘরের কাছে পার্কে হাঁটতে গেলে দেখি বকুল ফুলের মতো ফুল ফুটেছে। সে-ও আমার অচেনা। তবে চেনা ফুলও পেয়েছি, যার নাম গোলাপ। চেরি আর টিউলিপ যেই না উধাও হলো, সেই একেবারে উজাড় করে ফুটে উঠল গোলাপ। এখানে, সেখানে, যেখানে যেভাবে পারল। এখন গোলাপও বলছে যাই। আর সপ্তাহখানেক ধরে মাথা উঁচু করে জাগছে উদয়পদ্মরা।

প্রথম অস্থায়ী ঠিকানা এ দেশের যিনি প্রধান ব্যক্তি, তাঁর বিশাল সাদা বাড়ির কাছাকাছি এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে লালন স্মরণোৎসব, মেলা শুরু শুক্রবার
  • জবিতে প্রথমবার স্নাতকোত্তর থিসিসে ৫০ লাখ টাকা সহায়তা
  • ৩৬ বছরে প্রথমবার ব্রাজিলকে হারাল জাপান
  • বিশ্বকাপের টিকিট কেটে ইতিহাস গড়ল মাত্র ৫ লাখ জনসংখ্যার দেশ কেপ ভার্দে
  • ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে ‘ফার্স্ট বয়’ হতে চান আনচেলত্তি
  • এমএলএস যেন মেসির রাজত্ব
  • শূন্য সুখের শহর
  • কাঁদতে কাঁদতে রেললাইনে বসেন তরুণ, ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু
  • দেশব্যাপী টাইফয়েডের টিকাদান শুরু