‘লাইফ ইন আ মেট্রো’ ছবির ১৮ বছর পার হয়ে গেছে। অনুরাগ বসুর এ ছবি আজও দর্শকের হৃদয়জুড়ে আছে। গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে এই ছবির সিকুয়েল ‘মেট্রো...ইন দিনোঁ’। প্রেম, বিরহ, সম্পর্কের টানাপোড়েন, পরকীয়া, উচ্চাকাঙ্ক্ষা—এ সবকিছু নিয়ে অনুরাগ বসুর এই মিউজিক্যাল প্রেমের ছবি। এবারের ‘মেট্রো’–ও ধীরে ধীরে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিচ্ছে। বক্স অফিসের ট্র্যাকে ‘মেট্রো’–র গতি ক্রমে বাড়ছে।
‘মেট্রো.

..ইন দিনোঁ’ ছবিতে অনুরাগ ১৫ থেকে ৭০—বিভিন্ন বয়সী প্রেমের নানা অনুভূতি তুলে ধরেছেন। এ ছবিতে জুটি হিসেবে দেখা গেছে অনুপম খের-নীনা গুপ্তা, পংকজ ত্রিপাঠি-কঙ্কণা সেন শর্মা, আলী ফজল-ফতিমা সানা শেখ, আদিত্য রায় কাপুর-সারা আলী খানকে। ১০০ কোটি রুপি বাজেটের ছবিটির ওপেনিং আহামরি ছিল না।

‘মেট্রো...ইন দিনোঁ’ বক্স অফিসের খাতা খুলেছিল মাত্র ৩ দশমিক ৫ কোটি রুপি আয় করে। তবে মুক্তির দ্বিতীয় দিন গত শনিবার ‘মেট্রো’–র গতি কিছুটা বেড়েছে। ছবিটি এদিন ৬ কোটি রুপি মতো ব্যবসা করেছে। গতকাল রোববার এই গতি আরও বেড়ে গেছে। ‘মেট্রো...ইন দিনোঁ’ এদিন নিজেদের ঝুলিতে পুরেছে ৭ দশমিক ৫ কোটি রুপি। গত তিন দিনে রোমান্টিক মিউজিক্যাল এই ছবি ভারতীয় বক্স অফিস থেকে ১৬ দশমিক ৭৫ কোটি রুপি আয় করেছে।

‘মেট্রো...ইন দিনো’ সিনেমায় আদিত্য রায় কাপুর ও সারা আলী খান। ছবি: এক্স থেকে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন র গ ইন দ ন

এছাড়াও পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর

দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”

তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ