১. আপনার সবচেয়ে কাছের মানুষ কারা? তাঁদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন?
চাইলে সুখ খুঁজে পাওয়া সম্ভব। আর এই সুখ আপনি ক্যারিয়ার, সফলতা বা অর্থসম্পদের মধ্যে খুঁজে পাবেন না। বরং আপনাকে সুখী করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে আপনার আপনজনদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক। আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষটি কে? সেই মানুষের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন? মূলত এই প্রশ্নের উত্তরের ভেতরেই লুকিয়ে আছে আপনি কতটা সুখী, তার উত্তর। বন্ধুত্ব, সামাজিক বলয়, নতুন সম্পর্কও মানুষকে সুখী করে।
২.আপনি আজ কেন কৃতজ্ঞ?
প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে মনে করুন, দিনের কোন কোন বিষয়ের জন্য আপনি কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। ছোট ছোট ইতিবাচকতাগুলো টুকে রাখুন। দিনের, সপ্তাহের, মাসের, বছরের ইতিবাচক ঘটনাগুলো লিখে রাখুন। সেসবের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। এই চর্চা আপনাকে সুখী হতে সাহায্য করবে। ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না। মনে রাখবেন, ছোট্ট একটা ‘ধন্যবাদ’–এর অসীম ক্ষমতা!
আরও পড়ুনচাকরির ইন্টারভিউয়ে জেফ বেজোস একটা উদ্ভট কিন্তু দুর্দান্ত প্রশ্ন করতেন, কী সেটা৯ ঘণ্টা আগে৩. আপনার জীবনে কি শৃঙ্খলার অভাব?সুখী হওয়ার জন্য শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনের কোনো বিকল্প নেই। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান। নির্দিষ্ট সময়ে উঠুন। দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, ষান্মাসিক, বার্ষিক লক্ষ্য পূরণ করুন। নিশ্চিত করুন, প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার যেন উদ্দেশ্য থাকে।
আরও পড়ুনএই ৪ প্রবাদ থেকেই বোঝা যায়, ফিনল্যান্ড কেন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ ২০ মার্চ ২০২৫৪. প্রতিদিন এমন কিছু করুন…প্রতিদিন এমন কিছু করুন, যা আপনি ভালোবাসেন, যা আপনাকে সুখী করে। বই পড়া, মানুষের সঙ্গে গল্প করা, গাছের যত্ন নেওয়া, ঘুরে বেড়ানো, হাঁটা, ব্যায়াম করা, রান্না করা, ছবি আঁকা, সৃজনশীল কাজ করা, নতুন কোনো ভাষা শেখা, যেকোনো কোর্স করা, নতুন কিছু শেখা, প্রকৃতি, পোষা প্রাণী বা শিশুদের সঙ্গে সময় কাটানো—হতে পারে যেকোনো কিছুই।
৫. দয়ালু হোনপ্রতিদিন অন্যের জন্য কিছু করুন। সহনশীল হোন, ক্ষমা করুন। হুট করে প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে বরং নিজেকে সংযত করুন। ইতিবাচক কথা বলা, চিন্তা করার চর্চা করুন। নিজের প্রতি, অন্যের প্রতি, যেকোনো প্রাণ ও প্রকৃতির প্রতি যতটা সম্ভব দয়ালু আচরণ করুন।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস
আরও পড়ুনপ্রিয় সিংহ, লোকে এখন ‘ক্যান্ডিট’টাই খুঁজে বেড়ায়০৫ জুলাই ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘একসময় তামিম ভাইয়ের খেলা অনুসরণ করতাম, এখন হেডকে করি’
আরও পড়ুনরাজনীতিতে গিয়ে জীবনের সবচেয়ে বাজে কাজটা করেছিলেন জয়াসুরিয়া০৪ জুলাই ২০২৫
উত্তরে এই ওপেনার জানান, ‘তামিম (ইকবাল) ভাইয়ের খেলা অনুসরণ করতাম অনেক, বিরাট কোহলিও অনেকটা শেষের দিকে। এখন ট্রাভিস হেডের খেলা অনুসরণ করি।’
পারভেজ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। সর্বশেষ ম্যাচে ৬৯ বল খেলে ৬৭ রান করার পথে ৬ চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন। নিজের ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে পারভেজ বলেন, ‘চেষ্টা করি আসলে পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার। এটাই আসলে চেষ্টা করছি, আমার যেটা সহজাত ওটা খেলার।’
আগের ম্যাচে পারভেজ ভালো করলেও এই সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটেনি। প্রথম ম্যাচে ২৪৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পরে ৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রানে ম্যাচ হারে। দ্বিতীয় ম্যাচেও অলআউট হয়েছে ২৪৮ রানে।
দলের ব্যর্থতার সঙ্গে পারভেজের আফসোস নিজের ইনিংসটা বড় করতে না পারারও, ‘আমরা (ইনিংস) লম্বা করতে পারিনি সত্যি। আউট হওয়ার পর আমার অনেক খারাপ লাগছিল, হয়তো–বা সেট হয়ে আউট হয়েছি। উইকেট ভালো ছিল, সেঞ্চুরি করা যেত।’
পারভেজ হোসেন