ট্রিপল সেঞ্চুরিতে ইতিহাস গড়লেন অধিনায়ক মুল্ডার
Published: 7th, July 2025 GMT
ক্রিকেট বিশ্বে নতুন ইতিহাস লিখলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার উইয়ান মুল্ডার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই তিনি হাঁকালেন ট্রিপল সেঞ্চুরি (৩৪৬*)। টেস্ট ইতিহাসে এটি এক দুর্লভ কীর্তি। কারণ, অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক টেস্টেই ট্রিপল সেঞ্চুরি করার নজির আছে কেবল আর একজনের!
এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে মুল্ডার হয়ে ওঠেন রীতিমতো দুর্বার। আজ সোমবার (০৭ জুলাই) বুলাওয়েতে অনুষ্ঠিত এই টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মাত্র ২৯৭ বলে পূর্ণ করেন নিজের ট্রিপল সেঞ্চুরি। যা টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম। তার আগে কেবল ভারতের বীরেন্দর শেবাগই দ্রুততর (২৭৮ বলে) ত্রিশতক করেছিলেন।
মুল্ডার প্রথম দিন শেষ করেছিলেন অপরাজিত ২৬৪ রানে। পরদিন সকালে সেই ইনিংস রূপ নেয় ইতিহাসে। ৩৮টি চার আর ৩টি ছক্কায় সাজানো এই অনবদ্য ইনিংসটিকে বলা যায় ধৈর্য আর আগ্রাসনের নিখুঁত মিশেল।
আরো পড়ুন:
টেস্ট ক্রিকেটে ইতিহাস গড়লেন কেশব মহারাজ
তিন-তিনটি সুপার ওভারের এক বিরল ও শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ
মাত্র ২৭ বছর ১৩৮ দিন বয়সেই মুল্ডার ভেঙে দিলেন বব সিম্পসনের ৬১ বছরের পুরনো রেকর্ড। ১৯৬৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি সিম্পসন অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকে করেছিলেন ৩১১ রান। মুল্ডার সেখানে এখনও অপরাজিত ৩৪৬ রানে (এ প্রতিবেদন লেখার সময়)।
টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি করা এটি দক্ষিণ আফ্রিকার মাত্র দ্বিতীয় উদাহরণ। তার আগে কেবল হাশিম আমলা এই মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন—২০১২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ৩১১ রানের অনন্য ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
অভিষেক অধিনায়ক হিসেবেই প্রথম দিনেই ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন মুল্ডার। এমন কীর্তি টেস্ট ইতিহাসে খুব কমজনেরই আছে। এই তালিকায় আছেন কেবল গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড, ২৩৯) এবং শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০৩)।
মুল্ডারের এটি ছিল তার ২১তম টেস্ট, কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে প্রথম। নিয়মিত অধিনায়ক কেশব মহারাজ ইনজুরিতে পড়ায় হঠাৎ করেই নেতৃত্বের ভার পড়ে তার কাঁধে। সেই দায়িত্বকে সুযোগে পরিণত করে নিজেকে তুলে ধরলেন ক্রিকেট ইতিহাসের এক অনন্য উচ্চতায়।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড ট র পল স ঞ চ র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
কর্মস্থলে ৮ ঘণ্টা শিফট দাবি করা দীপিকাকে খোঁচা দিলেন রাশমিকা?
শারীরিক ও মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে বলিউডের অনেকে যখন ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করবেন জানিয়েছেন, ঠিক তখনই রাশমিকা মান্দানার মুখে শোনা গেল ভিন্ন কথা। জানালেন, ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ১২ ঘণ্টার কাজ করতে প্রস্তুত এই অভিনেত্রী। রাশমিকার কথায়, কাউকে খুশি করতে নয়, সিনেমার স্বার্থেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত।
ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন থেকে জানা গেছে, পেশা এবং ব্যক্তিজীবনের যথাযথ ভারসাম্য রক্ষা করতে কাজের সময় বেঁধে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। মা হওয়ার পর নিজের উজ্জ্বল ক্যারিয়ার নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছেন না তিনি। চাইছেন ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিজীবনে সামঞ্জস্য নিয়ে আসতে। সে কারণে বিগ বাজেটের সিনেমা থেকে বাদ পড়ার বিষয়টিও সহজভাবে মেনে নিয়েছেন। তবে নির্দিষ্ট সময় কাজের কথা বলে দীপিকা যে দাবি তুলেছেন, তা নিঃসন্দেহে বড় চর্চার বিষয়।
অনেকেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে সোচ্চার হয়েছেন। এবার কাজের বিষয়ে সময় বেঁধে দেওয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন দক্ষিণ ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে সদ্য বলিউডে আসা অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা। অকপটে বলেছেন, ‘৮ কেন, সিনেমার স্বার্থে ১২ ঘণ্টাও কাজ করতে পারি।’
রাশমিকার এমন মন্তব্যে অবাক হয়েছেন অনেকেই। নেটিজেনদের অনেকে বলছেন, রাশমিকা তাঁর এই কথার মধ্য দিয়ে আসলে দীপিকাকেই খোঁচা দিয়েছেন। কারণ একটাই, যে নির্মাতা তাঁর ‘স্পিরিট’ সিনেমা থেকে দীপিকাকে বাদ দিয়েছেন, সেই সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গার সঙ্গে রাশমিকার সম্পর্কটা বন্ধুত্বপূর্ণ। বঙ্গা পরিচালিত ‘অ্যানিম্যাল’ সিনেমায় রণবীর কাপুরের বিপরীতে অভিনয় করে বলিউডে নিজের অবস্থান শক্ত করে নিয়েছেন রাশমিকা। সে কারণে অভিনেত্রী যে দীপিকা-বঙ্গার বাগ্যুদ্ধে নির্মাতার পক্ষে যাবেন, এটি অনেকের অনুমান ছিল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো আরও জানিয়েছে, সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গার আপকামিং সিনেমা ‘স্পিরিট’-এ নায়িকা চরিত্রে কাজ করার কথা ছিল দীপিকা পাড়ুকোনের। কিন্তু মেয়ে দুয়ার জন্মের পর কাজে ফিরে দীপিকা জানান, তিনি ৮ ঘণ্টার বেশি শুটিং করবেন না। এই মুহূর্তে তাঁর কাছে মেয়েকে বড় করাই অগ্রাধিকার। তা মানতে নারাজ পরিচালক ও টিম। ফলে এই প্রজেক্ট থেক বাদ পড়তে হয় দীপিকাকে। তাঁর জায়গায় বেছে নেওয়া হয়েছে বলিউডের আরেক নজরকাড়া উঠতি অভিনেত্রী তৃপ্তি ডিমরিকে।
এদিকে দীপিকার দাবি এখন বলিউডের সবচেয়ে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। যেখানে অংশ নিয়েছেন রাশমিকাও। তবে ৮ ঘণ্টা কাজের সমর্থনে নয়, বরং সমালোচনায়। তাঁর বক্তব্য, ‘পুরো দেশ এই নিয়ে আলোচনা করছে। যে চাই বলুক আমি মনে করি, যে কাজের জন্য পরিচিতি, মানুষের ভালোবাসা পাওয়া, দর্শকমনে প্রত্যাশা তৈরি করা, সেটি পরিকল্পনামাফিক শেষ করা উচিত।’