জাতীয় প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি সাংবাদিক শামীম আহমেদ মারা গেছেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
সোমবার সকালে ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।
এর আগে রোববার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সাংবাদিক শামীম আহমদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শামীম আহমদের ছোট ভাই ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্থায়ী সদস্য রাশেদ আহমেদ মিতুল বলেন, ‘তার জানাজা বাদ আছর খিলগাঁও চৌধুরী পাড়ার মাটির মসজিদে হবে। এরপর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।’
সাংবাদিক শামীম আহমদ ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের দূতাবাসে প্রেস মিনিস্টারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ও কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া বার্তা সংস্থা ইউএনবির সাবেক চিফ অব করেসপন্ডেন্টস ও সিটি এডিটর হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
পরিবারে শামীম আহমদ তার মা, চার ভাই, তিনবোন এবং আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। শামীম আহমদের মৃত্যুতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল শোক জানিয়েছেন।
এছাড়া ডিক্যাব সভাপতি একেএম মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন সাংবাদিক শামীম আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবার্তায় তারা বলেন, শামীম আহমদ ছিলেন দেশের সাংবাদিকতা অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। পেশাগত সততা, নিষ্ঠা ও নেতৃত্বগুণে তিনি সাংবাদিকদের জন্য এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন। তিনি শুধু একজন দক্ষ সাংবাদিকই নন, ছিলেন একাধারে সংগঠক, অভিভাবক এবং বন্ধু। তাঁর মৃত্যুতে আমরা একজন অভিজ্ঞ, প্রজ্ঞাবান ও সম্মানিত সহকর্মীকে হারালাম, যিনি ডিক্যাব-এর কার্যক্রমে সব সময় নিবেদিতভাবে যুক্ত ছিলেন এবং সংগঠনের উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ ম ম আহমদ
এছাড়াও পড়ুন:
সালাহউদ্দিন আহমদকে তাঁর বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে: ইসলামী আন্দোলন
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) নির্বাচনের বিরোধিতা করতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ‘রাজনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন’ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ। তিনি বলেছেন, ‘সালাহউদ্দিন আহমদকে তাঁর বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় রাজনৈতিক সংস্কৃতি নোংরা করার দায় তাঁকে ও বিএনপিকে বহন করতে হবে।’
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন শেখ ফজলুল করীম মারুফ। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আগামী জাতীয় নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে করার দাবি করেছে।
শনিবার বিকেলে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক সমাবেশে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, কিছু দল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের কথা বলছে। কিন্তু দেশের বেশির ভাগ মানুষ পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে বোঝেন না। তাঁরা এ পদ্ধতিতে কখনো ভোট দেননি। কিছু দেশে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়, কিছু দেশে এখনো পরীক্ষামূলক রয়েছে। যারা পিআর নির্বাচনের কথা বলে, তাদের ভোট নেই। নির্বাচন হলে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
সালাহউদ্দিন আহমদের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা শেখ ফজলুল করীম মারুফ বলেন, ‘সালাহউদ্দিন আহমদের মতো একজন সিনিয়র নেতা এমন স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়ে রাজনৈতিক অভব্যতা করবেন বলে জাতি আশা করে না।’