পথে হলো দেখা: গণশৌচাগার নিয়ে ওয়াটারএইডের ভিন্ন ধারার কর্মসূচি
Published: 7th, July 2025 GMT
শিল্প শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, সচেতনতা তৈরির এক কার্যকর মাধ্যম। বিশেষ করে যখন ‘অস্বস্তিকর’ কোনো বিষয়ে খোলামেলা আলোচনার দরকার হয়, তখন শিল্প মানুষের মনের ভেতরে ঢোকার ও সেটাকে প্রকাশ করার সবচেয়ে মানবিক উপায় হয়ে ওঠে।
পাবলিক প্লেস বা জনপরিসরে পানি, স্বাস্থ্যবিধি ও স্যানিটেশন ঠিক এমনই একটি ইস্যু। এটি আমাদের নিত্যদিনের জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। কিন্তু সামাজিক পরিসরে অনালোচিত ও উপেক্ষিত। দীর্ঘকালের অপ্রাপ্তি ও অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতার জন্য জনপরিসরে এটা নিয়ে আলোচনা না করাটা যেন স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে।
ওয়াটারএইড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘পথে হলো দেখা’ ক্যাম্পেইন সেই অচলায়তনকে ভাঙতে চেয়েছে, জানতে চেয়েছে মানুষের ভাবনা। আলোচনায় আনতে চেয়েছে ভবিষ্যতের উন্নত নাগরিক জীবনে পাবলিক স্যানিটেশনের গুরুত্বকে।
এ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো পাবলিক টয়লেট বা গণশৌচাগার নিয়ে সামাজিক মনোভাব পরিবর্তন করা, স্যানিটেশন–ব্যবস্থার প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা ও সম্মানজনক ব্যবহারকে উৎসাহিত করা। আর পুরো প্রক্রিয়ায় শিল্পকলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে মূল হাতিয়ার হিসেবে।
ক্যাম্পেইনের আওতায় আয়োজন করা হয় তিনটি অংশগ্রহণমূলক প্রতিযোগিতা—চিত্রাঙ্কন, গল্প লেখা আর মোবাইল ভিডিও তৈরি। ৫ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ছিল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। শিশুরা কল্পনার চোখে এঁকেছে এমন সব পাবলিক টয়লেট, যা পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও সবার জন্য ব্যবহারযোগ্য। ছবিতে দেখা গেছে, টয়লেটের প্রবেশপথে র্যাম্প, হাত ধোয়ার বেসিন, আলো–বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা, এমনকি টয়লেট ব্যবহারে উৎসাহ দিতে লেখা ‘স্বাগতম’ বার্তাও; পাশে রয়েছে ফুলের টব ও বাগান।
১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণদের জন্য ছিল গল্প লেখার প্রতিযোগিতা। এখানে উঠে এসেছে ব্যক্তিগত ও আবেগঘন অভিজ্ঞতার বর্ণনা। কেউ লিখেছেন মাসিক চলাকালে প্রয়োজনীয় সেবা না পাওয়ার কষ্টের কথা। কেউবা তুলে ধরেছেন দিনের পর দিন ঘরের বাইরে যাওয়ার আগে পানি না খাওয়ার গল্প। আবার কেউ বলেছেন, শহরের এক কোণে হঠাৎ পাওয়া একটি পরিচ্ছন্ন টয়লেটের কথা, যা নতুন এক ভরসা জুগিয়েছে নাগরিক জীবনের প্রতি।
গল্প লেখা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী এক প্রতিযোগীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক ও ব্র্যাকের ক্লাইমেট চেঞ্জ, আরবান ডেভেলপমেন্ট ও ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট পরিচালক লিয়াকত আলী.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য প বল ক টয়ল ট
এছাড়াও পড়ুন:
পথে হলো দেখা: গণশৌচাগার নিয়ে ওয়াটারএইডের ভিন্ন ধারার কর্মসূচি
শিল্প শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, সচেতনতা তৈরির এক কার্যকর মাধ্যম। বিশেষ করে যখন ‘অস্বস্তিকর’ কোনো বিষয়ে খোলামেলা আলোচনার দরকার হয়, তখন শিল্প মানুষের মনের ভেতরে ঢোকার ও সেটাকে প্রকাশ করার সবচেয়ে মানবিক উপায় হয়ে ওঠে।
পাবলিক প্লেস বা জনপরিসরে পানি, স্বাস্থ্যবিধি ও স্যানিটেশন ঠিক এমনই একটি ইস্যু। এটি আমাদের নিত্যদিনের জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। কিন্তু সামাজিক পরিসরে অনালোচিত ও উপেক্ষিত। দীর্ঘকালের অপ্রাপ্তি ও অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতার জন্য জনপরিসরে এটা নিয়ে আলোচনা না করাটা যেন স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে।
ওয়াটারএইড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘পথে হলো দেখা’ ক্যাম্পেইন সেই অচলায়তনকে ভাঙতে চেয়েছে, জানতে চেয়েছে মানুষের ভাবনা। আলোচনায় আনতে চেয়েছে ভবিষ্যতের উন্নত নাগরিক জীবনে পাবলিক স্যানিটেশনের গুরুত্বকে।
এ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো পাবলিক টয়লেট বা গণশৌচাগার নিয়ে সামাজিক মনোভাব পরিবর্তন করা, স্যানিটেশন–ব্যবস্থার প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা ও সম্মানজনক ব্যবহারকে উৎসাহিত করা। আর পুরো প্রক্রিয়ায় শিল্পকলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে মূল হাতিয়ার হিসেবে।
ক্যাম্পেইনের আওতায় আয়োজন করা হয় তিনটি অংশগ্রহণমূলক প্রতিযোগিতা—চিত্রাঙ্কন, গল্প লেখা আর মোবাইল ভিডিও তৈরি। ৫ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ছিল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। শিশুরা কল্পনার চোখে এঁকেছে এমন সব পাবলিক টয়লেট, যা পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও সবার জন্য ব্যবহারযোগ্য। ছবিতে দেখা গেছে, টয়লেটের প্রবেশপথে র্যাম্প, হাত ধোয়ার বেসিন, আলো–বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা, এমনকি টয়লেট ব্যবহারে উৎসাহ দিতে লেখা ‘স্বাগতম’ বার্তাও; পাশে রয়েছে ফুলের টব ও বাগান।
১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণদের জন্য ছিল গল্প লেখার প্রতিযোগিতা। এখানে উঠে এসেছে ব্যক্তিগত ও আবেগঘন অভিজ্ঞতার বর্ণনা। কেউ লিখেছেন মাসিক চলাকালে প্রয়োজনীয় সেবা না পাওয়ার কষ্টের কথা। কেউবা তুলে ধরেছেন দিনের পর দিন ঘরের বাইরে যাওয়ার আগে পানি না খাওয়ার গল্প। আবার কেউ বলেছেন, শহরের এক কোণে হঠাৎ পাওয়া একটি পরিচ্ছন্ন টয়লেটের কথা, যা নতুন এক ভরসা জুগিয়েছে নাগরিক জীবনের প্রতি।
গল্প লেখা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী এক প্রতিযোগীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক ও ব্র্যাকের ক্লাইমেট চেঞ্জ, আরবান ডেভেলপমেন্ট ও ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট পরিচালক লিয়াকত আলী