গল্পের শুরুটা ১৯৯৮ সালে। সুমন, জাহিদ ও মাহফুজ—তিন বন্ধু থাকেন ভার্সিটির হলে। দেয়ালের রং-পলেস্তারা খসে-পড়া হলের রুমে তাঁরা স্বপ্ন দেখেন একদিন নিজেদের ঘর হবে। যেখানে ছুটির দিনে থাকবে আড্ডা, বৃষ্টির দিনে রান্না হবে ভুনাখিচুড়ি। এই স্বপ্ন বুকে ধারণ করে তাঁরা শেষ করেন ছাত্রজীবন, নেমে পড়েন জীবন-সংগ্রামে।

ধীরে ধীরে চোখের সামনে বদলে গিয়েছে ঢাকা। চারপাশ গড়ে উঠেছে সুউচ্চ আধুনিক দালান। বয়স চল্লিশ পেরোনো তিন বন্ধু চাকরি থেকে সঞ্চিত টাকা দিয়ে খুঁজছেন নিজেদের সেই স্বপ্নের ঘর। ঈদের পুনর্মিলনীতে একটি কথাই উঠে আসে, ‘এত বছরের সঞ্চয়ে কোথায় নেওয়া যায় অ্যাপার্টমেন্ট?’ চারপাশে অসংখ্য রিয়েল এস্টেট কোম্পানি, যেগুলো সময়মতো প্রকল্প হ্যান্ডওভার করতে পারে না। তা ছাড়া বুকিংয়ের আগের কথার সঙ্গে যেন পরের কথার কোনো মিল নেই। আলোচনা যখন তুঙ্গে, তখন সুমন সদ্য অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন—এমন সিনিয়র কলিগের কথা বন্ধুদের জানান। যিনি শেল্‌টেক্‌ থেকে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনে নির্ধারিত সময়ে চাবি হাতে পেয়েছেন। এবার তিনজন মিলে অনলাইনে খোঁজাখুঁজি করে দেখেন, গত ৩৭ বছরে ৪ হাজার ১০০টিরও বেশি ইউনিট সঠিক সময়ে হস্তান্তর করা শেল্‌টেক্‌-এর আছে সাধ্যের মধ্যে উন্নতমানের অ্যাপার্টমেন্ট। তাঁরা প্রত্যেকেই শেল্‌টেক্‌-এর ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট দেখে আশার আলো খুঁজে পায়।

ঈদের ছুটি শেষ হলে তাঁরা শেল্‌টেক্‌-এর কার্যালয়ে এসে প্রকল্পগুলো যাচাই করেন এবং নিজেদের পছন্দমতো কিছু আবাসন প্রকল্প শর্টলিস্ট করেন। যেগুলো হলো—

আধুনিক জীবনধারার সুযোগ-সুবিধা, মানসম্পন্ন নির্মাণ ও নিখুঁত নকশার সমন্বয়ে গড়ে উঠছে প্রতিটি প্রকল্প.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অ য প র টম ন ট প রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেস শুরু ১৯ সেপ্টেম্বর

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ত্রয়োদশ কংগ্রেস (কেন্দ্রীয় সম্মেলন) আগামী ১৯ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যেই দলের সব শাখা, উপজেলা ও জেলা সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে। গত শুক্র ও শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির দু'দিনব্যাপী সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সভার সিদ্ধান্তগুলো জানানো হয়। 

সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে সভায় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, করণীয় ও সরকারের সংস্কারবিষয়ক আলোচনা উত্থাপন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক লুনা নূর। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দলের প্রেসিডিয়াম, কেন্দ্রীয় কমিটি ও কন্ট্রোল কমিশনের সদস্য ও সংগঠকরা।

সভায় সারাদেশে অব্যাহত মব-সন্ত্রাস, খুন-ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এবং এসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জননিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে বিদ্যমান সংকট উত্তরণে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা এবং গণঅভ্যুত্থানে সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের বিচার দৃশ্যমান করার দাবি জানানো হয়। 

সভায় চট্টগ্রাম বন্দর লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসাসহ দেশকে সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী শক্তির স্বার্থরক্ষার ভূমিকা নেওয়ার সরকারি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি ও ১৮ জুলাই ‘শহীদ রেজভী দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ