Prothomalo:
2025-06-22@07:53:11 GMT

প্রথম গাড়ি কেনায় ১০ পরামর্শ

Published: 22nd, June 2025 GMT

শহরের মধ্যবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্তদের মধ্যে গাড়ি কেনায় আগ্রহ বেড়েছে। সন্তানদের স্কুল–কলেজে আনা–নেওয়া আর নিজের অফিসে যাতায়াতসহ দৈনন্দিন চলাচলের জন্যই মূলত তাঁরা ব্যক্তিগত গাড়ি কিনতে চান। কষ্টের টাকায় প্রথম গাড়ি কেনার আগে একজন ক্রেতাকে নানা দিক ভাবতে হয়। দেখা যাক, গাড়ি কেনার আগে একজন ক্রেতাকে কোন কোন বিষয় বিবেচনায় রাখতে হয়।

১.

প্রয়োজন বুঝে গাড়ির ধরন ঠিক করুন

কেন গাড়ি কিনছেন, এটা ভাবতে হবে। দৈনন্দিন অফিস যাতায়াত ও পরিবার নিয়ে ভ্রমণ, নাকি দীর্ঘ দূরত্বে যাওয়া? যদি শহরের ভেতরে ছোট পরিবার নিয়ে চলাফেরা করেন, তাহলে হ্যাচব্যাক বা সেডান শ্রেণির ছোট গাড়ি যথেষ্ট। বড় পরিবার বা ঘন ঘন দূরপাল্লার ভ্রমণের জন্য এসইউভি ধরনের গাড়ি বেছে নিতে পারেন।

২. নতুন না পুরোনো গাড়ি

বাংলাদেশের বাজারে নানা দামের গাড়ি পাওয়া যায়। রিকন্ডিশন্ড বা পুরোনো গাড়ির দাম কিছুটা কম। রিকন্ডিশন্ড গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বড় হিস্যা জাপানি টয়োটা ব্র্যান্ডের। নতুন গাড়ির চেয়ে দামও বেশ কম। পুরোনো গাড়ি কেনার আগে একজন দক্ষ মেকানিকের মাধ্যমে গাড়িটি দেখিয়ে নেওয়া ভালো।

পুরোনো গাড়িতে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কিছুটা বেশি। নতুন গাড়িতে এই খরচ কিছুটা কম। নতুন গাড়ি কিনলে প্রথম কয়েক বছর রক্ষণাবেক্ষণে বড় কোনো খরচ হয় না।

৩. সবকিছুর আগে দাম

গাড়ি কেনার আগে ক্রেতাদের নিজ নিজ সামর্থ্যের কথা ভেবে গাড়ি পছন্দ করতে হয়। সে জন্যই হয়তো সব মিলিয়ে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দিকেই বাংলাদেশের ক্রেতাদের বেশি ঝোঁক। তবে স্বপ্নের সঙ্গে সামর্থ্যের সংযোগ ঘটাতে না পারলে অনেকে আবার দেশে ব্যবহৃত পুরোনো গাড়ি কেনেন। যা–ই হোক, ব্যক্তিগত গাড়ি হিসেবে ১৫০০ সিসির গাড়িই বেশি পছন্দ ক্রেতাদের।

বর্তমানে ২০০০ সাল থেকে শুরু করে পরের বছরগুলোর মডেলের পুরোনো গাড়ি বেশি বিক্রি হয়। দাম কমবেশি ১০ লাখ টাকা থেকে হয়। অন্যদিকে ১৫০০ সিসির নতুন গাড়ি কিনতে আপনাকে ২৫ লাখ টাকার বেশি বাজেট নিয়ে নামতে হবে।

৪. ঋণ নেবেন কি না, ভাবুন

গাড়ি কেনার আগে টাকার জোগান কীভাবে হবে, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা দরকার। গাড়ি কেনার জন্য অনেকেই ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিগত বা গাড়ির ঋণ নিয়ে থাকেন। আপনার আয় যদি নিয়মিত হয় এবং কিস্তি পরিশোধের সামর্থ্য থাকে, তাহলে গাড়ির ঋণ পাওয়া যায়। তবে মাসিক কিস্তি যেন আপনার মোট আয়ের পাঁচ ভাগের এক ভাগের বেশি না হয়, এটা বিবেচনায় রাখতে হবে। এটা মাথায় রাখুন।

অনেকে নিজের কিছু জমানো টাকার পাশাপাশি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েও গাড়ি কেনা ভালো। ধরুন, আপনার নিজের ১০ লাখ টাকা আছে। ব্যাংক থেকে আরও ২০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে গাড়ি কিনতে পারবেন। এতে ঋণের কিস্তির চাপ কম হবে। বর্তমানে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত গাড়ির ঋণ পাওয়া যায়। হাইব্রিড গাড়ির ক্ষেত্রে দামের ৭০ শতাংশ ঋণ মেলে।

৫. শুধু দাম নয়, খরচও ধরুন

অনেকে শুধুই গাড়ির মূল দাম হিসাব করেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, মোট খরচে আছে, যেমন নিবন্ধন ফি, লাইসেন্স ও ফিটনেস খরচ, সার্ভিসিং, চালকের বেতন, মাসিক জ্বালানি খরচ। এসব খরচ চালাতে পারবেন কি না, তা বিবেচনায় রেখে গাড়ি কেনার কথা ভাবুন। এ ছাড়া ইএমআই (ঋণের কিস্তি) থাকলে, সেটাও মাসিক বাজেটের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে।

৬. যন্ত্রাংশের বাজারও গুরুত্বপূর্ণ

শুধু গাড়ি কিনলেই হবে না, গাড়ি কেনার পর যেকোনো সময়ে গাড়ির সমস্যা হতে পারে। নির্দিষ্ট সময় পরপর গাড়ির কিছু যন্ত্র বা যন্ত্রাংশও পাল্টানোর দরকার পড়ে। ওই সব যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ যদি বাজারে না পাওয়া যায় কিংবা সহজলভ্য না হয়, তাহলে তো বিপদ। তাই গাড়ির যন্ত্রাংশ সহজে পাওয়া যায়, এমন গাড়ি কিনতেই বেশি আগ্রহী হন ক্রেতারা।

৭. গাড়ির কাগজপত্র যাচাই করুন

গাড়ির মালিকানা, ফিটনেস সনদ, ইনস্যুরেন্স, করপত্র সব হালনাগাদ আছে কি না, বিশেষ করে পুরোনো গাড়ির ক্ষেত্রে এগুলো অবশ্যই যাচাই করতে হবে।

৮. বিমা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করুন

গাড়ির জন্য তৃতীয় পক্ষের বিমা করা বাধ্যতামূলক। দুর্ঘটনা বা ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক চাপ এড়াতে বিমা থাকা খুবই জরুরি।

৯. বিক্রি করলে দাম কেমন

গাড়ি কেনার সময় বিক্রির কথাও ভাবেন অনেক ক্রেতা। কয়েক বছর ব্যবহারের পরে বিক্রি করতে চাইলে কোন গাড়ির দাম কত পাওয়া যেতে পারে, তা চিন্তা করেও অনেক ক্রেতা কোন কোম্পানির গাড়ি কিনবেন, তা ঠিক করেন। পুরোনো গাড়ি বেচাকেনায় বাংলাদেশে টয়োটা গাড়ির বাজারই সবচেয়ে ভালো। কারণ, দেশের বাজারে এই ব্র্যান্ডের গাড়ির যন্ত্রাংশই অধিকতর সহজলভ্য।

১০. নিজেকে তিনটি প্রশ্ন করুন

গাড়ি কেনার আগে নিজেকে তিনটি প্রশ্ন করেন। প্রথমত, আমি কি এই গাড়ি চালাতে জ্বালানি, রক্ষণাবেক্ষণসহ বিভিন্ন খরচে প্রস্তুত? দ্বিতীয়ত, আমার প্রয়োজন অনুযায়ী উপযুক্ত গাড়িটি কি পেয়েছি? তৃতীয়ত, ভবিষ্যতে যদি গাড়িটি বিক্রি করি, তাহলে যথাযথ মূল্য পাব কি? এসব প্রশ্নের উত্তরের সঙ্গে লুকিয়ে আছে আপনার গাড়ির স্বপ্ন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক ন র আগ নত ন গ ড় র জন য আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

ডেঙ্গুতে এক দিনে ৩৫২ জন হাসপাতালে, মৃত্যু ১

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ বেড়েছে। সর্বশেষ এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩৫২ রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ে ডেঙ্গুতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

আজ শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির ও একজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। এ নিয়ে চলতি জুন মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হাজার ৮৪। আর মৃত্যু হলো ৮ জনের।

এ বছর বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোয় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি। আজকের হিসাবে ৩৫২ জনের মধ্যে ১৬৭ জনই বরিশাল বিভাগের রোগী। এ বিভাগের মধ্যে রোগী বেশি আবার বরগুনা জেলায়। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ৬৩ জন নতুন রোগী বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আজ বিকেল পর্যন্ত ওই হাসপাতালে ২২১ রোগী ভর্তি ছিলেন।

হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আজ একজন নারীর মৃত্যুর খবর দিয়েছে। ২৫ বছর বয়সী ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে কুমিল্লা ট্রমা সেন্টারে। তাঁর বাড়ি কুমিল্লা জেলার বরুড়ার নলুয়ায়। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর প্রায় অর্ধেক নারী।

তবে সরকারি হিসাবে ডেঙ্গুর প্রকৃত অবস্থার প্রতিফলন ঘটছে না বলে মনে করেন অনেক জনস্বাস্থ্যবিদ। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পরও অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন না। অন্যদিকে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সব তথ্য সরকারের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বরগুনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১ জন। সরকারি পরিসংখ্যানে দেখানো হচ্ছে ৫ জন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • একটানা ৩৭ ঘণ্টা উড়ে ইরানে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান
  • উপদেষ্টা পরিষদে আজ পাস হতে পারে বাজেট
  • ইরান-ইসরায়েল সংঘাত দীর্ঘায়িত হওয়ার পথে
  • বড় হওয়ার ক্ষেত্রে পরিবারকেও ভূমিকা রাখতে হয়
  • একটি সম্ভাবনাময় উদ্যোগ
  • করোনায় আরো ২ জনের মৃত্যু
  • বেরোবি শিক্ষকের মুক্তি চায় রাবির সাংবাদিকতা বিভাগ
  • চট্টগ্রামে করোনায় একজনের মৃত্যু, মোট আক্রান্ত ৬২ 
  • ডেঙ্গুতে এক দিনে ৩৫২ জন হাসপাতালে, মৃত্যু ১