রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় নজরুল ব্যাপারী (৩০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে দৌলতদিয়া যৌনপল্লিসংলগ্ন একটি ডোবার পাশ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশ।

নজরুল ব্যাপারী দৌলতদিয়া ইমানখার পাড়ার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও জুয়া আইনে দুটি মামলা আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে এক জোড়া স্যান্ডেল, একটি মুঠোফোন, একটি চাবির ছোড়া ও একটি পাঞ্জাবি আলামত হিসেবে জব্দ করেছে পুলিশ।

নজরুলের আরেক ভাই আরশাদ ব্যাপারী ২০১৬ সালে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। তাঁর বিরুদ্ধেও মাদক, জুয়া ও ছিনতাইয়ের বেশ কয়েকটি মামলা ছিল।

নিহত ব্যক্তির বড় ভাই এরশাদ ব্যাপারী বলেন, নজরুল দৌলতদিয়া পূর্বপাড়া যৌনপল্লির ভেতর পান-সিগারেটের দোকান করতেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় দোকান থেকে বাড়ি আসেন। রাতের খাওয়া শেষে ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। সকালে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাইয়ের লাশ পান। নজরুলের স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে আছে। কে বা কারা, কী কারণে ওকে মেরেছে, তিনি বলতে পারছেন না। তিনি ভাই হত্যার বিচার চান।

সকাল আটটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, লাশের চারপাশে ভিড় করছেন স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সদস্যরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

ঘটনাস্থল রেলওয়ের সীমানা পিলারের মধ্যে থাকলেও রেলওয়ে পুলিশ সুরতহালে অস্বীকৃতি জানায়। পরে গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশ সুরতহাল শেষ করে ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি নেয়। সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, নিহত নজরুল ব্যাপারীর মাথার ডান পাশে, ঘাড়, পিঠ, শরীরের কয়েকটি স্থানে, ঊরু, হাঁটুর নিচে ও হাতে ধারালো অস্ত্রের ছয় থেকে সাতটি কোপের চিহ্ন আছে। প্রতিটি আঘাতের অনেক গভীর ক্ষত আছে।

ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ নজরুলকে হত্যা করেছে। গতকাল রাত থেকে আজ ভোরের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ লতদ য় নজর ল

এছাড়াও পড়ুন:

খেলার আগে–পরে এত কথা, মাঠে আগের মতোই ভারতের একতরফা জয়

অনেকটা একই চিত্রনাট্য। ম্যাচের আগে উত্তাপ ছড়াল নানা ঘটনাপ্রবাহ। মাঠের ভেতরে সামান্য তর্কেও জড়ালেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। কিন্তু ক্রিকেটীয় লড়াই? তা থেকে গেল একপেশেই। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নীল সমুদ্রের পালে হাওয়া লাগল ঠিকই। কিন্তু ভারত–পাকিস্তান ঐতিহ্যের ক্রিকেট রোমাঞ্চ পানসে হওয়ার বেদনাও হয়তো থেকে গেল কোথাও।

দুবাইয়ে রোববার এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে ভারতের ৬ উইকেটের জয়ে একটা নতুন ইতিহাসও লেখা হলো। শেষ ছয়টি ম্যাচেই এই লড়াইয়ে জয়ী দলের নাম ভারত। এর আগে ভারত–পাকিস্তান লড়াইয়ের ৭৪ বছরের ইতিহাসে কখনো টানা পাঁচটির বেশি ম্যাচ জিততে পারেনি কোনো দল; এবার হলো সেটাই। ৩ বছর আগে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে এই দুবাইয়েই ভারতের বিপক্ষে শেষ জয়টা পেয়েছিল পাকিস্তান। এর পর থেকে সব ম্যাচেরই জয়ী দলের নাম ভারত। আজ তো পাকিস্তানের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশ রান তাড়া করেই জিতল তারা।

ম্যাচের মাঝবিরতিতে অবশ্য মনে হচ্ছিল এবার হয়তো লড়াইটা অন্তত গ্রুপ পর্বে দুই দলের আগের ম্যাচের চেয়ে বেশি হবে। ভারতীয় ফিল্ডারদের ক্যাচ ছেড়ে দেওয়ার দায় তো আছেই, তবে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরাও এক সপ্তাহ আগের ম্যাচের চেয়ে ভালো করেছিলেন।  

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেছেন ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান

সম্পর্কিত নিবন্ধ