গত ১৯ জুন কারাফটকে বিয়ে করেন শিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল। তার আইনজীবী আজ জানালেন, নোবেল বাবা হতে চলেছেন। মঙ্গলবার আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে এই খবর জেনেছেন নোবেল।

আদালত নোবেলের জামিন মঞ্জুরের পর তার আইনজীবী মো. খলিলুর রহমান জানান, নোবেল ও তার স্ত্রী ইসরাত জাহান প্রিয়া বাবা-মা হতে চলেছেন।

বিয়ের পাঁচদিন পর নোবেলের স্ত্রীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর প্রসঙ্গে এই আইনজীবী বলেন, নোবেল-প্রিয়া গত বছর বিয়ে করে একসঙ্গে বসবাস করছিলেন। তখন কাবিন রেজিস্ট্রি করা ছিল না। এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে মামলা হয়। এখন ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে এবং গত ১৯ জুন কারাগারে আবার তাদের বিয়ে হয়েছে।

এদিন ডেমরা থানায় হওয়া নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি মামলায় এক হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন পেয়েছেন নোবেল। জামিনের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহাবুব। আদালতে জামিনের বিষয়ে আপত্তি না থাকার কথা জানান তার স্ত্রী প্রিয়া। তবে নোবেল নিজে এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি।

এর আগে হাসিখুশি অবস্থায় কড়া নিরাপত্তায় আদালতে প্রবেশ করেন নোবেল। এর কিছুক্ষণ পরই হাস্যোজ্জ্বল মুখে উপস্থিত হন তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী ইসরাত জাহান প্রিয়াও। তিনিই ছিলেন নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার বাদী। আদালতে প্রবেশ করে কাঠগড়ায় থাকা নোবেলের কাছে যান তিনি। বেশ আনন্দের সঙ্গে দুজন গল্প করেন কিছুক্ষণ।

এরপর নোবেলকে আদালত থেকে পুনরায় কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ। এসময় সারাক্ষণ প্রিয়ার হাত ধরেই হাঁটছিলেন নোবেল। আদালতের লিফটে ওঠার সময়ও প্রিয়াকে সঙ্গে নেন তিনি।

গত ২০ মে থেকে কারাগারে ছিলেন নোবেল। বাদীর মামলার অভিযোগে বলা হয়, ওই নারীকে সাত মাস ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছিলেন এই সংগীতশিল্পী। এই মামলার শুনানিতে গত ১৮ জুন (বুধবার) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক নাজমিন আক্তার নোবেলকে জামিন দেওয়ার শর্ত হিসেবে বাদীকে বিয়ে করার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মেনে বিয়ে করে জামিন পান নোবেল।

পরে ১৯ জুন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে আনুষ্ঠানিকভাবে নোবেল বিয়ে করেন মামলার বাদী ইসরাত জাহান প্রিয়াকে। বিয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন উভয় পরিবারের সাক্ষী নাজমা হোসেন, সাবিহা তারিন, মো.

খলিলুর রহমান এবং মো. সাদেক উল্লাহ ভূইয়া।

কারা সূত্রে জানা গেছে, এই বিয়েতে দেনমোহর নির্ধারণ করা হয় ১০ লাখ টাকা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইনজ ব

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় মশা নিয়ন্ত্রণে অবিলম্বে যথাযথ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ

ঢাকার আক্রান্ত সব এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণে অবিলম্বে যথাযথ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ঢাকার দুই (উত্তর ও দক্ষিণ) সিটি করপোরেশনের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন। পদক্ষেপ বিষয়ে আগামী দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

ঢাকার আক্রান্ত এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সালেকুজ্জামান সাগর গত মাসে রিটটি করেন। রিটে মশার উপদ্রব এবং চিকনগুনিয়া, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়া নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী মো. সালেকুজ্জামান সাগর নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মহাদ্দেস-উল-ইসলাম ও মাহফুজ বিন ইউসুফ।

আদেশের পর আইনজীবী মো. সালেকুজ্জামান সাগর প্রথম আলোকে বলেন, ‘মশার উপদ্রব নজিরবিহীন হলেও তা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ না দেখে রিটটি করা হয়। যেদিন রিটটি দায়ের করা হয়, সেদিন ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৮৯০, মৃতের সংখ্যা ছিল ১৩। আজ আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৭৫৮ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। মশা নিয়ন্ত্রণে কী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানিয়ে দুই সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’

বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা খবর অনুযায়ী, ঢাকায় মশা নিয়ন্ত্রণে নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতার কারণে জীবনের জন্য হুমকি এমন চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকায় আক্রান্ত সব এলাকায় অবিলম্বে মশা নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকারসচিব, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নরসিংদী ডিসি অফিসের কর্মচারীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
  • আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগের ক্ষেত্রে মানদণ্ড থাকতে হবে: টবি ক্যাডম্যান
  • ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন নোবেল
  • টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে: দুদক চেয়ারম্যান
  • বাদীকে বিয়ের পর জামিন পেলেন নোবেল 
  • ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন নোবেল
  • ধর্ষণ মামলায় শিল্পী নোবেলের জামিন
  • মবের ঘটনায় সরকার বিবৃতি দিয়ে দায় সারতে পারে না
  • ঢাকায় মশা নিয়ন্ত্রণে অবিলম্বে যথাযথ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ