আলোচনার মধ্য দিয়ে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব: আলী রীয়াজ
Published: 25th, June 2025 GMT
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি জাতীয় সনদের জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল মাল্টিপারপাস হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের বৈঠকের ষষ্ঠ দিনের আলোচনার শুরুতে আলী রীয়াজ এই আশার কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি, আপনাদের সাথে আলোচনা করছি যে কোন কোন জায়গায় পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন-সংযোজনের মধ্য দিয়ে আমরা অভীষ্ট লক্ষ্যে, অর্থাৎ একটি জাতীয় সনদের জায়গায় পৌঁছাতে পারব। আমার আস্থা ও বিশ্বাস আছে যে আমরা পারব।’
রাজনৈতিক দলগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, আলোচনায় ক্ষেত্রবিশেষে অগ্রগতি এবং ক্ষেত্রবিশেষে মতপার্থক্য থাকলেও তাঁরা আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন। কমিশনের বৈঠক ছাড়াও রাজনৈতিক দলের নেতারা আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে পরস্পরের মধ্যে কথা বলছেন। এটি একটি ইতিবাচক দিক। আলোচনার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার আহ্বান জানান আলী রীয়াজ।
আজকের আলোচনায় অংশ নিয়েছে বিএনপি, এনসিপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।
বৈঠকে সংবিধান ও রাষ্ট্রের মূলনীতি, এনসিসি, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আজকের আলোচনায় আরও উপস্থিত আছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দেশকে বিপর্যয়ে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে: ইসমাইল জবিউল্লাহ
জাতীয় সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি নিয়ে আন্দোলনের নামে নির্বাচন নস্যাৎ, গণতন্ত্র ব্যাহত ও দেশকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) লক্ষ্মীপুর সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, এই সুযোগে পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিবাদ আবার ফিরে এসে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে। অহেতুক আন্দোলনের নামে বিভাজন ও উত্তেজনা গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী।
জামায়াতে ইসলামী আস্থাহীন দল, উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় জামায়াত একবারও জাতীয় নির্বাচনে পিআর পদ্ধতির কথা বলেনি। তারা শুধু উচ্চকক্ষের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতির কথা বলেছে। কাজেই এই আন্দোলনের পেছনে অন্য উদ্দেশ্য আছে।
তিনি বলেন, প্রশ্ন হলো—হঠাৎ করে কেন পিআর পদ্ধতি নিয়ে মাঠে নামছেন? আমরা যখন সবাই মিলে ঐকমত্য কমিশনে বসে এখনো কথা বলছি, এখনো যখন আলোচনা হচ্ছে, সেই আলোচনার টেবিল বাদ দিয়ে বাইরে আন্দোলনের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা জনগণ কখনো মেনে নেবে না। এ ব্যাপারে আমাদেরকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরো বলেন, পিআর পদ্ধতি ইতোমধ্যে পঁচে গেছে। আপনি কাকে ভোট দেবেন, আপনি সেটাই জানেন না। আপনি ভোট দেবেন লক্ষ্মীপুরে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে। কেন দেবেন, কারণ তাকে আপনি চেনেন। শুধু ধানের শীষ নিয়ে কথা না, ওই ব্যক্তিটাকেও আপনি চেনেন, তার ভালো-মন্দ জানেন, বিপদে-আপদে তার কাছে যাবেন, সে আপনার এমপি। আপনি বলতে পারবেন, লক্ষ্মীপুরের এমপিকে আপনি চেনেন। পিআর পদ্ধতিতে আপনি লক্ষ্মীপুর থেকে উনাকে না দিয়ে পঞ্চগড়ে ভোট দিয়ে দিতে পারে, আপনি জানবেন না। এই কথাগুলো উনারা বোঝেন না, এটা ঠিক নয়। আমি মনে করি, এরা জ্ঞানপাপী, বুঝেও না বোঝার ভান করছেন উনারা।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পূর্ব বিএনপির আহ্বায়ক মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া।
সদর উপজেলা পূর্ব বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ মোহাম্মদ এমরান ও সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান হারুনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি প্রমুখ।
ঢাকা/লিটন/রফিক