বেতন বৈষম্য নিরসনসহ পাঁচ দফা দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতকরণে অন্তরায় ও সমসাময়িক সংকট নিরসন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় পাঁচ দফা দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

তাদের দাবিগুলো হলো-

১.

বেতন বৈষম্য নিরসন: সহকারী শিক্ষক ১১তম গ্রেড ও অবিলম্বে ৬৫ হাজার ৫২৪ জন প্রধান শিক্ষককের ১০ গ্রেডের জিও জারি করতে হবে।

২. সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে প্রধান শিক্ষক পদে ১০০ ভাগ পদোন্নতি, চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের যোগদানের তারিখ থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি এবং প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতি চালু করতে হবে।

৩. ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে শর্তহীনভাবে উচ্চতর গ্রেড বাস্তবায়ন করতে হবে।

৪. বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কার্যালয় ষড়যন্ত্রমূলক সরকারি ভূমি অধিগ্রহণ হতে মুক্ত করতে হবে।

৫. অবিলম্বে ৯ম পে স্কেল ঘোষণা করতে হবে।

পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি বলেন, আগামী ১৩ জুলাই জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। পরে ১৪ জুলাই মহাপরিচালক ও সচিবর মাধ্যমে ৭৩/২০২৩ পদোন্নতির মামলা সমাধানপূর্বক চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের যোগদানের তারিখ থেকে একই স্মারকে পদোন্নতি প্রদান। ১৪ আগস্ট বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টার সাথে দাবির যৌক্তিকতা উপস্থাপনের জন্য সাক্ষাৎ। এছাড়া ২৮ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সকাল ১০টা থেকে ৫ দফা দাবিতে আমরণ অনশন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা এবং সাবেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীরনগন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এবং গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সহসভাপতি ও উপদেষ্টা বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, কেন্দ্রীয় কমিটি ভিপি ইব্রাহিম।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন শাহীন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির নীতি নির্ধারণী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নির্বাহী সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইমরান হোসেন, দফতর সম্পাদক মো. মিরাজ হোসেন মোল্লা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আলম নাশরাহ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আবু নাছের আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোছা. সালমা ও মার্জিয়া পুষ্প প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ন দ র য় কম ট শ ক ষকদ র উপদ ষ ট কম ট র উপস থ

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ