বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের এশিয়া কাপ নিশ্চিত হয়েছে এক ম্যাচ আগেই। আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় তুর্কমেনিস্তানে বিপক্ষে নিয়মরক্ষার ম্যাচে নেমেছে বাংলাদেশ।

বৃটিশ কোচ পিটার বাটলার মিয়ানমার ম্যাচের একাদশ এই ম্যাচেও অপরিবর্তিত রেখেছেন। ম্যাচের তিন মিনিটেই স্বপ্নার গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর শামসুন্নাহার গোল করেন ৬ মিনিটে।

কাগজে-কলমে বাংলাদেশ এই ম্যাচে ফেভারিট। সাম্প্রতিক সময়ে জর্ডান, বাহরাইন, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমারের মতো দলকে হারিয়েছে যারা র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। এতে তুর্কমেনিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারানোর প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের।

বাংলাদেশ একাদশ: রুপ্না চাকমা (গোলরক্ষক), আফিদা খন্দকার (অধিনায়ক), শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার, কোহাতি কিসকু, মারিয়া মান্ডা, মনিকা চাকমা, স্বপ্না রাণী, ঋতুপর্ণা চাকমা, শামসুন্নাহার ও তহুরা খাতুন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ছোট সড়কে বড় যানবাহন দুর্ভোগ চরমে

কর্ণফুলী উপজেলার আলম মাঝির সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। জুলধা ইউনিয়নের জামতলা বাজার থেকে পাইপের গোড়া পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার অংশ কাদা পানিতে একাকার। সড়কে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। সড়কটি ছোট, কিন্তু সড়কে প্রতিদিন বিভিন্ন শিল্পকারখানার শতাধিক ভারী যানবাহন চলাচল করে। এতে সড়কের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, এই সড়কের পাশে রয়েছে এইচ এম স্টিল, জুলধা পাওয়া প্ল্যান, মোস্তাফা হাকিম গ্রুপের বিভিন্ন কারখানা, আবুল খায়ের স্টিলসহ ৮টি ইটভাটা। এসব কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের যানবাহন চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কের অবস্থা খারাপ হচ্ছে। 
সরেজমিন দেখা যায়, সড়কটির পাশে রয়েছে জুলধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাউছিয়া হোসাইনিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা, জুলধা ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, জুলধা ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। যে কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন এ সড়কে।
সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে সড়কটির প্রায় ২ কিলোমিটারজুড়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়কে প্রতিদিন ছোট বড় হাজারো যানবাহন চলাচল করে। রাস্তার বেহাল দশার কারণে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। আবার জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্সে অসুস্থ রোগী ও প্রসূতি পরিবহনে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. মামুন বলেন, ‘সড়কের বেহাল দশার কারণে গাড়ি চলাচল কমে গেছে। কোনো রিকশাচালক এ সড়ক দিয়ে যেতে চান না। জরুরি কাজে বের হওয়া মানুষদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। বর্তমানে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায় সড়কে। তখন গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা হাঁটাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। দূর থেকে দেখলে তখন সড়কটিকে খাল মনে হয়।’
কর্ণফুলী উপজেলা প্রকৌশলী তসলিমা জাহান বলেন, ‘সড়কটি সংস্কারের জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ