নন্দিত পপশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ গানের পাশাপাশি পরিচালনাও করছেন। দীর্ঘ বিরতির পর এবার তিনি নির্মাণ করতে যাচ্ছেন একটি টিভি সিরিজ। গোয়েন্দা গল্পের এ সিরিজর নাম ‘সিক্রেট ফাইল’-আমরা গোয়েন্দা। এটি পরিচালনার পাশাপাশি মূল চরিত্রে অভিনয়ও করবেন তিনি। এ ছাড়া নতুন কিছু অভিয়নশিল্পীকে দেখা যাবে তাঁর সিরিজে। বর্তমানে এর চিত্রনাট্যের কাজ চলছে পুরোদমে। বর্ষা মৌসুম শেষ হলেই এর দৃশ্যধারণ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন এই কণ্ঠশিল্পী। 

ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘গোয়েন্দা গল্পের ওপর আমার বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে। অনেকদিন আগ থেকেই ইচ্ছা ছিল এ ধরনের গল্প নিয়ে একটি টিভি ধারাবাহিক নির্মাণের। সময়-সুযোগ হয়ে উঠছিল না। অবশেষে এটি নির্মাণ করতে যাচ্ছি। প্রথম সিজনের ৩৫ পর্বের শুটিংয়ের জন্য এখন লোকেশন খুঁজছি। আশা করছি, দর্শক ভিন্ন আয়োজনের একটি সিরিজ উপহার পাবেন।’ গায়ক, অভিনেতা, নির্মাতা পরিচয়ের বাইরেও সম্প্রতি উপস্থাপক হিসেবে হাজির হয়েছেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। ‘চেনা মুখ দুঃখ সুখ’ অনুষ্ঠান উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে তিনি নাম লিখিয়েছেন উপস্থাপনায়। বর্তমানে এটি প্রচার হচ্ছে চ্যানেল আইয়ে।  

প্রথমবারের মতো উপস্থাপনায়, কেমন অভিজ্ঞতা হলো? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘অন্যরকম একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমার কাছে ভালোই লেগেছে। কারণ, নতুন একটা বিষয় নিয়ে কাজ করলাম। অতিথিদের আমি আমার মতো করে প্রশ্ন করেছি, সবাই যে যার মতো করে উত্তর দিয়েছেন। অতিথিরা দেখলাম বেশ উপভোগ করেছেন আয়োজনটি। তখনই বুঝতে পেরেছি, আমি ভালো করতে পেরেছি।’

এদিকে, ২০২৩ সালের শেষের দিকে একসঙ্গে ২২টি গান করার কথা ঘোষণা দিয়েছিলেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। এগুলো তৈরি হয়েছে। গানগুলো পর্যায়ক্রমে প্রকাশ হবে বলে জানান তিনি। নতুন গান ছাড়াও শিগগিরই ‘সন্ধ্যা মায়া’ নামে একটি সিনেমা পরিচালনা করার কথা রয়েছে এই তারকা শিল্পীর। পরিচালনার পাশাপাশি এতে অভিনয়ও করবেন তিনি। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপস থ

এছাড়াও পড়ুন:

হাতীবান্ধা থানা অবরুদ্ধ, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ গ্রেপ্তার ২

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানা–পুলিশকে অবরুদ্ধ ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলার প্রধান আসামি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহ নূরনবী কাজলসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ শনিবার সকালে উপজেলার পূর্ব বিছনদই (ঘন্টিবাজার) গ্রাম থেকে শাহ নূরনবীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার রাতে এই মামলায় মাহফুজার রহমান (বিপ্লব) নামের আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার শাহ নূরনবীর (৪০) বাড়ি উপজেলার পশ্চিম বেজগ্রাম এলাকায়। আর মাহফুজারের বাড়ি একই উপজেলার পূর্ব সিন্দুর্না গ্রামে।

প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হামলা ও ভাঙচুরের সময় পাশের হাতীবান্ধা থানা বিএনপির নেতা-কর্মীরা অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, হাতীবান্ধা থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা যাতে পাটগ্রামে উদ্ধার করতে যেতে না পারেন, সে জন্য তাঁদের অবরুদ্ধ করা হয়।

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার মামলা করে হাতীবান্ধা থানা-পুলিশ। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, যুবদল ও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বুধবার রাতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হামলা চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ সুপারের নির্দেশে পাটগ্রাম থানার পুলিশকে উদ্ধারে বের হয় হাতীবান্ধা থানার পুলিশ। এ সময় পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শাহ নূরনবী কাজল, মো. ইউনুস আলী খন্দকারসহ এজাহারভুক্ত আসামিরা।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন নবী বলেন, গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে লালমনিরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ