বিস্ময়বালক বৈভব সূর্যবংশীর ব্যাটের ঝলক চলছেই। একের পর এক রেকর্ডও গড়ে চলেছেন ভারতের ১৪ বছর বয়সী ক্রিকেটার। আজ উস্টারের নিউ রোডে কাউন্টি গ্রাউন্ডে তিনি ঝড় তুলেছেন ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব–১৯ দলের বিপক্ষে ভারতের অনূর্ধ্ব–১৯ দলের যুব ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে।  

আরও পড়ুনএবার ২০ বলে ফিফটি সূর্যবংশীর, ৯ ছক্কায় নতুন রেকর্ড ০২ জুলাই ২০২৫

টসে হেরে ভারতের হয়ে আইয়ুশ মাহাত্রের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে ৭৮ বলে ১৪৩ রান করেছেন বৈভব। এই ইনিংসটি খেলে তিনি একই সঙ্গে ভেঙেছেন যুব ওয়ানডের তিনটি রেকর্ড। ১৪৩ রান করার পথে সেঞ্চুরি ছুঁয়েই জোড়া রেকর্ড গড়ে ফেলেন বৈভব।

যুব ওয়ানডেতে ভারতের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান হয়েছেন বৈভব। তিনি ভেঙেছেন সরফরাজ খানের এক দশকের পুরোনো রেকর্ড। ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব–১৯ দলের বিপক্ষে ১৫ বছর ৩৩৮ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করেছিলেন সরফরাজ। বৈভব সেঞ্চুরি করলেন ১৪ বছর ১০০ দিন বয়সে।

এটা তাঁকে পুরো বিশ্ব মিলিয়েই যুব ওয়ানডের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান বানিয়ে দিয়েছে। যে রেকর্ডটি এত দিন ছিল বাংলাদেশের নাজমুল হোসেনের। ২০১৩ সালে তিনি সেঞ্চুরি করেছিলেন ১৪ বছর ২৪১ দিন বয়সে।

আরও পড়ুনইংল্যান্ডে কোহলির ‘১৮’ পরে প্রথম ম্যাচেই সূর্যবংশীর বেধড়ক পিটুনি২৮ জুন ২০২৫

১৩ চার ও ১০ ছক্কায় ৭৮ বলের ইনিংসটি খেলার পথে বৈভব সেঞ্চুরি করেছেন ৫২ বলে। ভেঙে ফেলেছেন তিনি যুব ওয়ানডের দ্রুততম সেঞ্চুরি রেকর্ড, যেটি এর আগে ছিল পাকিস্তানের কামরান গুলামের। ২০১৩ সালে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব–১৯ দলের বিপক্ষে তিনি সেঞ্চুরি করেছিলেন ৫৩ বলে।

এর আগে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব–১৯ দলের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেও একটি রেকর্ড গড়েছিলেন বৈভব। সেই ম্যাচে ২০ বলে ফিফটি করা বৈভব খেলেছিলেন ৩১ বলে ৮৬ রানের ইনিংস। মেরেছিলেন ৯টি ছক্কা, যেটা যুব ওয়ানডেতে এক ম্যাচে ভারতের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ছক্কা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় দপ্তরের দায়িত্বভার একজনের কাঁধে

একসঙ্গে ছয় জায়গায় দায়িত্ব পালন করছেন খুলনা বিভাগীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা মো. হুসাইন শওকত। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক), খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক, নৌ পরিবহন মালিক গ্রুপের প্রশাসক, খুলনার স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক এবং জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রশাসকের দায়িত্বে রয়েছেন এই কর্মকর্তা।
একসঙ্গে ছয় দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে তিনি কোথাও পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছেন না। এক দপ্তরের ফাইল নিয়ে ছুটতে হচ্ছে অন্য দপ্তরে। নিয়মিত সব অফিসে যেতে না পারায় দপ্তরগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কাজে ফাঁকি, ধীরগতিসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এজন্য জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে অন্য কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিতে স্থানীয় সরকার সচিবকে চিঠি দিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

২০২৪ সালের ২৮ জুলাই অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) হিসেবে খুলনায় বদলি হন ২৪ ব্যাচের কর্মকর্তা হুসাইন শওকত। দক্ষ ও উদ্ভাবনী কাজের জন্য সুনাম রয়েছে তাঁর। এজন্য স্থানীয় সরকার পরিচালক পদ শূন্য হলে তাঁকে ওই পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। গত ১৯ আগস্ট খুলনাসহ ৮ বিভাগীয় শহরের জেলা পরিষদে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারদের (সার্বিক) প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী হুসাইন শওকত জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পান। খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মেয়াদ শেষ হলে দীর্ঘদিন পদ ফাঁকা ছিল। এতে কার্যক্রম পরিচালনায় জটিলতা দেখা দিলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে খুলনা বিভাগের স্থানীয় সরকার পরিচালককে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব নেন তিনি। 
ফেব্রুয়ারি মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন মালিক গ্রুপ দখল করে নেন কিছু ব্যবসায়ী। সংগঠনে অচলাবস্থা দেখা দিলে চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে (সার্বিক) ব্যবসায়ী সংগঠনটির প্রশাসক নিয়োগ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নির্দেশনাটি তিনি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছিলেন। পরে বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশে ৩ মার্চ দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় পদাধিকবারবলে জেলা পরিষদের প্রশাসককে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী হুসাইন শওকত রেড ক্রিসেন্টের দায়িত্বে রয়েছেন।

প্রতিষ্ঠানগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১০ মাসে ১০ দিনও জেলা পরিষদে অফিস করেননি প্রশাসক। আগে জরুরি সভাগুলোও বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরে হতো। তিন মাস ধরে সভাগুলো জেলা পরিষদে হচ্ছে। নিয়মিত ফাইলগুলো অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে কোনো ফাইল আটকে থাকে না।
খুলনা ওয়াসা থেকে জানা গেছে, মাসে ৫-৬ দিন তিনি অফিসে যান। ওয়াসার ফাইলও কমিশনারের দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। স্বাক্ষর করে পরদিন কর্মচারীরা নিয়ে আসেন। ফাইল আটকে না থাকলেও প্রশাসক নিয়মিত অফিস না করায় অধিকাংশ কর্মচারী নিয়মিত অফিসে থাকেন না। বিশেষ করে পাম্প অপারেটররা অধিকাংশই সময়মতো দায়িত্ব পালন করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। কর্মচারী ইউনিয়নের নেতার অফিসে প্রায়ই বিশৃঙ্খলা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
নৌপরিবহন মালিক গ্রুপ ও রেড ক্রিসেন্টেও হাতেগোনা কয়েকদিন তিনি অফিস করেছেন। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরে বসেই এসব কাজ করেন তিনি।
খুলনায় বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার রয়েছেন ৪ জন। একজনের কাঁধে স্থানীয় সরকার পরিচালকসহ এত দায়িত্ব কেন– জানতে চাইলে বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার বলেন, ‘আমি যোগ দেওয়ার আগে থেকেই তিনি দায়িত্বে রয়েছেন। দক্ষ কর্মকর্তাদের ওপর ভরসা বেশি থাকে। তারপরও প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব কীভাবে ভাগ করে দেওয়া যায়, ভাবছি।’ 
মো. হুসাইন শওকত বলেন, ‘ছয় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন কষ্টকর হলেও কোনো ফাইল তাঁর কাছে পড়ে থাকে না। নিয়মিত কাজ স্বাভাবিকভাবেই চলছে। ওয়াসায় এমডি নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। নিয়োগ হয়ে গেলে চাপ কমে যাবে। নৌপরিবহন মালিক গ্রুপেও নির্বাচনী বোর্ড গঠন করা হয়েছে। নির্বাচনের পর নতুনরাই দায়িত্ব পালন করবেন।’ তিনি জানান, কিছুদিন আগে মন্ত্রিপরিষদ ও স্থানীয় সরকার সচিবের সঙ্গে একটি সভায় দেখা হলে একসঙ্গে এত দায়িত্ব পালনের জটিলতার বিষয় তুলে ধরেন। তারা দ্রুত এটি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুই কোরীয় তারকার বিয়ে
  • ভাইরাল ভিডিও থেকে ভিনির প্রেমের গুঞ্জন
  • নড়াইলে একসঙ্গে তিন মেয়ের জন্ম দিলেন গৃহবধূ
  • পাকা চুল কালো করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন
  • ছয় দপ্তরের দায়িত্বভার একজনের কাঁধে
  • জোতা, এটা কোনো কথা হলো
  • সতীর্থ জোটার মৃত্যুতে রোনালদোর আবেগঘন বার্তা
  • প্রেমের গুঞ্জন উসকে দিলেন কার্তিক-শ্রীলীলা