ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিতে পারে এমন ইঙ্গিত পাওয়ার পরে গাজায় হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। শনিবার ভোর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৫৬ জন নিহত হয়েছে। এর আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ১৩৪। 

নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিস শহরের পশ্চিমে আল-মাওয়াসি এলাকায় বাস্তুচ্যুত তাঁবুতে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ছয়জন নিহত এবং ১০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। গাজা শহরের জেইতুন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী আল-শাফি স্কুলে বোমাবর্ষণ করে। এ ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচজন নিহত এবং আরো অনেকে আহত হয়।

চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, গাজা শহরের কাছে একটি পানি বিশুদ্ধকরণ কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় দুই ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছে।

নাসের হাসপাতালের চিকিৎসা সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, রাফাহর উত্তরে একটি সাহায্য কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে তিন শিশুসহ নয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। 

মধ্য গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে একটি বাড়ি লক্ষ্য করে ইসরায়েলি সামরিক বিমান হামলায় দুইজন নিহত হয়েছেন।

মধ্য গাজার নুসেইরাতের আল-আওদা হাসপাতাল জানিয়েছে, ওয়াদি গাজার দক্ষিণে সালাহ আল-দিন স্ট্রিটে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পর চারজন নিহত হয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে কমপক্ষে ৭০টি মৃতদেহ এবং ৩৩২ জন আহত ব্যক্তি এসেছে।

১৮ মার্চ হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর থেকে কমপক্ষে ৬ হাজার ৭৮০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৩ হাজার ৯১৬ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী কমপক্ষে ৫৭ হাজার ৩৩৮ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এর বাইরে আরো হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে।

গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থিত গাজার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজী হয়েছে ইসরায়েল। তবে হামাস এখনো এ ব্যাপারে তাদের সম্মতির কথা জানায়নি। শুক্রবার হামাসের নেতারা জানিয়েছেন, তারা গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবিত চুক্তিতে সম্মত হওয়ার কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন। তবে তারা যুদ্ধের স্থায়ী অবসান ঘটানো হবে সেই ব্যাপারে নিশ্চয়তা চেয়েছেন। 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল কমপক ষ ন ন হত ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

কেনিয়ায় ভূমিধসে নিহত ২১, নিখোঁজ ৩০

কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় রিফ্ট ভ্যালি অঞ্চলের এলগেয়ো-মারাকওয়েট কাউন্টির চেসোঙ্গোচে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে রাতারাতি ভূমিধস ঘটেছে। কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, এতে অন্তত ২১ জন নিহত এবং এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।

রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। 

আরো পড়ুন:

কক্সবাজারে পাহাড়ধস: কারণ ও করণীয়

বহু জাতি-সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্তিমূলক বাস্তবতা দেখতে পাচ্ছি না: সন্তু লারমা

শনিবার (১ নভেম্বর) কেনিয়ার স্বরাষ্ট্রসচিব কিপচুম্বা মুরকোমেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক বিবৃতি বলেন, গুরুতর আহত কমপক্ষে ২৫ জনকে এলগেয়ো-মারাকওয়েট কাউন্টি থেকে চিকিৎসার জন্য এলডোরেট শহরে বিমানযোগে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে ৩০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

তিনি জানান, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় রবিবার থেকে উদ্ধার অভিযান পুনরায় শুরু করা হবে।

স্বরাষ্ট্রসচিব আরো জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে আরো ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের প্রস্তুতি চলছে। এ কাজে সামরিক ও পুলিশের হেলিকপ্টারগুলো প্রস্তুত রাখা রয়েছে।

কেনিয়ার রেড ক্রস পাহাড়ি এলাকা চেসোঙ্গোচের আকাশ থেকে তোলা ছবি শেয়ার করেছে, যেখানে ব্যাপক কাদা ধস ও আকস্মিক বন্যা ছড়িয়ে পড়ার দৃশ্য দেখা গেছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা সরকারের সঙ্গে উদ্ধার প্রচেষ্টা সমন্বয় করছে, যার মধ্যে আহতদের বিমানযোগে স্থানান্তরও রয়েছে।

রেড ক্রস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ এক বিবৃতি বলেছে, বন্যা ও অবরুদ্ধ সড়কের কারণে কিছু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানো খুবই কঠিন।

চেসোঙ্গোচের পাহাড়ি এলাকা আগেও ভূমিধসের ঝুঁকিতে ছিল। ২০১০ ও ২০১২ সালে কয়েক ডজন মানুষ মারা গিয়েছিল এবং ২০২০ সালে প্রচণ্ড বন্যায় একটি শপিং সেন্টার ভেসে গিয়েছিল।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কেনিয়ায় ভূমিধসে নিহত ২১, নিখোঁজ ৩০