মুরাদনগরে ছেলেমেয়েসহ মাকে হত্যা: ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তা
Published: 5th, July 2025 GMT
কুমিল্লার মুরাদনগরের কড়ইবাড়ি গ্রামে মাদক ব্যবসার অভিযোগ তুলে ছেলেমেয়েসহ মাকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার ঘটনায় অবশেষে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) রাতে নিহত রোকসানা বেগমের মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহসহ ৬৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (৫ জুলাই) সকালে বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, তিনজনকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি মাহফুজ বলেছেন, “সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন আদিল শাহরিয়ারের নেতৃত্বে একটি দল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় মুরাদনগরের আকবপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে মো.
এর আগে শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতদের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে সেগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। স্থানীয়রা ভয়ে জানাজা বা কবর খোঁড়ায় অংশ নিতে রাজি হননি। পরে পুলিশের সহায়তায় মরদেহগুলো দাফন করা হয়।
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুরাদনগরে পর্নোগ্রাফি মামলায় ৪ যুবক ৩ দিন রিমান্ডে
কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ায় পর্নোগ্রাফি আইনে গ্রেপ্তার চার যুবকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে কুমিল্লার আমলী আদালত-১১ এর বিচারক মমিনুল হক তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মুরাদনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদেকুর রহমান।
রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মুরাদনগরের পাঁচকিত্তা গ্রামের সুমন, রমজান, মো. আরিফ ও মো. অনিক।
আরো পড়ুন:
আরিফুলকে হত্যা করে তারই ২ বন্ধু: পুলিশ
ভোলায় স্বামীকে নির্যাতনের পর স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, মামলা
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুন রাতে ওই গ্রামের এক প্রবাসীর বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তদের মধ্যে চারজন ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন এবং পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। এরপরই চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা অপর মামলায় অভিযুক্ত ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকা/রুবেল/বকুল