১নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন
Published: 5th, July 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (৫ জুলাই) বিকালে নাসিক ১নং ওয়ার্ডের পাইনাদী রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
নাসিক ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী মো: মনির হোসেনের সভাপতিত্বে এবং মহানগর যুবদলের সদস্য মো: জুয়েল রানার সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য মো:রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ এবং উদ্বোধক হিসবে উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য অকিল উদ্দিন ভুঁইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য ও সাবেক সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন বাদল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সদস্য রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ বলেন, এই জুলাই মাসে আমরা আজ এখানে একত্রিত হয়েছি। এই জুলাই মাসে রক্তের বিনিময়ে আপনার-আমার ভাই এবং কারো না কারোর রক্তের বিনিময়ে জুলাইয়ে আন্দোলন সংগ্রামে ত্যাগের মাধ্যমে ৩৬ জুলাই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে এ দেশটাকে মুক্ত করেছি। সেই কথা মাথায় রেখে আমাদেরকে সদস্য করতে হবে। আওয়ামীলীগের কোন দোসরকে আমাদের দরকার নেই। আগামী দিনে যারা বিএনপিকে ভোট দিবে, যারা বিএনপির আদর্শকে ভালবাসে তাদেরকে খুঁজে খুঁজে বের করে সদস্য করতে হবে।
উদ্বোধকের বক্তব্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিগত ১৭ বছর যারা স্বৈরাচারী হাসিনার জুলুম অত্যাচারে নিষ্পেশিত হয়েছেন, যারা বিএনপির দূর্দিনে নেতাকর্মীদের আশ্রয় দিয়েছেন এবং বিএনপির জন্য দোয়া করেছেন তারা বিএনপির সদস্য হবে।
যারা বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর গত ১৭ বছর জুলুম নির্যাতন, মামলা-হামলা চালিয়েছেন, বাড়ীতে থাকতে দেয় নাই, তারা কিছু টাকা নিয়ে আমাদের হাতে-পায়ে ধরবে। তাদেকে বিএনপির সদস্য পদ দেয়া যাবে না।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রিয় ভাইয়েরা আমাদের কিন্তু এখনো আন্দোলন শেষ হয় নাই। আমরা একটি গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য, আমাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য আন্দোলন করেছি।
আমাদের সে লক্ষ্য এখনো পুরণ হয়নি। আমরা এখনো সেই অবস্থায় আছি। আমাদের মধ্যে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে গেছে। আমরা এখনো শঙ্কামুক্ত হই নাই। তাই আমরা ভাইয়ে ভাইয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, নাসিক ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুর উদ্দিন নুরু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন ব এনপ র সদস য আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ পাকিংয়ে তীব্র যানজট, জনদুর্ভোগ চরমে
বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যানজট। এ যানজটের কারণে মাত্র ৫ মিনিটের রাস্তা পেরুতে সময় লেগে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। ফলে প্রতিনিয়ত চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জবাসীকে।
নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগ কিংবা সিটি কর্পোরেশন এ যানজট থেকে জেলাবাসীকে পরিত্রাণ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে দিন যতই বড়ছে ততই বাড়ছে নারায়ণগঞ্জবাসীর দুর্ভোগ।
নারায়ণগঞ্জে এমন কোন সড়ক নাই সেই সড়কে যানজট নাই। মূল সড়ক থেকে শুরু করে অলি-গলি সব জায়গায়ই যানজট আর যানজট। তবে এ যানজটের পেছনে মূল সড়কের যানজটকেই দায়ি করছেন অনেকে।
তারা বলছেন, মূল সড়ক যদি যানজট মুক্ত থাকতো তাহলে এর আশেপাশের সড়কগুলো যানজটের সুষ্টি হতো না। মূল সড়কে তীব্র যানজটের কারণেই এর প্রভাব পড়ছে অন্য সড়কগুলোতেও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে শহরের চাইতে চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণে করেছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচলের কথা শুনলেই মানুষ আতকে উঠে। কারণ, যানজটের মাত্র পনেরো মিনিটের রাস্তা পাড় হতে সময় লাগে ঘন্টার পর ঘন্টা।
এ রাস্তায় এ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীকেও যানজটে আটতে থাকতে দেখা যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। একবার যানজটে আটকা পড়লেই দিন শেষ। কখন বাড়ী কিংবা অফিসে যাবেন তার কোন ঠিক নেই।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, এ যানজটের প্রধান কারণ হচ্ছে পঞ্চবটি-মুক্তারপুর ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ। ফ্লাইওভারের কর্মযজ্ঞের ফলে যানবাহনগুলোকে একটু ধীর গতিতে যেতে হয়। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
তবে এ যানজটের আরও একটি বড় কারণ চোঁখে পড়ে, আর তা হলো পঞ্চবটি এলাকায় ফ্লাইওভারের নিচে এবং চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কের দু’পাশে ট্রাক ও কভার্ডভ্যানগুলো অবৈধভাবে পাকিং করে রাখা।
এসব যানবাহনগুলো সড়কের দু’পাশে পার্কিং করে রাখার কারণে মূল সড়ক অনেকটাই সরো হয়ে যায়। ফলে এ সড়ক দিয়ে অন্যসব যানবাহনগুলো ঠিকমত চলাচল করতে পারে না। ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
অথচ, পঞ্চবটির খুব কাছেই রয়েছে ট্রাক ও কভার্ডভ্যান স্ট্যান্ড। যানবাহনের চালকরা ওই স্ট্যান্ডে গাড়ী না রেখে সড়কের পাশে অবৈধভাবে বাঁকাত্যাঁড়া গাড়ীগুলো রাখছেন। এর ফলে যে, ওই সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে এবং যানজটের কবলে পড়ে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, এ বিষয়ে যেন তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই।
তাদের ভাব-নমুনা দেখা মনে হয় যে, তারাই যেন এ সড়কটির মূল মালিক। না পুলিশে তাদের কিছু বলে, না তারা জনগণের কোন কথা শোনে। তারা তাদের ইচ্ছেমত গাড়ীগুলো রেখে যানজটের সৃষ্টি করছেন।
চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে চলাচল করা ভুক্তভোগী পথচারিরা বলছেন, এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করাটা বর্তমানে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এত ভয়াবহ যানজট আমরা কখনোই চোঁখে দেখিনি। পঞ্চবটি ফ্লাইওভারের নিচে যেভাবে ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো রাখা হয় পুরো সড়কটা তারা কিনে নিয়েছে। পুলিশও কিছু বলে না।
এছাড়া চাষাঢ়া থকে পঞ্চবটি পর্যন্ত পুরো সড়কে দু’পাশেই তারা গাড়ীগুলো রাখছেন। রাস্তাটি পাশে এমনিতেই জায়গা কম, আবার যদি তারা এভাবে গাড়ী রাখেন তাহলে যানজটের সৃষ্টিতো হবেই। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল বলেন, আসলে নিতাইগঞ্জ এলাকা থেকে ট্রাক স্ট্যান্ডটি সরিয়ে নেয়ার জন্য সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আইভী একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। তিনি শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে পঞ্চবটি এলাকাতে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে একটি ট্রাক স্ট্যান্ড গড়ে তোলেন এবং সেখানে এ স্ট্যান্ডকে স্থানান্তর করেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
এখন তারা কিছু গাড়ী ওই স্ট্যান্ডে রাখে বাকি গাড়ীগুলো সড়ক দখল করে এলোপাথারিভাবে রাখে। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলেও যেন কারো কোন কিছু বলার নেই। কারণ, এ সমস্যা নিয়ে বহুবার ডিসি-এসপির সাথে বসা হয়েছে, আলোচনা হয়েছে কিন্তু সুরাহা হয় নাই।
তবে, ৫ আগস্টে দেশে একটি বড় পরিবর্তনের পর আশা করছিলাম এবার হয়তো এর একটা সুরাহা হবে। কিন্তু না। সড়ক দখল করে রাখা ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে মানুষকে বাধ্য হয়েই যানজটের মত দুর্ভোগ দুর্দশাময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পথ চলতে হচ্ছে।
তারা বলেন, আসলে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য সেদিন ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এতবড় একটা পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলো। কিন্তু দেশের মানুষ যদি সেই শান্তি শৃঙ্খলা ভোগই করতে না পারে, তাহলে এত প্রাণ দিয়ে কি লাভ হলো?
আমরা জানিন না, প্রশাসন আসলে কাদেরকে খুশি করাতে চাচ্ছেন? মুষ্টিম কিছু চালকদের জন্য হাজার হাজার মানুষের এ কষ্ট কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি করবো, তারা যেন খুব শীঘ্রই এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়। নারায়ণগঞ্জবাসীকে যেন কিছুটা স্বস্তি দেয়।
এ বিষয়ে টিআই করিম বলেন, ৫ আগস্টের পর নারায়ণগঞ্জে যানজটের যে ভয়াবহতা সৃষ্টি হয়েছিলো বর্তমানে তা কমে আসছে। আশাকরছি, আগামীতে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে। পঞ্চবটি সড়কে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এজন্য এ রুটে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
এমতাবস্তায় যদি কোন চালক রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে গাড়ী পার্কিং করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।