তুর্কমেনিস্তানের জালে বাংলাদেশের গোল-বৃষ্টি
Published: 5th, July 2025 GMT
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে নিয়মরক্ষার ম্যাচে খেলতে নামলেও পারফরম্যান্সে ছিল না কোনো ছাড়। এক ম্যাচ হাতে রেখেই এশিয়া কাপ নিশ্চিত করা দলটি মিয়ানমারের থুউন্না স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধেই তুলে নেয় ৭ গোল। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গোল না পেলেও প্রথমার্ধের দাপটেই ৭-০ গোলের জয় তুলে নেয় শামসুন্নাহার জুনিয়র, ঋতুপর্ণা, তহুরারা।
ম্যাচের শুরু থেকেই গতি ও আক্রমণে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। মাত্র ৩ মিনিটেই স্বপ্নার গোলে এগিয়ে যায় লাল-সবুজ শিবির। এরপর গোল উৎসব শুরু হয় একের পর এক। এরপর শামসুন্নাহার গোল করেন ৬ মিনিটে। শামসুন্নাহার তার দ্বিতীয় গোলটি করেন ১৩ মিনিটে। ম্যাচের ১৬ মিনিটে বাংলাদেশ ব্যবধান বাড়ায় মনিকার গোলে।
প্রথমার্ধে একপ্রকার বিধ্বস্তই হয়েছিল তুর্কমেনিস্তান। এক পর্যায়ে গোলরক্ষক বল ধরতে গিয়েও ফসকে ফেলেন। এতে আরেকটি গোল হজম করে তারা। ঋতুপর্ণার শটে ১৭ মিনিটে যা ছিল দলের পঞ্চম গোল। ২০ মিনিটে তহুরার গোলে স্কোর হয় ৬-০। ৪০ মিনিটে তার ঋতুপর্ণার গোলেই স্কোর দাঁড়ায় ৭-০।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য অনেক চেষ্টা করলেও কাজ হয়নি। বারবার আক্রমণ করেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি বাংলাদেশ। কিছু সুযোগ হাতছাড়াও হয়। তবে প্রথমার্ধে গড়া বড় লিডের ওপর ভর করেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিটার বাটলারের শিষ্যরা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রথম র ধ
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।