আশুরা: শোক, শিক্ষা ও আত্মত্যাগের চিরন্তন প্রতীক
Published: 5th, July 2025 GMT
স্মৃতি যখন রক্তাক্ত হয়, ইতিহাস তখন থমকে দাঁড়ায়। তেমনি এক গভীর শোক, শিক্ষা ও আত্মত্যাগের নাম আশুরা। হিজরি বছরের প্রথম মাস মহররম, আর এই মাসের ১০ তারিখকে বলা হয় আশুরা। এটি মুসলিম উম্মাহর কাছে একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও হৃদয়বিদারক দিন।
আশুরার স্মৃতি শুধু শোকের নয়, এটি আদর্শ, আত্মত্যাগ এবং ন্যায়ের প্রতীক। এদিন মুসলমানদের বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়, সত্যের জন্য জীবন দিতেও কুণ্ঠাবোধ করা যাবে না।
আশুরার তাৎপর্য বহুমাত্রিক। এটি যেমন নবীদের নানা বিজয় ও রহমতের দিন, তেমনি ইমাম হুসাইন (রা.
আরো পড়ুন:
সিকৃবির প্রধান ফটকের নাম ‘জুলাই ৩৬’
পাবিপ্রবিতে মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজমবিষয়ক কর্মশালা
হাদিস ও ইসলামী ইতিহাস অনুযায়ী, আশুরার দিনে বহু ঐশী ঘটনা ঘটেছে। মহান আল্লাহ এই দিনে বহু নবী ও উম্মতের প্রতি অনুগ্রহ ও রহমত বর্ষণ করেছেন। এই দিনে উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- হযরত আদম (আ.)-এর তওবা কবুল হয়, ৪০ দিনের মহাপ্লাবনের পর হযরত নূহ (আ.)-এর নৌকা জুদি পাহাড়ে থেমে যায়, হযরত ইদ্রিস (আ.) আসমানে জীবন্তভাবে উত্তীর্ণ হন, হযরত ইব্রাহিম (আ.)–কে আগুনে ফেলার পর এই দিনে আগুন ঠান্ডা হয়ে যায়, হযরত আইয়ুব (আ.) দীর্ঘ রোগভোগের পর এই দিনে সুস্থ হন, হযরত ইউনুস (আ.) মাছের পেট থেকে মুক্তি পান, হযরত দাউদ (আ.)–এর তওবা কবুল হয়, হযরত ইউসুফ (আ.) কূপ থেকে উদ্ধার হন, হযরত মূসা (আ.) বনি ইসরাইলকে লোহিত সাগর পার করান এবং ফেরাউন তার বাহিনীসহ সাগরে ডুবে যায়, হযরত ঈসা (আ.)–কে আসমানে উত্তোলন করা হয় ইত্যাদি।
এসব ঘটনাই আশুরার পবিত্রতা ও গুরুত্ব বাড়িয়ে তোলে। এটি একদিকে রহমতের দিন, অন্যদিকে প্রতিবাদের দিন।
আশুরার সবচেয়ে মর্মস্পর্শী ও গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা হলো কারবালার যুদ্ধ। হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম, ইরাকের কারবালা প্রান্তরে ঘটেছিল ইসলামের ইতিহাসের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ও আদর্শিক সংঘর্ষ। ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হুসাইন (রা.) ও তার পরিবার সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে রুখে দাঁড়ান অত্যাচারী শাসক ইয়াজিদের বিরুদ্ধে। ইয়াজিদ ছিল এক নিষ্ঠুর, অবৈধ ও ইসলামবিরোধী শাসক। তার জুলুম ও অবিচারের বিরুদ্ধে ইমাম হুসাইন (রা.) মাথানত না করে সত্য ও ইনসাফের পক্ষে অবস্থান নেন।
তিনি মক্কা থেকে কুফার উদ্দেশ্যে রওনা হলে কারবালায় সঙ্গীদেরসহ তাকে অবরুদ্ধ করা হয়। পানির পথ বন্ধ করে তাদের তৃষ্ণার্ত করে তোলা হয়। অবশেষে, আশুরার দিনে শুরু হয় ভয়ংকর যুদ্ধ। মাত্র ৭২ জন সাহসী সঙ্গী নিয়ে ইমাম হুসাইন (রা.) হাজার হাজার সৈন্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। একে একে সবাই শহীদ হন। শিশু, নারী, যুবক কেউ রেহাই পাননি।
৬ মাস বয়সী শিশু আলী আসগর পর্যন্ত তীরের আঘাতে প্রাণ হারায়। ইমাম হুসাইন (রা.) নিজেও শাহাদত বরণ করেন। এই ইতিহাস কোনো সাধারণ যুদ্ধের নয়, এটি আদর্শের, ঈমানের ও আত্মত্যাগের যুদ্ধ। সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোই মুসলমানের পরিচয়, আর আত্মত্যাগই সেই ঈমানের পরিপূর্ণতা। ইমাম হুসাইন (রা.) প্রমাণ করে গেছেন—সত্যের পথে মৃত্যুও গৌরবের।
আশুরার অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো এ দিনে রোজা রাখা। হিজরতের পূর্বেও রাসুলুল্লাহ (সা.) কুরাইশদের সঙ্গে মিলিত হয়ে আশুরার রোজা পালন করতেন। হিজরতের পর মদিনায় এসে তিনি দেখতে পান, ইহুদিরাও এদিন রোজা রাখে। তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়, এদিন হযরত মূসা (আ.) ফেরাউন থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। তাই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তারা রোজা রাখে। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “আমি তোমাদের অপেক্ষা মূসার অধিক নিকটবর্তী।” (সহীহ বুখারী: ২০০৪)
এরপর থেকে তিনি এ দিনে রোজা পালন করেন এবং সাহাবীদেরও পালনের নির্দেশ দেন। পরে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইচ্ছা প্রকাশ করেন, ইহুদিদের রীতি থেকে ভিন্নতা আনতে পরের বছর মহররমের ৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ তারিখ রোজা রাখাবেন। কিন্তু তিনি পরের বছর ইন্তেকাল করেন।
তাই ইসলামী ফিকহবিদরা বলেন, আশুরার রোজা একদিন হলেও রাখা জায়েয। তবে ইহুদিদের অনুকরণ না করতে চাইলে ৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ তারিখ দুইদিন রোজা রাখা উত্তম।
রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “আশুরার দিন আল্লাহর কাছে আমি আশা করি, এদিনের রোজার মাধ্যমে গত বছরের গোনাহগুলো মাফ হয়ে যায়।” (সহীহ মুসলিম, হাদিস: ১১৬২) এই হাদিসে দেখা যায় যে, আশুরার রোজা রাখা অত্যন্ত শুভ ও পুণ্যের কাজ। রাসুলুল্লাহ (সা.) আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, এই রোজা মানবিক পাপের মোচন ঘটায়। অর্থাৎ, যিনি আশুরার রোজা রাখবেন, আল্লাহ তাকে অতীত বছরের সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি দান করবেন।
আশুরার রোজা শুধু গোনাহ মাফের সুযোগই নয়, বরং এটি আত্মশুদ্ধির এক বিরাট মাধ্যম। এ দিনে রোজা রেখে মানুষ যেমন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করে, তেমনি আগের বছরের ভুল, পাপ ও গাফিলতির জন্য অনুশোচনা করে এবং নতুনভাবে জীবনে ভালো কিছু করার অঙ্গীকার করে। তাই এ রোজা শুধু ইবাদত নয়, বরং নিজেকে সংশোধনের এক মোক্ষম সুযোগ।
তাই আশুরার শিক্ষা হোক আমাদের জীবনের চালিকাশক্তি। আমরা যেন ইমাম হুসাইন (রা.)-এর মতো সাহসিকতা, ধৈর্য ও ত্যাগের আদর্শ ধারণ করে সমাজে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারি—এটাই হোক আশুরার প্রকৃত শিক্ষা ও প্রতিজ্ঞা।
(লেখক: শিক্ষার্থী, আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)
ঢাকা/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এই দ ন ক রব ল আল ল হ আদর শ ইসল ম বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
কারবালার ঘটনার সারসংক্ষেপ
কারবালার ঘটনা মুসলিম ইতিহাসের একটি হৃদয়বিদারক অধ্যায়। ৬১ হিজরির মহররম মাসের আশুরার দিনে সংঘটিত এ ঘটনায় নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হোসাইন (রা.)–সহ আহলে বাইতের ২৩ জন সদস্য শাহাদাত বরণ করেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৮/৩৫৩)
এ নিবন্ধে কারবালার প্রেক্ষাপট, ঘটনাপ্রবাহ এবং পরবর্তী ঘটনাবলি ইতিহাসের আলোকে সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বাইয়াত প্রত্যাখ্যানকারীদের ওপর কঠোর চাপ প্রয়োগের নির্দেশ দেন, যা ইতিহাসবিদদের মতে তার প্রথম রাজনৈতিক ভুল ছিল।ঘটনার প্রেক্ষাপট৫৬ হিজরিতে আমির মুয়াবিয়া (রা.) তাঁর পুত্র ইয়াজিদকে পরবর্তী শাসক হিসেবে মনোনীত করেন এবং তার পক্ষে বাইয়াত গ্রহণ শুরু করেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৮/১৬১)
তবে হোসাইন ইবনে আলি (রা.), আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.), আবদুল্লাহ ইবনে জুবাইর (রা.), আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর (রা.) এবং আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বাইয়াত দিতে অস্বীকার করেন, অন্যদের বাইয়াতে বাধাও দেননি। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৮/১৬২)
৬০ হিজরির রজব মাসে মুয়াবিয়া (রা.) ইন্তেকাল করলে ইয়াজিদ দামেস্কে শাসনভার গ্রহণ করেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৮/২২৬)
তিনি বাইয়াত প্রত্যাখ্যানকারীদের ওপর কঠোর চাপ প্রয়োগের নির্দেশ দেন, যা ইতিহাসবিদদের মতে তার প্রথম রাজনৈতিক ভুল ছিল (তারিখে উম্মতে মুসলিমা, ৬/২৪)।
ইয়াজিদের নির্দেশে মদিনার প্রশাসক ওয়ালিদ ইবনে উতবা হোসাইন (রা.) ও আবদুল্লাহ ইবনে জুবাইর (রা.)-কে বাইয়াতের জন্য তলব করেন। তারা বাইয়াত প্রত্যাখ্যান করে মদিনা ছেড়ে মক্কায় চলে যান। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৮/৩০৬)
ইতিহাসবিদদের মতে, তাঁদের এই প্রত্যাখ্যানের কারণ ছিল রাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বিলুপ্ত করে খোলাফায়ে রাশিদিনের শুরাভিত্তিক শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা। (তারিখে উম্মতে মুসলিমা, ৬/২৩)
আরও পড়ুনমদিনা থেকে কারবালা১১ অক্টোবর ২০১৬ইতিহাসবিদদের মতে, তাঁদের এই প্রত্যাখ্যানের কারণ ছিল রাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বিলুপ্ত করে খোলাফায়ে রাশিদিনের শুরাভিত্তিক শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা।ইরাক যাত্রামক্কায় অবস্থানকালে হোসাইন (রা.) কুফাবাসীর কাছ থেকে বারবার চিঠি পান, যাঁরা তাঁকে সেখানে যেতে অনুরোধ করেন। মুসলিম ইবনে আকিল ১১ জিলকদ ৬০ হিজরিতে কুফার সন্তোষজনক পরিস্থিতির উল্লেখ করে চিঠি পাঠান। (তারিখুত তাবারি, ৫/৩৪৮)
এই চিঠি হোসাইন (রা.)-এর কাছে পৌঁছাতে তিন-চার সপ্তাহ লাগে। এ সময়ে কুফার পরিস্থিতি বদলে যায়। ইয়াজিদ নুমান ইবনে বাশির (রা.)-কে কুফার গভর্নর পদ থেকে সরিয়ে উবায়দুল্লাহ ইবনে জিয়াদকে দায়িত্ব দেন। ইবনে জিয়াদের নির্দেশে মুসলিম ইবনে আকিলকে হত্যা করা হয়, যা হোসাইন (রা.)-এর অজানা ছিল। (তারিখুত তাবারি, ৫/৩৯১-৩৯২)
৬০ হিজরির জিলহজ মাসে হোসাইন (রা.) পরিবার-পরিজনসহ ৬০ জন সঙ্গী নিয়ে মক্কা থেকে কুফার উদ্দেশে রওনা হন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৮/৩১২-৩১৩)
আরও পড়ুনশিয়া-সুন্নি বিভাজনের নেপথ্যে১৪ জুলাই ২০২৩চিঠি হোসাইন (রা.)-এর কাছে পৌঁছাতে তিন-চার সপ্তাহ লাগে। এ সময়ে কুফার পরিস্থিতি বদলে যায়।কারবালার যুদ্ধইরাক যাত্রার পথে হোসাইন (রা.) মুসলিম ইবনে আকিলের হত্যার সংবাদ পান। এ সময় তাঁর অনেক সঙ্গী তাকে ছেড়ে চলে যান, কেবল মক্কা থেকে আগত কিছু সঙ্গী তাঁর সঙ্গে থাকেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৮/৩১৮)
৬১ হিজরির মহররম মাসের ২ তারিখে তিনি কারবালায় পৌঁছান, যেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ৪৫ জন অশ্বারোহী ও ১০০ জন পদাতিক যোদ্ধা। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৮/৩৬৬)
১০ মহররম, আশুরার দিন, উবায়দুল্লাহ ইবনে জিয়াদের সেনাপতি উমর ইবনে সাদের নেতৃত্বে ইয়াজিদের সেনাবাহিনী হোসাইন (রা.)-এর মুখোমুখি হয়। হোসাইন (রা.) তিনটি প্রস্তাব পেশ করেন—মক্কায় ফিরে যাওয়া, ইয়াজিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, অথবা সীমান্তে জিহাদের সুযোগ। ইবনে জিয়াদ এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বাইয়াতের শর্ত আরোপ করেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৮/৩৬৭)
হোসাইন (রা.) তা অস্বীকার করে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। এই যুদ্ধে তিনি তাঁর শিশুপুত্রসহ ৭২ জন সঙ্গীর সঙ্গে শাহাদাত বরণ করেন (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৮/৩৫৩)।
আরও পড়ুনআশুরার দর্শন২২ অক্টোবর ২০১৫হোসাইন (রা.) তিনটি প্রস্তাব পেশ করেন—মক্কায় ফিরে যাওয়া, ইয়াজিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, অথবা সীমান্তে জিহাদের সুযোগ।পরবর্তী ঘটনাবনু মাজহিজের এক ব্যক্তি হোসাইন (রা.)–কে হত্যা করেন এবং দেহ থেকে তাঁর মাথা বিচ্ছিন্ন করে ইবনে জিয়াদের কাছে নিয়ে যায়। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৮/৩৬৭)
ইয়াজিদ এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন এবং বলেন, তিনি হোসাইন (রা.)-কে হত্যার পক্ষে ছিলেন না। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৮/৩৫৭)
তিনি আহলে বাইতের নারী ও শিশুদের সম্মানের সঙ্গে মদিনায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন নুমান ইবনে বাশিরের তত্ত্বাবধানে। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৮/৩৬৩)
কারবালার ঘটনা মুসলিম ইতিহাসে ন্যায় ও সত্যের জন্য আত্মত্যাগের এক অমর প্রতীক। হোসাইন (রা.)-এর শাহাদাত শুধু একটি ট্র্যাজেডিই নয়; বরং ন্যায়বিচার ও সত্যের পথে দাঁড়ানোর প্রেরণা।
আরও পড়ুনকারবালার ইতিহাস ও শিক্ষা২০ আগস্ট ২০২১