মহররমের ঘটনা বলতেই অনেকে কারবালাকে প্রধান মনে করেন। কিন্তু কারবালারও আগে ইসলামে মহররমের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়। বিশেষত রাসুল মুহাম্মদ (সা.)-এর সময়কালের আগে কয়েকজন নবীর জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা মহররম মাসে সংঘটিত হয়েছিল।
আদম (আ.)-এর তওবা কবুলঅনেক মুফাসসির বর্ণনা করেন, বেহেশত থেকে পৃথিবীতে পদার্পণের পর হজরত আদম (আ.
বিভিন্ন গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে, মহররমের ১০ তারিখে (আশুরা দিবসে) হজরত নুহ (আ.)-এর কিশতি দীর্ঘদিন প্লাবনের পানিতে ভেসে থাকার পর অবশেষে জুদি পাহাড়ে এসে থামে। এই প্লাবনে পৃথিবীর সব প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যায়। শুধু নুহ (আ.)-এর কিশতিতে যে প্রাণীগুলো আশ্রয় নিয়েছিল, তারা বেঁচে যায়।
প্লাবন শেষ হলে এদিন নুহ (আ.) জুদি পাহাড়ের পাদদেশে কিশতি থেকে অবতরণ করেন। সেখান থেকে শুরু হয় মানবসভ্যতার নতুন অভ্যুদয়। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৮৭১৭; ইবনে কাসির, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া, ১/২৭০)
মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলের মুক্তিআবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘নবীজি (সা.) মদিনায় হিজরতের পর দেখলেন ইহুদিরা আশুরার দিন রোজা রাখছেন। নবীজি তাঁদের জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখো কেন? তাঁরা বললেন, এটি এক মহান দিন। এই দিনে মহান আল্লাহ মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের কবল থেকে রক্ষা করেছিলেন এবং ফেরাউন ও তাঁর বাহিনীকে ডুবিয়ে মেরেছিলেন। এর কৃতজ্ঞতাস্বরূপ মুসা (আ.) রোজা রাখতেন, তাই আমরাও রাখি।’
আরও পড়ুনহজরত নুহ (আ.)–এর সময়ে মহাপ্লাবন২৭ আগস্ট ২০২৪বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থে মহররম মাসে সংঘটিত আরও বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে সূত্র বিচার করে দেখা গেছে সেসব ঘটনার অধিকাংশই দুর্বল ও ভিত্তিহীন।নবীজি (সা.) বললেন, ‘মুসা (আ.)-কে অনুসরণের ক্ষেত্রে আমরা তাদের চেয়ে বেশি হকদার। অতঃপর তিনি নিজেও রোজা রাখলেন এবং সাহাবিদেরও নির্দেশ দিলেন’। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২০০৪; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১১৩০)
বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থে মহররম মাসে সংঘটিত আরও বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে সূত্র বিচার করে দেখা গেছে সেসব ঘটনার অধিকাংশই দুর্বল ও ভিত্তিহীন।
আরও পড়ুনশোয়াইব (আ.)-এর দেওয়া শর্ত পূরণ করেছিলেন মুসা (আ.)১৯ অক্টোবর ২০২৪উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মহররম র র উল ল খ প ল বন ঘটন র
এছাড়াও পড়ুন:
আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।
আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।
ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫