মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার ৩৬ বাংলাদেশির তদন্তে সহযোগিতার করবে সরকার
Published: 5th, July 2025 GMT
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার হওয়া ৩৬ বাংলাদেশিকে নিয়ে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ সরকার। আটককৃতদের ৫ জনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, গত সপ্তাহে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তারা সাম্প্রতিক নিরাপত্তা অভিযানে উগ্র বা জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৬ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে। কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন তাৎক্ষণিকভাবে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সেই সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে আটককৃত ব্যক্তিদের পরিচয় এবং তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কিত তথ্য জানাতে অনুরোধ করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মালয়েশিয়ার আদালতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে হয় তদন্ত করবে অথবা বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। বাংলাদেশ সরকার ঘটনাটির অগ্রগতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ রক্ষা করছে। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হাইকমিশন প্রস্তুত রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ, সহিংস উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছে। একইসঙ্গে এটি তদন্তে মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
গত শুক্রবার কুয়ালালামপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৩৬ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করার কথা জানান মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধান খালিদ ইসমাইল। তিনি দাবি করেন, গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি শ্রমিকরা সিরিয়া ও বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর কাছে অর্থ পাঠাতেন। গত এপ্রিল থেকে পরিচালিত একাধিক অভিযানে ৩৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ। তারা মালয়েশিয়ায় কারখানা, নির্মাণ ও সেবা খাতে কাজ করতেন।
এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দুদকের অভিযান: ঘুষসহ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারী আটক
চট্টগ্রামে কাস্টমস হাউসে ফাঁদ অভিযান চালিয়ে ঘুষের টাকাসহ দুজনকে হাতে নাতে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আটককৃতরা হলেন, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজীব রায় এবং তার সঙ্গী মাইনুদ্দীন। তাদের কাছ থেকে ৩০ হাজার ঘুষের টাকা উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে ঘুষের টাকাসহ কাস্টমসের কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
ডিএসসিসির দুই কর্মকর্তাসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা
মঙ্গলবার গোপন সংবাদ সংবাদের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, চট্টগ্রাম-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি টিম এই অভিযান পরিচালনা করে।
দুদক জানায়, হোমল্যান্ড প্লাস্টিক স্যু ইন্ডাস্ট্রিজ-এর প্রোপাইটর আমির হোসেন জাপান থেকে আমদানি করা ব্রেক অ্যাক্রিলিক মিক্সড প্লাস্টিক ওয়াস্ট এন্ড স্ক্র্যাপ (মূল্য ৬ হাজার ৪২৮.১০ মার্কিন ডলার) ছাড়করণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের শুল্কায়ন সেকশন-৭(বি) -এর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজীব রায় ও মো. ছারওয়ার উদ্দিন ইচ্ছাকৃতভাবে হয়রানি করে নির্ধারিত রেটের বাইরে অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন এবং টাকা প্রদান না করলে পণ্য ছাড়করণে বিলম্ব ও নিলামে বিক্রির হুমকি দেন।
উক্ত হুমকির প্রেক্ষিতে হোমল্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রির প্রোপাইটার আমির হোসেন রাজস্ব কর্মকর্তাদের এরূপ দুর্নীতিমূলক ঘুষ দাবির বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন চট্টগ্রাম কার্যালয়কে অবহিত করেন।
কমিশনের জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধির আলোকে ঘুষ দাবিকারী শুল্ক বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তাদের হাতেনাতে গ্রেপ্তারের উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং এ বিষয়ে কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করে।
অভিযানকালে দুদকের বিশেষ টিম অভিযোগের প্রেক্ষিতে ছদ্মবেশে ঘুষ লেনদেন পর্যবেক্ষণ করে। এ সময় সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজীব রায় এবং তার সঙ্গী মাইনুদ্দীনকে ঘুষের টাকা ৩০ হাজার টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযান শেষে আলামতের জব্দ তালিকা প্রণয়ন, স্বাক্ষীদের বক্তব্য গ্রহণসহ সকল আইনানুগ কার্যক্রম সম্পন্ন করে মামলা রুজুপূর্বক আটককৃতদের থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকালে উক্ত অপরাধের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ফিরোজ