সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার হওয়া ৩৬ বাংলাদেশিকে নিয়ে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ সরকার। আটককৃতদের ৫ জনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে জানানো হয়, গত সপ্তাহে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তারা সাম্প্রতিক নিরাপত্তা অভিযানে উগ্র বা জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৬ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে। কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন তাৎক্ষণিকভাবে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সেই সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে আটককৃত ব্যক্তিদের পরিচয় এবং তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কিত তথ্য জানাতে অনুরোধ করে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মালয়েশিয়ার আদালতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে হয় তদন্ত করবে অথবা বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। বাংলাদেশ সরকার ঘটনাটির অগ্রগতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ রক্ষা করছে। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হাইকমিশন প্রস্তুত রয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ, সহিংস উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছে। একইসঙ্গে এটি তদন্তে মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

গত শুক্রবার কুয়ালালামপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৩৬ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করার কথা জানান মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধান খালিদ ইসমাইল। তিনি দাবি করেন, গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি শ্রমিকরা সিরিয়া ও বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর কাছে অর্থ পাঠাতেন। গত এপ্রিল থেকে পরিচালিত একাধিক অভিযানে ৩৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ। তারা মালয়েশিয়ায় কারখানা, নির্মাণ ও সেবা খাতে কাজ করতেন।

এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.

তৌহিদ হোসেন বলেছেন, আটককৃতদের বেশ কয়েকজনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। ফেরত পাঠালে সরকারও যাচাই করবে, তাদের সম্পৃক্ততা নিয়ে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

মৌলভীবাজার সীমান্তে বিএসএফ ৪৮ জনকে ঠেলে দিল 

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার পাল্লাথল সীমান্ত দিয়ে আরও ৪৮ জনকে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ভোরে তাদের আটক করেছে বিজিবি। এ নিয়ে মৌলভীবাজার জেলায় পুশইনের ঘটনায় বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন ৪৫২ জন।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলা দিয়ে ৩৪১ জন, জুড়ী উপজেলা দিয়ে ১০ জন, কুলাউড়া উপজেলা দিয়ে ২১ জন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা দিয়ে ১৯ জন ও কমলগঞ্জ উপজেলা দিয়ে ৬১ জনকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আরও কয়েক শতাধিক লোক সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করলেও বিজিবি বা স্থানীয় প্রশাসন তাদের আটক করতে পারেনি।

৫২ বিজিবি জানায়, বড়লেখা উপজেলার পাল্লাথল বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী এলাকার পাল্লাথল পুঞ্জি নামক স্থান হতে ৪৮ জনকে ভারত হতে অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তা পাহাড়ী এলাকায় ঘুরাঘুরি করছিল। বিজিবির টহলদল তাদেরকে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৫ জন, নারী ১৫ জন এবং শিশু রয়েছে ১৮ জন।

বিজিবি জানিয়েছে, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা আনুমানিক ৬ মাস হতে ১৭ বছর পূর্বে চিকিৎসা এবং কাজের উদ্দেশ্যে কুড়িগ্রাম ও যশোর জেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গমন করেন। পরবর্তীতে তাদেরকে ভারতের বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়।

বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে ঠেলে পঠানো ব্যক্তিদের বাড়ি যশোর, বাগেরহাট, চাপাইনবাবগঞ্জ, বরগুনা, বরিশাল এবং কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। আটককৃতদের পরিচয় নিশ্চিত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।”

ঢাকা/আজিজ/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পীরগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৬ জনকে পুশইন
  • মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার ৩৬ বাংলাদেশির তদন্তে সহযোগিতা করবে সরকার
  • মৌলভীবাজারের দুই উপজেলা দিয়ে ৭১ জনকে পুশইন করল বিএসএফ
  • মৌলভীবাজার সীমান্তে বিএসএফ ৪৮ জনকে ঠেলে দিল