বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির বলেছেন, “বিখ্যাত লাইলাতুল নির্বাচনের (রাতের ভোট) দায়িত্বে থাকা সব সরকারি কর্মকর্তাকে অপসারণ করা হয়েছে। সেই নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে যারা ছিলেন তাদের সবাইকে অপসারণ করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “সামনে নির্বাচন- এটি একটি কঠিন দায়িত্ব, জাতির জন্য কঠিন অগ্নিপরীক্ষা। যদি এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালিত না হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা এবং বিগত ডিসি, এসপিদের মতো পরিণতি হতে পারে।”

শনিবার (৫ জুলাই) সকালে জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

আরো পড়ুন:

‘৬০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হলে জামালপুরের চেহারা পাল্টে যাবার কথা’

বাংলাদেশে জাপানের সহযোগিতা বাড়াতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

ফাওজুল কবির বলেন, “প্রবাসী ও তরুণরা প্রথমবারের মতো নির্বাচনে ভোট দেবেন। কে কাকে ভোট দেবেন, তা আপনি-আমি জানি না। কাজেই কাউকে নির্বাচিত করা সরকারি কর্মকর্তার কাজ নয়। যিনি নির্বাচিত হবেন, তার সঙ্গে কাজ করাই সরকারি কর্মকর্তার দায়িত্ব।”

তিনি বলেন, “আমরা সম্পদ বিবরণী জমা দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে যোগ দিয়েছি। সময় শেষে আবার সম্পদ বিবরণী জমা দিয়ে বিদায় নেব। জনসাধারণ দেখতে পারবেন, এই স্বল্প সময়ের মধ্যে আমাদের সম্পদের কী পরিবর্তন হয়েছে। এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে।”

উপদেষ্টা বলেন, “জ্বালানি তেল কেনার সময় দরপত্র জমা, পদ্মা রেলওয়ের জন্য ভাঙ্গা স্টেশন নির্মাণে ব্যয় সংকোচন, এলপিজি কেনা এবং অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদসহ বিভিন্নভাবে গত কয়েক মাসে তিনটি মন্ত্রণালয়ে ৪৫ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা হয়েছে।”

মতবিনিময় সভায় জামালপুর জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সাংবাদিক নেতারা এবং জেলার সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন।

ঢাকা/শোভন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট কর মকর ত উপদ ষ ট সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বিএলআরআই নিয়োগবিধিতে বৈষম্যের অভিযোগে গবিতে মানববন্ধন

বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) নিয়োগবিধিতে সমন্বিত বিএসসি ডিগ্রি অন্তর্ভুক্ত না করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।

আরো পড়ুন:

সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন

ইবিতে ছাত্রীর পোশাক নিয়ে শিক্ষকের কটূক্তি, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘অধিকারের নামে কেন এই বৈষম্য?’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারী ছাত্র-ছাত্রী চাই ন্যায্য সম্মান’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি অপরাধ নয়’, ‘ভেটেরিনারি একটাই পরিবার, কম্বাইন্ড ডিগ্রিতে সমান অধিকার’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারী ছাত্র-ছাত্রী চাই ন্যায্য সম্মান’, ‘ভেটেরিনারি পরিবারে সমান অধিকার’, ‘সমন্বিত শিক্ষা দেশের সম্মান’, ‘আদিম পশু পালনে নয়, বরং সমন্বিত ভেটেরিনারি শিক্ষা দেশের সম্মান’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগবিধি সংশোধন না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।

এ সময় গবি ছাত্র সংসদের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. হুমায়ুন কবির বলেন, “বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউট কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারীদের নিয়োগে বৈষম্য করছে। এটি আমাদের প্রতি স্পষ্ট অবিচার। আমরা ইতোমধ্যে প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ম্যামসহ বিএলআরআই কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু তারা বারবার বিষয়টি উপেক্ষা করছে। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।”

আরেক শিক্ষার্থী মো. মাহিদুজ্জামান সিয়াম বলেন, “দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের বৃহত্তর স্বার্থে ২০১৬ সালে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর উদ্যোগে কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও এই কোর্স চালু করা হয়। আমরা পশু চিকিৎসা ও পশু পালন—উভয় বিষয়ে সমন্বিত জ্ঞান অর্জন করি। অথচ বিএলআরআই আমাদের কোনো গবেষণা বা চাকরির সুযোগ দিচ্ছে না। এটি বৈষম্যমূলক ও স্বৈরাচারী আচরণ।”

মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেন এবং সমস্যার দ্রুত সমাধানে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ দাবি করেন।

ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ