ইয়াঙ্গুনের থুউন্না স্টেডিয়ামে আজ তুর্কমেনিস্তানকে গোলবন্যায় ভাসিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ২০২৬ নারী এশিয়ান কাপ  বাছাইপর্বে  তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।

প্রথমার্ধেই ৭ গোল করে ফেলে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শামসুন্নাহার জুনিয়র, ঋতুপর্ণা চাকমা, তহুরা খাতুন, মনিকা চাকমা ও স্বপ্না রানীকে ঘিরে হয়েছে এই গোল উৎসব। আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েদের সবচেয়ে বড় জয় নিয়েও গবেষণা শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল হয়নি। তাতে কী, ৭-০ ব্যবধানও কম নয়!

আগের ম্যাচে শক্তিশালী মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারিয়েই নিশ্চিত হয় প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলা। আজ জয় দিয়ে সফর শেষ করে দেশে ফিরছেন মনিকারা।

ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই স্বপ্না রানীর দূরপাল্লার শটে শুরু হয় গোল-উৎসব। এরপর একে একে গোল করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র (৬ ও ১৩ মিনিট), মনিকা (১৬ মিনিট), ঋতুপর্ণা (১৮ ও ৪০ মিনিট), ও তহুরা খাতুন (২১ মিনিট)। ৪০ মিনিটে মনিকার কর্নার থেকে ঋতুপর্ণার বাঁ পায়ের শটে আসে সপ্তম গোলটি।

জোড়া গোল করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল শামসুন্নাহার জুনিয়র ও ঋতুপর্ণা চাকমার সামনে।  তবে কোচ পিটার বাটলার  দ্বিতীয়ার্ধে আর নামাননি  ঋতুপর্ণাকে। শামসুন্নাহারকে তুলে নেন ৬৮ মিনিটে। নির্ভার এই ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের কোচ তুলে নেন গোলকিপার রুপণাকে, তাঁর জায়গায় নামেন স্বর্ণাকে। আসেন উমেলাহ, হালিমা, ও রিপারাও।

তুর্কমেনিস্তান প্রথমার্ধে দিশেহারা থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। যদিও পুরো ম্যাচে তাদের খেলায় শুরুর স্কুল-স্তরের দুর্বলতাই বেশি চোখে পড়েছে। বিশেষ করে তাদের গোলকিপারের এক হাস্যকর ভুলে ঋতুপর্ণা চাকমার শটে হজম করা গোলটি ছিল ম্যাচের সবচেয়ে আলোচিত মুহূর্তগুলোর একটি।

এই জয়সহ গ্রুপে তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় হবে নারী এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্ব। সেখানে ১২ দলের মধ্যে প্রথম ছয়ে থাকলেই ২০২৭ নারী বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ মিলবে। সেরা আটে থাকলে সুযোগ থাকবে আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফ খেলে বিশ্বকাপে যাওয়ার। বাংলাদেশের মেয়েদের এমন দুর্দান্ত অর্জন নারী ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত খুলে দিয়েছে।

গ্রুপে রানার্সআপ হয়েছে স্বাগতিক মিয়ানমার, যারা আজ শেষ ম্যাচে বাহরাইনকে হারিয়েছে ৬-০ গোলে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত র কম ন স ত ন

এছাড়াও পড়ুন:

সুনামগঞ্জে শহীদ মিনার ভেঙে স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন, কলেজ কর্তৃপক্ষের দুঃখ প্রকাশ

সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে ভাষাশহীদদের স্মরণে নির্মিত জেলার প্রথম শহীদ মিনার ভেঙে স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। বুধবার দুপুরে ক্যাম্পাসে কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন হয়। এদিকে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের পথ বের করা হবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

আজ মানববন্ধনে সুনামগঞ্জের লেখক-গবেষক সুখেন্দু সেন, সাবেক ছাত্রনেতা রেজাউল হক, পঙ্কজ কান্তি দে, মুহাম্মদ মুনাজ্জির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, মুজাহিদুল ইসলাম, সালেহীন চৌধুরী, মোহাম্মদ রাজু আহমেদ, নাসিম চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন। তাঁরা স্মারকস্তম্ভ কলেজের অন্য কোনো জায়গায় নির্মাণ এবং শহীদ মিনারের ভাঙা অংশ সংস্কারের দাবি জানান। পরে অধ্যক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।

সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুহাম্মদ মুনাজ্জির হোসেন বলেন, ‘এটি জেলার প্রথম শহীদ মিনার, ইতিহাসের অংশ। এটি ভাঙা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা কথা বলার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। তাঁরা স্মারকস্তম্ভ কলেজের অন্য জায়গায় নির্মাণ ও শহীদ মিনার যেভাবে ছিল, সেভাবে আবার সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন।’

জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘সাবেক ছাত্রনেতারা আমাদের কাছে এসে তাঁদের দাবির বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি এখানে নতুন। আমি বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা প্রকৌশলীর সঙ্গে দ্রুত কথা বলে সমস্যার সমাধান করব।’

সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে ভাষাশহীদদের স্মরণে ১৯৬৬ সালে এই শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি সুনামগঞ্জে ভাষাশহীদদের স্মরণে নির্মিত প্রথম শহীদ মিনার। প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো এই শহীদ মিনার ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে কলেজের ৭৫ বছর পূর্তির একটি স্মারকস্তম্ভ।

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাছননগর এলাকায় ১৯৪৪ সালে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়। সরকারীকরণ করা হয় ১৯৮০ সালে। কলেজের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০২০ সালের ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী উৎসব হয়। এই উৎসবের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তখন ক্যাম্পাসে একটি স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। মাসখানেক আগে ওই স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ কোথায় এটি নির্মাণ করা হবে, সেই স্থানটি নির্ধারণ করেছে। স্থান নির্ধারণে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কোনো ভূমিকা নেই।

আরও পড়ুনসুনামগঞ্জের প্রথম শহীদ মিনার ভেঙে স্মারকস্তম্ভ নির্মাণ, সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ-প্রতিবাদ৯ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আওয়ামী দোসররা দাবি আদায়ের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে: শিক্ষক–কর্মচারী ঐক্যজোট
  • রাকসুর ভোটে ক্যাম্পাসে আনন্দ–উৎসব
  • রাকসু নির্বাচন: ভোটের আগের রাতে গান–স্লোগানে মেতেছেন শিক্ষার্থীরা
  • সুনামগঞ্জে শহীদ মিনার ভেঙে স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন, কলেজ কর্তৃপক্ষের দুঃখ প্রকাশ
  • ৩৫ বছর পর চাকসু নির্বাচনে উৎসব
  • চাকসু নির্বাচনে উৎসবের আমেজ
  • ভারতে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ বলায় কেন মুসলিমদের ওপর দমন–পীড়ন চলছে
  • এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিন: জিএম কাদের
  • কালীগঞ্জে শখের মাছ শিকারিদের উৎসব
  • বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে উৎসবের আমেজ, প্রার্থীদের শেষ মুহূর্তের দৌড়ঝাঁপ