পাটগ্রাম থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া এক আসামি গ্রেপ্তার, বিএনপির ৩ নেতা বহিষ্কার
Published: 5th, July 2025 GMT
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হামলা করে ছিনিয়ে নেওয়া সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামির মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে আসামি সোহেল রানাকে পাটগ্রাম পৌরসভার মীর্জারকোট এলাকায় নিজ বাড়ি থকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর আসামি বেলাল হোসেন এখনও পলাতক রয়েছে।
গত বুধবার রাতে পাটগ্রাম থানায় হামলা ও ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা ওই দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পাথর কোয়ারির রয়ালটির নামে গাড়ি থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে তাদের এক মাস করে কারাদণ্ড হয়েছিল।
এছাড়া ওই ঘটনায় একইদিন আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন মাসুদ ও রবিউল ইসলাম। এ নিয়ে পাটগ্রাম থানায় হামলার ঘটনায় সাত জন গ্রেপ্তার হলেন। এর আগে হাতীবান্ধায় করা মামলায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নূরুন্নবী কাজলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে পাটগ্রাম থানায় হামলার ঘটনায় বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের তিন নেতাকে গতকাল বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন, হাতীবান্ধা উপজেলা স্বেচ্ছাসবেক দলের আহ্বায়ক নূরুন্নবী খন্দকার কাজল, পাটগ্রাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি উপজেলা বিএনপির সদস্য বাদশা জাহাঙ্গীর মোস্তাজির চপল ও পাটগ্রাম পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ হোসেন।
লালমনিরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুস সাত্তার ও সদস্য সচিব মিঠুন সরকার মিঠু স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কাজলকে দলের সবপ্রকার সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি মাহমুদ হোসেনকে ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপি বাদশা জাহাঙ্গীরকে বহিষ্কার করে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে চাঁদাবাজির সময় বেলাল ও সোহেলকে হাতেনাতে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত তাদের এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরে তাদের ছাড়াতে ইজারাদার মাহমুদ হাসান ও স্থানীয় বিএনপি নেতা বাদশা জাহাঙ্গীর লোকজন নিয়ে থানায় আসেন। এক পর্যায়ে থানায় হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে তারা দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পাটগ্রাম থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, থানায় হামলা ও ভাঙচুরে জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ক দল র উপজ ল ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
হাওর অঞ্চলে মহররম-সংস্কৃতির নিজস্ব রূপান্তর
কিশোরগঞ্জের সর্বপূর্বের উপজেলা অষ্টগ্রাম। পুব দিকের একই কাতারে (উত্তর-দক্ষিণ) আছে আরও দুই উপজেলা—ইটনা ও মিঠামইন। সবই হাওর-অধ্যুষিত। একসময় অষ্টগ্রামে যে পনিরের উৎকর্ষ সাধিত হয়েছিল, তার মূল কারণ মহিষের আধিক্য। বিস্তীর্ণ চারণভূমিতে তখন পালকে পাল, অগণন মহিষ চরে বেড়াত। অধুনা নগরবাসী অষ্টগ্রামের যে পনির দ্বারা রসনা তৃপ্ত করেন, সম্প্রতি তাতে গরুর দুগ্ধজাত পনিরও যুক্ত হয়েছে।
এই জনপদে মহররমের শোকানুষ্ঠান এক ভিন্নমাত্রা লাভ করেছিল। এই বৈশ্বিক সংস্কৃতিটি বাংলাদেশে একটি জাতীয় অবয়ব পেয়েছে। তার মধ্যে অষ্টগ্রামে ঘটেছে এর বিশিষ্ট এক স্থানীয়করণ। সবই প্রাবল্য, বাহুল্য ও আতিশয্য। মহররমের ট্রেনযাত্রায় ছিলাম একা, অন্য সময় কেউ না কেউ সহযাত্রী হন। বই-খাতার ভারে নুইয়ে পড়া বোঁচকা আর ডিএসএলআরের ওজন কুলিয়ারচর ঘাটে গিয়ে বোঝা হয়ে গেল। আজ অষ্টগ্রাম থেকে কোনো স্পিডবোট আসবে না, যেগুলো গেছে সেগুলো যাত্রী না পেয়ে ঘুমাচ্ছে আটগাঁওয়েই। হেতু জিজ্ঞাসা না করেই জানতে পারি কাল আশুরা, অষ্টগ্রাম থেকে কারও কোনো নড়নচড়ন নেই।
অষ্টগ্রামের আশুরা