কক্সবাজারের রামুতে জুমার নামাজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হওয়া চার শিশু নিখোঁজ হয়েছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুর থেকে তারা নিখোঁজ বলে জানিয়েছে পরিবার।
পুলিশ জানায়, নিখোঁজ শিশুদের বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।
নিখোঁজ শিশুরা হলো- রামু বাইপাস এলাকার আনসার উল্লাহর ছেলে আবদুল হামিদ ছামির, সৈয়দ উল্লাহর ছেলে সাহেদ সৈয়দ, কাউয়ারখোপ বৈলতলী এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে মোস্তফা কামাল এবং কলিম উল্লাহর ছেলে উমর ফারুক ইমন।
আরো পড়ুন:
শাপলা তুলতে গিয়ে ডোবায় ভাই-বোনের মৃত্যু
‘নারী-শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে কুইক রেসপন্স টিম মাঠে নামছে’
নিখোঁজ শিশুদের পরিবার জানায়, শুক্রবার জুমার নামাজের জন্য মসজিদের যাওয়ার কথা বলে বের হয় চার শিশু। নামাজ শেষে আর তারা বাড়ি ফেরেনি। আত্মীয়-স্বজন ও আশপাশের এলাকায় খোঁজ করেও সন্ধান মেলেনি তাদের। পরে রামু থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন পরিবারের সদস্যরা।
রামু থানার ওসি তৈয়বুর রহমান বলেন, “নিখোঁজ শিশুদের বিষয়ে থানায় জিডি নেওয়া হয়েছে। তাদের সন্ধানে পুলিশ কাজ করছে। আশেপাশের থানাগুলোতেও বার্তা পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গিলের ৪৩০, ভারতের ১০১৪—এজবাস্টন টেস্টে যত রেকর্ড
অধিনায়কত্বের বোঝা ঘাড়ে চাপলে অনেকেই ব্যাটিং ভুলে যান। তবে শুবমান গিল ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার পর যেন আরও নির্ভার হয়ে পড়েছেন! ইংল্যান্ড সফরে তাঁর ব্যাটিং দেখলে আর কিছু ভাবার উপায় কই!
হেডিংলিতে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা গিল এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে পেয়ে যান ডাবল সেঞ্চুরি (২৬৯) আর আজ নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি। ১৬২ বলে ১৬১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলা গিল তো এক টেস্টে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটাকেও হুমকির মুখে ফেলেছিলেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৩০ রান করেছেন গিল। এক টেস্টে এর চেয়ে বেশি রান আছে শুধু একজনেরই। ১৯৯০ সালে লর্ডসে ভারতের বিপক্ষে দুই ইনিংসে ৪৫৬ রান করেছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক গ্রাহাম গুচ (৩৩৩ ও ১২৩)। সেঞ্চুরির পর পাঁচটি ছক্কা মারা গিল আরেকটি ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে শোয়েব বশিরকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন।
গিলের ব্যাটিং কীর্তির দিনে ৬ উইকেটে ৪২৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে ভারত। তাতে ইংল্যান্ডকে ৬০৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে গিলের দল। আজকাল ইংল্যান্ড রান তাড়াটাকে যতই ছেলেখেলা বানিয়ে ফেলুক না কেন, সাড়ে তিন সেশনে স্টোকসদের ৬০৮ রান করে ফেলাটাকে অসম্ভবই বলতে হবে। টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটা কত জানেন তো—৪১৮। ২০০৩ সালে অ্যান্টিগায় ৪১৮ রান ছুঁয়ে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইংল্যান্ডের রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটা ৩৭৮ রানের। সেটিও অবশ্য এই এজবাস্টনেই, তিন বছর আগে ভারতের বিপক্ষেই।
রান তাড়ায় ৩ উইকেটে ৭২ রান তুলে চতুর্থ দিনটা শেষ করেছে ইংল্যান্ড। আউট হয়ে গেছেন জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট ও জো রুট।
এর আগে ১ উইকেটে ৬৪ রান নিয়ে দিনটা শুরু করেছিল ভারত। দিনের নবম ওভারে করুণ নায়ারকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে উইকেট এনে দেন ব্রায়ডন কার্স। আরও ৯ ওভার ৫৫ রান করে বিদায় নেন লোকেশ রাহুল। এরপর ঋষভ পন্তকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ১১০ রান যোগ করেন গিল। ৬৫ রান করে পন্তের বিদায়ের পর গিলের রেকর্ড যাত্রায় সঙ্গী হয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা (৬৯*)।
সুনীল গাভাস্কার ও বিরাট কোহলির পর ভারতের তৃতীয় অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি পাওয়া গিল আউটে ভাঙে জাদেজা ও তাঁর ১৭৫ রানের জুটি। ১৬১ রান করার পথে ৮টি ছক্কা মেরেছেন গিল। টেস্টে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ইনিংসে এর চেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছেন শুধু একজনই। গত বছর রাজকোটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ১২টি ছক্কা মেরেছিলেন যশস্বী জয়সোয়াল।
ইংল্যান্ড: ৪০৭ ও ১৬ ওভারে ৭২/৩ (ডাকেট ২৫, পোপ ২৪*; দীপ ২/৩৬)।এজবাস্টনে গিলের যত কীর্তি৪৩০
টেস্টে এক ম্যাচে কোনো ব্যাটসম্যানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ৪৫৬ ইংল্যান্ডের গ্রাহাম গুচের।
• এক টেস্টে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের আগের সর্বোচ্চ ছিল ৩৪৪, ১৯৭১ সালে পোর্ট অব স্পেনে সুনীল গাভাস্কারের। প্রথম ইনিংসে ১২৪ রান করা গাভাস্কার দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ২২০ রান।
১
টেস্টে দেশের বাইরে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড এখন গিলেন। আগের রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার মার্ক টেলরের, ১৯৯৮ সালে পেশোয়ারে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪২৬ রান।
ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এক টেস্টের দুই ইনিংসেই ১৫০ ছাড়ালেন গিল। প্রথম জন অ্যালান বোর্ডার। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ১৯৮০ সালে লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন অপরাজিত ১৫০ ও ১৫৩ রান।
৯নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ডাবল সেঞ্চুরি পেলেন গিল। এই নয়জনের মধ্যে গ্রাহাম গুচ ও কুমার সাঙ্গাকারা প্রথম ইনিংসে ট্রিপল সেঞ্চুরিই পেয়েছিলেন।
১০১৪এজবাস্টন টেস্টে ভারতের মোট রান। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের প্রথমবার এক ম্যাচে হাজার রান পেরোল ভারত। ভারতের আগের সর্বোচ্চ ৯১৬, ২০০৪ সালে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সব দল মিলিয়ে এক ম্যাচে এক দলের হাজারের বেশি রান করার ঘটনা আছে মাত্র ছয়টি। সর্বোচ্চ ১১২১ রান ইংল্যান্ডের, ১৯৩০ সালে কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।