শেরপুরে বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার, বিদ্যুতে তারে জড়িয়ে মৃত্যু বলে ধারণা
Published: 5th, July 2025 GMT
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে একটি বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। আনুমানিক ১৫-১৬ বছর বয়সী পুরুষ হাতিটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আজ শনিবার সকালে উপজেলার কাটাবাড়ি জঙ্গল থেকে হাতির মরদেহটি উদ্ধার করেন মধুটিলা রেঞ্জের কর্মকর্তারা। প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বন্য হাতির আক্রমণ থেকে ফসল ও ঘরবাড়ি রক্ষার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা বৈদ্যুতিক বাতির সংযোগ দিয়ে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করেন। এতে হাতির দল আলো দেখে ভয়ে লোকালয় ও ফসলি মাঠে প্রবেশ এড়িয়ে চলে। গতকাল রাতে নাকুগাঁও সীমান্ত হয়ে উত্তর কাটাবাড়ি এলাকায় ৮-১০টি হাতির একটি দল ঢুকে। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোনো এক সময় একটি হাতি এ ধরনের বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়।
রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী প্রথম আলোকে বলেন, হাতিটি বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।