নেদারল্যান্ডে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করায় পড়াশোনার পরিবেশ উন্নত হয়েছে
Published: 5th, July 2025 GMT
নেদারল্যান্ডসের স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করায় স্কুলে পড়াশোনার পরিবেশ উন্নত হয়েছে বলে এক সরকারি গবেষণায় উঠে এসেছে।
নেদারল্যান্ডসের সেকেন্ডারি স্কুলগুলো জানিয়েছে, এখন শিক্ষার্থীরা ক্লাসে বেশি মনোযোগী হতে পারছে (৭৫ শতাংশ), সামাজিক পরিবেশও আগের চেয়ে ভালো হয়েছে (৫৯ শতাংশ), এবং কিছু স্কুল জানিয়েছে, ফলাফলেও উন্নতি হয়েছে (২৮ শতাংশ)।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ক্লাসে ফোন নিষিদ্ধের জাতীয় নির্দেশনা জারির পর বেশিরভাগ স্কুলই সেটি মেনে নিয়েছে। এখন দেশটির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সেকেন্ডারি স্কুলে শিক্ষার্থীদের ফোন বাসায় রেখে আসতে বলা হয় বা লকারে রাখতে হয়। প্রতি পাঁচটি স্কুলের একটিতে ক্লাস শুরুর আগে ফোন জমা দিতে হয়।
সেকেন্ডারি স্কুলগুলো জানিয়েছে, এখন শিক্ষার্থীরা ক্লাসে বেশি মনোযোগী হতে পারছে (৭৫ শতাংশ), সামাজিক পরিবেশও আগের চেয়ে ভালো হয়েছে (৫৯ শতাংশ), এবং কিছু স্কুল জানিয়েছে, ফলাফলেও উন্নতি হয়েছে (২৮ শতাংশ)।
গবেষক ড.
নেদারল্যান্ডসে ক্লাসে মোবাইল নিষিদ্ধের বিষয়ে শুরুতে স্কুল, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তবে এখন সবাই বেশ সন্তুষ্ট, এমনটাই জানিয়েছেন ভিও-রাদ (মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল) মুখপাত্র ফ্রেয়া সিক্সমা।
তিনি বলেন, 'শুরুতে অনেক প্রশ্ন ছিল—এটা কীভাবে কাজ করবে, কে মানবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সবাই আসলে খুশি।'
গবেষণায় দেখা গেছে, বিশেষায়িত কিছু স্কুলে যদিও বিশেষ সহায়তার জন্য মাঝে মাঝে মোবাইল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়, তবুও এসব স্কুলের অর্ধেকের বেশি জানিয়েছে—নিষেধাজ্ঞার ফলে ভালো প্রভাব পড়েছে।
দেশটির প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি এডুকেশন মন্ত্রী মারিয়েলে পল বলেন, এই জাতীয় নির্দেশনা শ্রেণিকক্ষে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করেছে। আগে কোনো শিক্ষক ব্যক্তিগতভাবে ফোন নিষিদ্ধ করতে চাইলে তা নিয়ে বিতর্ক হতো। বিশেষ করে নতুন শিক্ষকরা সেটি প্রয়োগ করতে হিমশিম খেতেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
শীতলক্ষ্যায় গোসলে নেমে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরের কালীগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসল করতে নেমে আপন হাসান (১৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তার মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে, দুপুর ১২টার দিকে নদীতে নামার পর নিখোঁজ হয় সে।
মারা যাওয়া আপন উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের দক্ষিণ খলাপাড়া গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল নিয়ে কালীগঞ্জের শাহ সিমেন্ট ঘাট এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসল করতে যায় আপন। একপর্যায়ে ভেসে যাওয়া ফুটবল আনতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে যায় সে। সঙ্গে থাকা তার বন্ধুরা বিষয়টি জানালে স্থানীয়রা আপনকে নদীতে খুঁজতে শুরু করেন। পরে টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল এসে বিকেল ৪টার দিকে আপনের মরদেহ উদ্ধার করে।
আরো পড়ুন:
রামুতে ৪ শিশু নিখোঁজ
শাপলা তুলতে গিয়ে ডোবায় ভাই-বোনের মৃত্যু
কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
ঢাকা/রফিক/মাসুদ