বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, “দেশে এখন রাজনৈতিক দলের অভাব নেই। নতুন করে অনেক রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব হয়েছে। তারা কেউ কেউ নির্বাচন চায়, আবার কেউ বলে হাসিনার বিচার হওয়ার আগ পযন্ত নির্বাচন হতে দেবে না। এমনও কথা মাঝে মাঝে শুনি।” 

শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে চুনকুটিয়া গালস স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে সংস্কার ও দ্রুত সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। 

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “নির্বাচন নিয়ে জনগণের সঙ্গে কোনো প্রহসন মেনে নেওয়া হবে না। রাজনীতি করেন, রাজীনীতি করার অধিকার সবার আছে। কারণ দেশটা সবাই মিলে স্বাধীন করেছে। এই দেশকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব সবার। সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।” 

আরো পড়ুন:

খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে তৈরি হচ্ছে রাজকীয় চেয়ার

দুই বছর ধরে নেতৃত্বহীন বরগুনা জেলা বিএনপি

 

তিনি বলেন, “দুই একটি রাজনৈতিক দল সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। দেশের মানুষ ১৬ বছর ভোট দিতে পারেনি। দ্রুত সব সংস্কার শেষ করে ভোটের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।” 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “দেশের মানুষ স্বৈরাচার হাসিনা থেকে মুক্তি পেয়েছে। তবে, তাদের গণতান্ত্রিক ভোটের অধিকার ফিরে পায়নি। জনগণ চায় তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে।”

তিনি বলেন, “গত ১৬ বছর হামলা, মামলা দিয়ে বিএনপির লোকজনকে হয়রানি করে বাসায় ঘুমাতে দেওয়া হয়নি। শত হামলা, মামলা মাথায় নিয়ে রাজপথে ছিলাম জনগণের ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য। এখন সময় এসেছে, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার।” 

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সামা ওবায়েদ, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক, আজিজুল বারি হেলাল, বিএনপির প্রবীণ নেতা নাজিম উদ্দিন, ঢাকা জেলা বিএনপি সাবেক সহ-সভাপতি সুলতান নাসের।

ঢাকা/শিপন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র স

এছাড়াও পড়ুন:

মাদ্রাসায় তালা দিয়ে জামায়াত প্রার্থীর পথসভায় শিক্ষকরা

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলাকালে মাদ্রাসা তালাবদ্ধ রেখে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থীর পথসভায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নে সীমান্তবর্তী কলাগাঁও জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় এমন ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয়ভাবে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। 
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বাদাঘাট বাজারে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী পথসভা ও গণসংযোগ ছিল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মাওলানা তোফায়েল আহমদ খান। তিনি জামায়াতের জেলা আমিরও। এই সভা সফল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে জামায়াতের কর্মী-সমর্থকরা আসেন। বেলা ১১টার দিকে কলাগাঁও জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে কর্মী-সমর্থকরা সমাবেশস্থলে আসেন। 
অভিযোগ উঠেছে, মাদ্রাসার চলমান অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ করে, মাদ্রাসা তালাবদ্ধ রেখে সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী বাদাঘাট বাজারের জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী পথসভায় অংশগ্রহণ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের কেউ কেউ প্রতিবাদ জানান। ওইদিন মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির বাংলা, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান এবং দশম শ্রেণির আরবি পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল বলে দাবি করেন প্রতিবাদকারীরা।
কলাগাঁও গ্রামের আজহার ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার মাদ্রাসার অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা ছিল। মাদ্রাসার সুপার শিক্ষার্থীদের চলমান পরীক্ষা না নিয়ে নির্বাচনী পথসভায় অংশ নেন। এ সময় মাদ্রাসার দরজা তালাবদ্ধ রেখে যান তিনি। পরে কয়েকজন পরীক্ষার্থী তাদের বিষয়টি জানালে, গ্রামবাসীসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা মাদ্রাসায় গিয়ে এর সত্যতা পান।
জঙ্গলবাড়ীর মোর্শেদ আলম সাদ্দাম বলেন, এই মাদ্রাসার একজন শিক্ষক জামায়াতের স্থানীয় আমির। তিনি হয়তোবা তাঁর দলের কর্মসূচিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে গেছেন। 
মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, বৃহস্পতিবার মাদ্রাসায় কোনো বিষয়ে পরীক্ষা ছিল না। মাদ্রাসা বন্ধ ছিল কিনা, এই প্রশ্নের উত্তর কৌশলে এড়িয়ে যান তিনি। 
এ বিষয়ে জেলা জামায়াতের জেলা আমির ও সুনামগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী তোফায়েল আহমদ খান বললেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। বাদাঘাটের সমাবেশে বিভিন্ন এলাকা থেকে দলের হাজারো কর্মী-সমর্থক, সুধী ও শুভাকাঙ্ক্ষী এসেছেন। তারা নিজ নিজ উদ্যোগে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। কে কীভাবে এসেছেন বিষয়টি জানেন না তিনি।  
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বললেন, মাদ্রাসা বোর্ড আলাদা। বিষয়টি দেখভাল করে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি। এখানে তাদের কিছুই বলার থাকে না।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  মোহাম্মদ আবুল হাসেম বললেন, খোঁজ নিয়ে যাচাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়নপ্রত্যাশী সাতজন। তারা আলাদা সভা সমাবেশ ও শোডাউন করছেন। অপরদিকে জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমিরকে এ আসনে তাঁর সংগঠন ইতোমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তিনি দলের একক প্রার্থী হিসেবে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সালাহউদ্দিন আহমদকে তাঁর বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে: ইসলামী আন্দোলন
  • যারা পিআর পদ্ধতির কথা বলে, তাদের ভোট নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চাইছে চরের দল: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রামে বৃষ্টি, সড়কে ভোগান্তি
  • মাদ্রাসায় তালা দিয়ে জামায়াত প্রার্থীর পথসভায় শিক্ষকরা
  • দেড় কোটি প্রবাসী বাংলাদেশির ভোটাধিকার নিশ্চিতের দাবি
  • জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ছিল অনিবার্য এক রাজনৈতিক বিস্ফোরণ
  • উচ্চ ও নিম্ন আদালতকে ‘ফ্যাসিস্টমুক্ত’ করতে হবে: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমের বিচারের দাবিতে বিএনপির ঝাড়ুমিছিল