ভারতের মধ্যপ্রদেশের শাহদোল জেলায় গণিত এবং জনশক্তির এক অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে। জেলার সাকান্দি গ্রামের একটি সরকারি স্কুলের একটি দেয়ালে চার লিটার রঙ করার জন্য ১৬৮ জন রঙমিস্ত্রি এবং ৬৫ জন রাজমিস্ত্রিকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। স্রেফ চার লিটার রঙ একটি দেয়ালে কীভাবে এই দুই শতাধিক লোক প্রয়োগ করলেন তা নিয়ে রীতিমতো গবেষণা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

রঙ-এর ই বিল প্রকাশের পর দেখা গেছে, সাকান্দির একটি স্কুলে মাত্র চার লিটার রঙ লাগানোর জন্য ১ লাখ সাত হাজার রুপি এবং নিপানিয়া গ্রামের আরেকটি স্কুলে ২০ লিটার রঙ লাগানোর জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার রুপি তুলে নেওয়া হয়েছে। 

সাকান্দিতে একটি দেয়ালের জন্য ১৬৮ জন শ্রমিক এবং ৬৫ জন রাজমিস্ত্রি কাজ করেছেন। আর নিপানিয়ায় ১০টি জানালা ও চারটি দরজা রঙ করার জন্য ২৭৫ জন শ্রমিক এবং ১৫০ জন রাজমিস্ত্রি নিযুক্ত করা হয়েছিল।

রঙের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সুধাকর কনস্ট্রাকশন ৫ মে এই বিল তৈরি করেছিল। আর ৪ এপ্রিল নিপানিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক এই বিল যাচাই করে স্বাক্ষর করেছিলেন।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফুল সিং মারপাচি বলেছেন, “এই দুটি স্কুলের বিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে, উদ্ভূত তথ্যের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ র ল ট র রঙ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ছুরিকাঘাতে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নিহতের পর আহত কর্মীরও মৃত্যু

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন এক ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মুহাম্মদ তানিম (২৫)। আজ বুধবার সকাল ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার চৌধুরীহাট বাজারের দাতারাম সড়কে ছুরিকাঘাতে তিনি আহত তানিম। তিনি এ সময় হাটহাজারীর চিকনদণ্ডী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি অপু দাশের (৩০) সঙ্গে ছিলেন। ছুরিকাঘাতে রাতেই অপুর মৃত্যু হয়।

তানিমের মৃত্যুর বিষয়টি হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মুহাম্মদ তারেক আজিজ প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজ সকাল নয়টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে চৌধুরীহাট বাজারে একদল যুবকের ছুরিকাঘাতে অপু দাশ ও তানিম আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক অপু দাশকে মৃত ঘোষণা করেন। ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তানিমের মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা মুহাম্মদ তারেক আজিজ আরও বলেন, তানিমের পেটে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করেন দুর্বৃত্তরা। অন্যদিকে অপুর গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত তানিম হাটহাজারী উপজেলার বাসিন্দা। তানিম ও অপুকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় রাতে আফসার উদ্দিন নামের এক তরুণকে পুলিশ আটক করেছে। তাঁর বাড়ি কক্সবাজার সদরের পানখালী এলাকায়। তবে তিনি হাটহাজারীর চৌধুরীহাটের সুজন কলোনিতে থাকেন।

আরও পড়ুনহাটহাজারীতে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতিকে হত্যা১২ ঘণ্টা আগে

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আফসার অংশ নিয়েছেন। এ সময় তিনি নিজেও জখম হন। এ ঘটনায় মামলার পর আজ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ