ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জেরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত ও অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের চাতলপাড় বাজারে এ সংঘর্ষ হয়।

নিহত সোহরাব মিয়া (২৬) চাতলপাড় গ্রামের চান মিয়ার ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি ছিলেন। সংঘর্ষের পর বাজারের অন্তত ২০টি দোকানে লুটপাট চালানো হয়। আতঙ্কে ৪৫০টি দোকান বন্ধ করে মালিকরা চলে যান।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রতিপত্তি, সামাজিক অবস্থান ও আধিপত্য নিয়ে চাতলপাড় ইউনিয়নের ‘উল্টা গোষ্ঠী’ এবং ‘মোল্লা গোষ্ঠীর’ মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। আগেও একাধিকবার তারা সংঘর্ষে জড়িয়েছে। পুরোনো বিরোধকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে দু’পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মোল্লা গোষ্ঠীর সোহরাব মিয়া, নেয়ামুল মিয়া, বাবুল মিয়া, সুরাফ মিয়া, মোতাহার মিয়া, তালেব মিয়া, আশিক মিয়া এবং উল্টা গোষ্ঠীর মো.

আলাউদ্দিন, ইউসুফ মিয়া, হাফিজ মিয়া, সিরাজুল ইসলাম, দুরস মিয়া, জলিল মিয়াসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে সোহরাব মিয়াকে কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।

চাতলপাড় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, পুরোনো বিরোধ নিয়ে দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। একজন নিহতের জেরে বাজারে লুটপাট চালানো হয়। আতঙ্কে দোকানিরা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে চলে যান।

উল্টা গোষ্ঠীর নেতা মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘মোল্লা গোষ্ঠীর লোকজন প্রায় আমাদের মারধর করে। শনিবার প্রতিরোধ করলে সংঘর্ষ হয়। তারা বাজারে আমাদের ২০টি দোকান থেকে কোটি টাকার মালপত্র নিয়ে গেছে।’

এ ব্যাপারে মোল্লা গোষ্ঠীর নেতা মোতাহার হোসেন বলেন, ‘মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন আলাউদ্দিনের অনুসারীরা। তারা সোহরাবকে টেঁটা দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলে। আরও দু’জনের অবস্থা সংকটাপন্ন।’

নাসিরনগর থানার ওসি আজহারুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। নিহতের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় ন হত ছ ত রদল ন ত চ তলপ ড় স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?

দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’

প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।

আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’

তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’

মুশফিকুর রহিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ