ডিসেম্বরের আগেই ব্যাংক খাত সংস্কার করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা
Published: 5th, July 2025 GMT
ডিসেম্বরের আগেই ব্যাংক খাত সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ঠিক আছে, যদি তা আরও বাড়ানো হয়, তবে ব্যাংক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সঞ্চয়পত্রের হার বাড়িয়ে দিলে সবাই সঞ্চয়পত্র কিনবে, কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না।
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোতে লিকুইডিটির একটা ব্যাপার আছে। আমাদের তো ব্যালেন্স করে দেখতে হবে। সবাই সঞ্চয়পত্র কিনলে ব্যাংক কোত্থেকে টাকা পাবে?
ব্যাংকিং খাতকে সংকটমুক্ত করা যাবে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের টাকা পয়সা নিয়ে বিদেশে চলে গেছে অনেকে। এ রকম ঘটনা পৃথিবীর কোনো দেশে ঘটে নাই। ব্যাংকিং খাতে সংস্কার সময় সাপেক্ষ, এটা আমরা করতে পারব না। এটা নির্বাচিত সরকার এসে করবে। কিছুদিন আগে আর্থিকভাবে দুর্বল ১২টি ব্যাংককে ৫২ হাজার কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ২২ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, তবে এটা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে জানিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক বড় একটা উদাহরণ। প্রাইভেট সেক্টরের বড় এই ব্যাংকে কিন্তু এখন আস্থা ফিরে এসেছে। অন্যান্য ব্যাংকের ক্ষেত্রে একটা আইন হয়েছে, ব্যাংক রেজ্যুলেশন অ্যাক্ট। এই আইনের প্রথম শর্তটা হলো- যারা টাকা-পয়সা জমা দিয়েছে ব্যাংকে তাদের টাকা ফেরত দিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। কারও টাকা মার যাবে না, হয়তো সময় লাগতে পারে। কোনো কোনো ব্যাংকের হয়তো ব্যবসা নাই, সেগুলো হয়তো সময় লাগবে। এগুলোর হিসাব করা হচ্ছে এবং আমরা কারিগরি সহায়তা নিচ্ছি, কীভাবে মূল্যায়ন করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, নবীনগর টু বাঞ্ছারামপুর ও আড়াইহাজার সড়কের কাজ একনেকে অনুমোদন হয়েছে, দ্রুতই কাজ শুরু হবে। নবীবগর টু আশুগঞ্জ সড়ক নির্মাণ ও নবীনগর টু কোম্পানিগঞ্জ সড়কের সংস্কার কাজ প্রক্রিয়াধীন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, নবীনগরসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রতিটি উপজেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে, সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ চলছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটে হারাল দ. আফ্রিকা
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে দারুণ আধিপত্য দেখিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটে হারিয়ে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দল। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) কলম্বোর আর প্রেমাদাসা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে প্রোটিয়ারা জয় পেয়েছে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে। এ নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে টানা চতুর্থ ম্যাচে জয় পেল তারা।
এই জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা পাঁচ ম্যাচে চার জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। বিপরীতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা এখনো জয়ের দেখা পায়নি; পাঁচ ম্যাচে এটি তাদের তৃতীয় হার।
আরো পড়ুন:
টি-টোয়েন্টিতে ৩৪ বলে সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়লেন ভারতের ব্যাটার
ওয়ানডেতে পায়ের নিচে মাটির সন্ধানে বাংলাদেশ, উইন্ডিজের চোখ সিরিজে
এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি ৫০ ওভার থেকে নেমে আসে ২০ ওভারে। নির্ধারিত ওভারে লঙ্কান নারীরা সংগ্রহ করে ৬ উইকেটে ১০৫ রান।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রান আসে বিষ্মি গুনারত্নের ব্যাট থেকে। ইনিংসের শুরুতে তিনি ইনজুরিতে মাঠ ছাড়লেও শেষ দিকে ফিরে এসে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু অন্য প্রান্ত থেকে ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারানোয় বড় সংগ্রহ দাঁড় করানো সম্ভব হয়নি।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেন ননকুলুলেকো ম্লাবা। তার শিকার তিনজন ব্যাটার। শুরুতে ক্যাভিশা দিলহারিকে আউট করার পর পরের বলেই ম্লাবা তুলে নেন হর্ষিথা সমারাবিক্রমাকে। শেষ ওভারে তিনি ফেরান গুনারাথনেকেও, যিনি কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
১১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার লরা উলভার্ট ও তাজমিন ব্রিটস। ইনিংসের প্রথম ছয় ওভারে তারা তোলে ২৫ রান। এরপর গতি বাড়িয়ে দেন দুজনেই। মাত্র ১২.৫ ওভারে জয় তুলে নেয় প্রোটিয়ারা, হাতে ছিল আরও ৩১ বল!
ক্যাপ্টেন উলভার্ট তুলে নেন তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৭তম হাফ-সেঞ্চুরি। চলতি টুর্নামেন্টে এটি তার দ্বিতীয়। অন্যদিকে ব্রিটস শেষ বলে ছক্কা মেরে পূর্ণ করেন নিজের ফিফটি এবং নিশ্চিত করেন দলের দারুণ ১০ উইকেটের জয়।
এই জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা শুধু টানা চতুর্থ জয়ই পেল না, বরং নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বও আরও দৃঢ় করল। ব্যাট-বল দুই বিভাগেই এমন ছন্দময় পারফরম্যান্সে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর তারা, যা নিঃসন্দেহে আসন্ন পাকিস্তান ম্যাচের আগে বড় প্রেরণা হয়ে থাকবে।
প্রোটিয়াদের পরের ম্যাচ ২১ অক্টোবর, একই ভেন্যুতে পাকিস্তানের বিপক্ষে। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা ২০ অক্টোবর নবী মুম্বাইয়ে লড়বে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
ঢাকা/আমিনুল