জুলাই বিপ্লব নিয়ে কটূক্তি করা পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
Published: 5th, July 2025 GMT
কুষ্টিয়ায় জুলাই বিপ্লব নিয়ে কটূক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ফারজুল ইসলাম রনি নামে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি মোশাররফ হোসেন।
আরো পড়ুন: কুষ্টিয়ায় জুলাই বিপ্লব নিয়ে কটূক্তি, পুলিশ সদস্য ক্লোজড
আরো পড়ুন:
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চবির অফিস সহকারী বরখাস্ত
৪৩ লাখ টাকা গড়মিল: নোবিপ্রবির কম্পিউটার অপারেটর বরখাস্ত
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলের দিকে ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে জুলাই বিপ্লবকে অবমাননাকর পোস্ট করেন কুষ্টিয়া ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল ফারজুল ইসলাম রনি। বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে ছাত্র সমাজ। রনিকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তারা বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। ওইদিন রাতেই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ফারজুল ইসলাম রনির ছুটিও বাতিল করা হয়। ওই পুলিশ সদস্য ছুটিতে গিয়ে পোস্টটি করেন। এরপর তিনি কাজে না ফিরে আত্মগোপনে রয়েছেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, “ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার ঘটনায় ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল ফারজুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে, তাকে ক্লোজড করা হয়েছিল। তার ছুটি বাতিল করা হয়েছিল।”
তিনি আরো বলেন, “এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এরপরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কুষ্টিয়া ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর শেখ শাহাদাত আলী বলেন, “ফারজুল ইসলাম রনি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার দহকুলা গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন মৃধার ছেলে। তিনি ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই থেকে কুষ্টিয়া ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ছুটিতে বাড়ি গিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন তিনি।”
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বরখ স ত প ল শ সদস য বরখ স ত ফ সব ক
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রামের বাড়ির পুকুর জলে!
আমরা গ্রামের বাড়ি থেকে ফিরলাম। দুই ভাই-বোন অনেক মজা করেছি। ট্রেন ভ্রমণে খুব আনন্দ পেয়েছি। আমার বোন ফাতিহা লাফালাফি করেছে। ট্রেনের জানালার পাশে বসে আমরা দারুণ সব দৃশ্য দেখেছি। গাছপালা, নদী আর গ্রাম দেখার সময় মনে হয়েছিল, যেন আমরা কোনো গল্পের মধ্যে আছি। গ্রামে পৌঁছানোর পর গ্রাম দেখে আমরা মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। গ্রামের পথ, গ্রামের সবুজ, কতো কতো ফল গ্রামে। আমার দাদার বাড়িতে বিশাল বিশাল বালুর স্তূপ। আমরা বালিতে হাত দিয়ে দুর্গ বানালাম আর পুকুরে গোসল করলাম। বাবা বললেন, ‘এই বাড়িতেই আমার সব শান্তি। তোরাও থাক, দেখবি তোদেরও শান্তি লাগবে।’ এটা শুনে আমরা ভাই-বোন খুব আনন্দিত হলাম। এরপর আমরা আত্মীয়ের বাড়িতে গেলাম। কতো কতো মানুষ আমাদের কতো আদর করলো। সূর্যের আলোতে গ্রামের সবুজ গাছগুলো খুব ঝলমল করে। আমরা বাজারে গিয়েছি বাবার সঙ্গে। বাজারের মানুষরাও দেখি বাবাকে চেনেন। বাজারটাও চারদিকে পানি আর সবুজে ঘেরা। বাজারের মানুষজন আমাদের স্থানীয় খাবার খাওয়ালেন।
এরপর আমরা গ্রামের শেষ বাড়িটায় গেলাম। সে বাড়িটা খুব ভূতুড়ে। আমরা সবাই মিলে হাতে হাত ধরে গেলাম। বাড়িতে বিশাল একটা পুকুর। আমরা পুকুর ঘাটে গেলাম। পানিতে পা ভেজালাম। বিশাল পুকুর দেখলাম। আমার দেখা এই পুকুরটাই সবচেয়ে বড় পুকুর। বাবা বলেন, এটা পুকুর না; এটা হচ্ছে দিঘি।
আমার ছোট বোন পুকুর ঘাটে তেলাপিয়া মাছ দেখে আনন্দে চিৎকার করতে থাকলো। কিছু মাছ এত বড় ছিল দেখে মনে হচ্ছিল, আমরা সত্যিই পুকুরের গভীরে আছি! গ্রামের ভ্রমণটি আমাদের জন্য ছিল আনন্দের স্মৃতিতে ভরা। এই স্মৃতি আমরা কখনও ভুলবো না।
n বয়স : ৩+৪+৪ বছর; চতুর্থ শ্রেণি, রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, ঢাকা