ঠাকুরগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয়জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদেরকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শনিবার (৫ জুলাই) ভোর আনুমানিক ৪টা ২০ মিনিটে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ ৩৩৬/৬-এস সীমান্ত পিলার বরাবর ভারত থেকে ছয়জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। এ সময় দিনাজপুর ব্যাটালিয়নের (৪২ বিজিবি) টহল দল তাদেরকে আটক করে।
শনিবার দুপুরে ৪২ বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আটক ছয়জনের মধ্যে দুজন পুরুষ, দুজন মহিলা ও দুজন শিশু। তারা হলেন—নড়াইলের কালিয়া থানাধীন কালডাঙ্গা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো.
আটক ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তারা প্রায় বছরখানেক আগে দালালের সহায়তায় কাজের সন্ধানে ভারতের মুম্বাইয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেই তারা বসবাস করছিলেন। আট-দশ দিন আগে মুম্বাই পুলিশ তাদেরকে আটক করে এবং গত ৪ জুলাই সীমান্ত এলাকায় নিয়ে আসে। শনিবার ভোরে বিএসএফ তাদেরকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায়।
ওই ছয়জনের পরিচয় যাচাইয়ের জন্য তাদের আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলোর ভিত্তিতে তাদের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
ছয়জনকে ঠেলে পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক হয়েছে।
বিজিবির পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় অপরাধ রোধে নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বিজিবি।
সীমান্তে মানবপাচার এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বিজিবি।
ঢাকা/হিমেল/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ ত দ রক ঠ ক রগ
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ