ঠাকুরগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয়জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদেরকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শনিবার (৫ জুলাই) ভোর আনুমানিক ৪টা ২০ মিনিটে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ ৩৩৬/৬-এস সীমান্ত পিলার বরাবর ভারত থেকে ছয়জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। এ সময় দিনাজপুর ব্যাটালিয়নের (৪২ বিজিবি) টহল দল তাদেরকে আটক করে।

শনিবার দুপুরে ৪২ বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আটক ছয়জনের মধ্যে দুজন পুরুষ, দুজন মহিলা ও দুজন শিশু। তারা হলেন—নড়াইলের কালিয়া থানাধীন কালডাঙ্গা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো.

সজীব হোসেন (৩০), সজীবের স্ত্রী মোছা. খাদিজা খাতুন (৩০), তাদের সন্তান মো. ইয়ানুর ইসলাম (৮) ও মোছা. সাদিয়া খাতুন (১) এবং একই এলাকার সাতবাড়ীয়া গ্রামের সিদ্দিক মোল্লার ছেলে মো. ইকরাম মোল্লা (৩১) ও মেয়ে মোছা. কহিনুর বেগম (৩০)।

আটক ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তারা প্রায় বছরখানেক আগে দালালের সহায়তায় কাজের সন্ধানে ভারতের মুম্বাইয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেই তারা বসবাস করছিলেন। আট-দশ দিন আগে মুম্বাই পুলিশ তাদেরকে আটক করে এবং গত ৪ জুলাই সীমান্ত এলাকায় নিয়ে আসে। শনিবার ভোরে বিএসএফ তাদেরকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায়।

ওই ছয়জনের পরিচয় যাচাইয়ের জন্য তাদের আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলোর ভিত্তিতে তাদের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। 

ছয়জনকে ঠেলে পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক হয়েছে।

বিজিবির পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় অপরাধ রোধে নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বিজিবি। 

সীমান্তে মানবপাচার এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বিজিবি। 

ঢাকা/হিমেল/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ ত দ রক ঠ ক রগ

এছাড়াও পড়ুন:

তিন মাস পর বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক ওয়াসিম আকরামের (২৮) মরদেহ দেশে ফিরেছে।

শনিবার (৫ জুলাই) মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের সহকারী পরিচালক মুন্সি ইমদাদুর রহমানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

নিহত ওয়াসিম মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।

বিজিবি জানিয়েছে, চলতি বছরের ১১ এপ্রিল ইছামতী নদীর ভারতীয় অংশে গুলিবিদ্ধ যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। পরে বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলী ঘটনাস্থলে বাংলাদেশ অংশে দাঁড়িয়ে মরদেহটি তার তার ছেলে ওয়াসিম আকরামের বলে দাবি করে। ওই সময় বিএসএফ মরদেহ উদ্ধার করে ভারতীয় পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

পরে মরদেহ ফিরে পেতে বিজিবির কাছে লিখিত আবেদন করে ওয়াসিমের বাবা রমজান আলী। আবেদনের প্রেক্ষিতে মহেশপুর ৫৮ বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ধারাবাহিক যোগাযোগের ফলে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ বাংলাদেশি ওই যুবকের মরদেহ ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।

শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে মেইন সীমান্ত পিলার ৬০ এর নিকটে বিজিবি ও বিএসএফ ও দুই দেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। ওয়াসিম আকরামের বাবা রমজান আলী এবং তার বড় ভাই মেহেদী হাসান মরদেহ গ্রহণ করেন। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বাঘাডাঙ্গা গ্রামে ওয়াসিম আকরামের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্থানীয় ইউপি সদস্যের পরিকল্পনায় মুরাদনগরে ‘মব’ সৃষ্টি করে তিনজনকে হত্যা
  • বাংলাদেশির লাশ ৩ মাস পর ফেরতদিল বিএসএফ
  • তিন মাস পর বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
  • কুমিল্লায় মা, মেয়ে ও ছেলেকে হত্যার মামলায় আরও ৬ জন গ্রেপ্তার
  • সৌদি রিয়াল ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৬ জন
  • আশুগঞ্জে অবৈধভাবে চলছিল সিসা কারখানা, ৩ চীনা নাগরিকসহ ছয়জনের কারাদণ্ড
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ চীনা নাগরিকসহ ৬ জনের জেল
  • বগুড়ায় আটকের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, পালানোর সময় এপিবিএন সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৬
  • মুঠোফোন ও নকল নিয়ে পরীক্ষা, বারহাট্টায় ১০ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার