২০২৫ সালটা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না অভিনেতা সাইফ আলি খানের। বছরের শুরুতেই নিজের বাড়িতে হামলার শিকার হতে হয়েছিল তাকে। সেই ঘটনার পর খুব একটা বাইরে দেখা যায়নি তাকে। এসবের মাঝে জামি সংক্রান্ত সমস্যায় পড়লো অভিনেতার পরিবার। এবার পতৌদি পরিবারের ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সাইফের করা আবেদন খারিজ করে দিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট।

ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে ভোপালের খান পরিবারের সম্পত্তি ‘শত্রু সম্পত্তি’ বলে ঘোষণা করা হয়। ২০১৫ সালেই মুম্বাইয়ে অবস্থিত ‘শত্রু সম্পত্তি’ সংক্রান্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় ভোপালের নবাবের জমি সরকারি সম্পত্তি। এরপরই পতৌদি পরিবার আইনের দ্বারস্থ হয়। দাবি করে, ভোপাল ও রাইসেনে অবস্থিত ফ্ল্যাগ স্টাফহাউস, আহমেদাবাদ প্যালেস থেকে রাইসেনের কোঠি ও কোঠি সংলগ্ন জঙ্গল ইত্যাদি সবই তাদের সম্পত্তি। কিন্তু এবার শত্রু সম্পত্তি আইনে সবই হাতছাড়া হতে চলেছে তাদের।

২০১৫ সালে ওই সম্পত্তি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেই রাজ্যের হাইকোর্ট তা তুলে নেয়। এবার সাইফের আবেদন খারিজ করে দিল উচ্চ আদালত।

কী এই শত্রু সম্পত্তি আইন? ১৯৪৭ সালে ভোপাল ছিল এক প্রিন্সলি স্টেট। যার শেষ নবাব ছিলেন হামিদুল্লা খান। তিনিই সাইফের বাবা মনসুর আলি খান পতৌদির মাতামহ। তার তিন কন্যার মধ্যে যিনি বড়, সেই আবিদা সুলতান ১৯৫০ সালে পাকিস্তানে চলে যান। দ্বিতীয় কন্যা সাজিদা সুলতান ভারতেই থেকে যান। বিয়ে করেন সাইফের দাদা ইফতিকার আলি খান পতৌদিকে।  ফলে সাইফের দাদা ওই সমস্ত সম্পত্তির আইনত উত্তরাধিকারী হয়ে যান। মনসুর আলি খান মারা যাওয়ার পর জন্মসূত্রে সেই সম্পত্তির মালিক হওয়ার কথা সাইফ ও তার ভাইবোনদের।

২০১৯ সালে আদালত জানিয়ে দেন, সাজিদা সুলতান ওই সম্পত্তির বৈধ উত্তরসূরি। তার নাতি সাইফ আলী খানের সেই সম্পত্তিতে অংশ রয়েছে। কিন্তু আবিদা পাকিস্তানে চলে যাওয়ায় ভারত সরকার এটিকে শত্রু সম্পত্তি বলে দাবি করে। আর এ সম্পত্তির ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার পর থেকেই নতুন করে সমস্যা দেখা দেয়। এবার সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সাইফের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট।

আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর সাইফের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

হাইকোর্টে আবেদন খারিজ, সাইফের ১৫ হাজার কোটি রুপির সম্পত্তি কী হবে

২০২৫ সালটা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না অভিনেতা সাইফ আলি খানের। বছরের শুরুতেই নিজের বাড়িতে হামলার শিকার হতে হয়েছিল তাকে। সেই ঘটনার পর খুব একটা বাইরে দেখা যায়নি তাকে। এসবের মাঝে জামি সংক্রান্ত সমস্যায় পড়লো অভিনেতার পরিবার। এবার পতৌদি পরিবারের ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সাইফের করা আবেদন খারিজ করে দিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট।

ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে ভোপালের খান পরিবারের সম্পত্তি ‘শত্রু সম্পত্তি’ বলে ঘোষণা করা হয়। ২০১৫ সালেই মুম্বাইয়ে অবস্থিত ‘শত্রু সম্পত্তি’ সংক্রান্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় ভোপালের নবাবের জমি সরকারি সম্পত্তি। এরপরই পতৌদি পরিবার আইনের দ্বারস্থ হয়। দাবি করে, ভোপাল ও রাইসেনে অবস্থিত ফ্ল্যাগ স্টাফহাউস, আহমেদাবাদ প্যালেস থেকে রাইসেনের কোঠি ও কোঠি সংলগ্ন জঙ্গল ইত্যাদি সবই তাদের সম্পত্তি। কিন্তু এবার শত্রু সম্পত্তি আইনে সবই হাতছাড়া হতে চলেছে তাদের।

২০১৫ সালে ওই সম্পত্তি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেই রাজ্যের হাইকোর্ট তা তুলে নেয়। এবার সাইফের আবেদন খারিজ করে দিল উচ্চ আদালত।

কী এই শত্রু সম্পত্তি আইন? ১৯৪৭ সালে ভোপাল ছিল এক প্রিন্সলি স্টেট। যার শেষ নবাব ছিলেন হামিদুল্লা খান। তিনিই সাইফের বাবা মনসুর আলি খান পতৌদির মাতামহ। তার তিন কন্যার মধ্যে যিনি বড়, সেই আবিদা সুলতান ১৯৫০ সালে পাকিস্তানে চলে যান। দ্বিতীয় কন্যা সাজিদা সুলতান ভারতেই থেকে যান। বিয়ে করেন সাইফের দাদা ইফতিকার আলি খান পতৌদিকে।  ফলে সাইফের দাদা ওই সমস্ত সম্পত্তির আইনত উত্তরাধিকারী হয়ে যান। মনসুর আলি খান মারা যাওয়ার পর জন্মসূত্রে সেই সম্পত্তির মালিক হওয়ার কথা সাইফ ও তার ভাইবোনদের।

২০১৯ সালে আদালত জানিয়ে দেন, সাজিদা সুলতান ওই সম্পত্তির বৈধ উত্তরসূরি। তার নাতি সাইফ আলী খানের সেই সম্পত্তিতে অংশ রয়েছে। কিন্তু আবিদা পাকিস্তানে চলে যাওয়ায় ভারত সরকার এটিকে শত্রু সম্পত্তি বলে দাবি করে। আর এ সম্পত্তির ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার পর থেকেই নতুন করে সমস্যা দেখা দেয়। এবার সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সাইফের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট।

আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর সাইফের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ