২০২৪ সালের ঐতিহাসিক ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’কে স্মরণে রেখে নবনির্মিত সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) প্রধান ফটকের নামকরণ করা হয়েছে ‘জুলাই ৩৬ গেইট’। এই ফটকটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সকাল ১১টায় সিকৃবির প্রধান ফটকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম ‘জুলাই ৩৬ গেইট’ এর নামফলক উন্মোচন করেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
শাবিপ্রবিতে ২০৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
শাবিপ্রবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৭ জুলাই
এ সময় উপাচার্য বলেন, “নবনির্মিত ‘জুলাই ৩৬ গেইট’ আত্মত্যাগ ও একটি স্বপ্নের প্রতীক। যে স্বপ্নে ছিল একটি গণতাতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক বাংলাদেশ। এই গেইটটির নাম ‘জুলাই ৩৬’ রাখা হয়েছে চব্বিশের জুলাইয়ের শহীদ ও আহত বীর সন্তানদের প্রতি সম্মান জানিয়ে। নামটির প্রতিটি অংশে নিহিত আছে স্মৃতি ও প্রতিজ্ঞা।”
তিনি আরও বলেন, “৩৬ জুলাই কেবল অতীতের একটি দিন নয়, এটি ভবিষ্যতের জন্য এক অনুপ্রেরণা, যা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই এবং ন্যায়বিচারের জয়কে চিরস্মরণীয় করে রাখবে।”
অনুষ্ঠান শেষে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের পর মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
ঢাকা/আইনুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ
দেশের সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল ও কলেজকে ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ দিবস ও ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ’ দিবস উদযাপনের নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
আজ বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মো. খালিদ হোসেনের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ জারি করে মাউশি। এ সংক্রান্ত চিঠি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে। খবর বাসসের
চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার প্রতিবছর ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস (সাধারণ ছুটিসহ) ঘোষণা করেছে এবং উক্ত তারিখ জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১ নম্বর সূত্রোক্ত পরিপত্রের ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
সরকার প্রতিবছর ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং উক্ত তারিখ জুলাই শহীদ দিবস হিসেবে পালনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১ নম্বর পরিপত্রের ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রতি ঘোষিত ৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালন না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিন ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণা করা হয়। পরে বিভিন্ন পক্ষ থেকে আপত্তি ও প্রতিবাদের মুখে সিদ্ধান্তটি বাতিল করে সরকার।