উপজেলায় স্থায়ী আদালত স্থাপনে সব দল একমত
Published: 7th, July 2025 GMT
উপজেলা পর্যায়ে স্থায়ী আদালত স্থাপনে একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। গতকাল সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দশম দিনের সংলাপে তারা এ ব্যাপারে একমত হয়েছে। এ ছাড়া জরুরি অবস্থা জারির পদ্ধতি বদলাতে সংবিধান সংশোধন এবং জরুরি অবস্থার রাজনৈতিক অপব্যবহার বন্ধেও ঐকমত্য হয়েছে।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তিত হওয়ার পর উপজেলা সদরে স্থায়ী আদালত গঠন করা হয়েছিল। ১৯৯১ সালে তা বাতিল করে তৎকালীন সরকার। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন অধস্তন আদালত বিকেন্দ্রীকরণে উপজেলা আদালত ব্যবস্থা পুনর্বহালের সুপারিশ করেছে।
প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ দশম দিনের সংলাপ শেষে বলেছেন, নাগরিকের সুবিচারের অধিকার নিশ্চিতে উপজেলা সদরে অধস্তন আদালত স্থাপনে সব রাজনৈতিক দল একমত। তবে ৬৪ জেলার সদর উপজেলায় এ আদালতের প্রয়োজন নেই। জেলা জজ আদালতেই থাকবে সদর উপজেলা আদালত। যেসব উপজেলা জেলা সদরের কাছাকাছি, সেখানেও আদালত স্থাপনের প্রয়োজন নেই বলে মনে করছে দলগুলো। চরাঞ্চল, দ্বীপ, দুর্গম এবং দূরবর্তী যেসব এলাকায় চৌকি আদালত বিদ্যমান, সেগুলোতে পর্যায়ক্রমে স্থায়ী আদালত স্থাপনে একমত দলগুলো। অন্যান্য উপজেলায় জনঘনত্ব, যাতায়াত সুবিধা, অর্থনৈতিক অবস্থা ও মামলার সংখ্যা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে আদালত স্থাপনের মত এসেছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ ও অর্থ বরাদ্দ করতে হবে এবং আইনগত সহায়তা উপজেলা পর্যায়ে নিতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, চৌকি আদালত রয়েছে ৬৭ উপজেলায়। এগুলোকে স্থায়ী করার পক্ষে মত দিয়েছে বিএনপি। যেসব উপজেলা জেলা সদর থেকে ১৫-২০ কিলোমিটারের মধ্যে, সেখানেও আদালত স্থাপনের প্রয়োজন নেই। তবে সদর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে এবং জনসংখ্যা বেশি, এমন উপজেলায় আদালত করা যায়।
বিএনপি সরকারের বাতিল করা উপজেলা আদালত পুনঃস্থাপনে দলটি কেন একমত হচ্ছে– এ প্রশ্নে সালাহউদ্দিন বলেন, ১৯৯১ সালে রাজনৈতিক সেন্টিমেন্ট উপজেলা আদালতের পক্ষে ছিল না। ৩৫ বছরে প্রেক্ষাপট বদলেছে। দেশ বিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান প্রজন্মের প্রয়োজনে ও জনগণের স্বার্থে আগের বিবেচনা তো পালটাতেই হয়।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড.
এদিকে উচ্চ আদালতের বিকেন্দ্রীকরণে বিভাগীয় সদরে হাই কোর্টের বেঞ্চ স্থাপনে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলেও আইনজীবীরা এর বিরোধিতা করে প্রধান বিচারপতিকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, গুটি কয়েক বিচারপতি এবং আইনজীবীর স্বার্থের কাছে বিচারিক সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া আটকে থাকতে পারে না। অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যে যে সিদ্ধান্ত হবে, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। জাতীয় ঐকমত্যে সংস্কারের ম্যান্ডেট রয়েছে।
জরুরি অবস্থার অপব্যবহার বন্ধে ঐকমত্য
সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জরুরি অবস্থা জারি করা হলেও নাগরিকের মৌলিক অধিকার স্থগিত করা যাবে না। শুধু প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে নয়; জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) সুপারিশে জরুরি অবস্থা জারি করবেন রাষ্ট্রপতি। বিএনপির আপত্তিতে এনসিসি গঠনের প্রস্তাব আগেই প্রত্যাহার করেছে কমিশন।
গতকালের আলোচনার পর আলী রীয়াজ বলেন, জরুরি অবস্থার অপব্যবহার বন্ধে ঐকমত্য হয়েছে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৭৪ এবং ২০০৭ সালে জারি হওয়া জরুরি অবস্থায় বিরোধী মতকে দমন করা হয়েছে। তাই জরুরি অবস্থা জারির পদ্ধতি সংশোধনে ঐকমত্য হয়েছে। আগামী সংসদে বিস্তারিত আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
তবে এনসিপির আখতার হোসেন বলেন, সংস্কার সংসদের দিকে ঠেলে দেওয়া যাবে না। এই সরকারেরই সংস্কারের ম্যান্ডেট রয়েছে। জুলাই সনদকে নিছক ডকুমেন্ট, দলিল হিসেবে উপস্থাপন করার যে চিন্তা অনেকের মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে, এর বিপক্ষে এনসিপির অবস্থান। মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে। জরুরি অবস্থায় যেন মানবাধিকার এবং নাগরিক অধিকার ক্ষুণ্ন না করা হয়। এ বিষয়ে এখনও ঐকমত্য হয়নি। জরুরি অবস্থার সময় কারও বিচারপ্রাপ্তির অধিকার যেন কোনোভাবেই ক্ষুণ্ন না হয়।
জামায়াতের হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি, যুদ্ধ, বহিরাক্রমণের সময়ে জরুরি অবস্থা জারির বিধান রাখতে একমত জামায়াত।
ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ ৯০ দিনের জন্য রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারবেন। ঘোষণার বৈধতার জন্য ঘোষণার আগেই মন্ত্রিসভার লিখিত অনুমোদন নিতে হবে। জরুরি অবস্থা জারি করা হলেও বেশ কিছু মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন বা স্থগিত করা যাবে না।
গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নুরুল হক বলেন, অনেক বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো শুধু শিরোনামে একমত হচ্ছে। সারবস্তুতে একমত হচ্ছে না। ফলে সংস্কারের বাস্তবায়ন নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে।
সংলাপের শুরুতে আলী রীয়াজ বলেন, কমিশন রাজনৈতিক দলের ওপর সংস্কার চাপিয়ে দিচ্ছে না। সব দল সব বিষয়ে শতভাগ একমত হবে না। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সংলাপে এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং ড. আইয়ুব মিয়া।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপজ ল য় অবস থ র ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
দুই প্রশ্নের গণভোটের বিপদ
৩২টি দল মিলে টানা কয়েক মাস সংবিধান সংস্কার নিয়ে ঐকমত্যে আসার চেষ্টা করার পর যেভাবে বৈঠকটির পরিসমাপ্তি টানা হলো, তাতে পুরো সংস্কারপ্রক্রিয়া টালমাটাল হয়ে পড়েছে।
সনদে ৮৪টি প্রস্তাব থাকছে। এর মধ্যে ৩৯টি প্রস্তাব মানে প্রায় অর্ধেক প্রস্তাবে কোনো না কোনো দলের দ্বিমত আছে। ২৫টি প্রস্তাবে আংশিক আপত্তি বা ‘নোট অব ডিসেন্ট’ আছে। কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে ৩৯ প্রস্তাবে সবাই সম্মত, সেগুলো একটি তালিকা করে নাগরিকদের সম্মতি বা অসম্মতি জানার জন্য গণভোটে একটি প্রশ্ন থাকবে। সেসব প্রস্তাব নিয়ে টানা দুই মাস আলাপ করে দেশের সব দল ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি, সেগুলো নিয়ে আরেকটি প্রশ্ন হবে।
নাগরিকদের ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলতে হলে তাঁদের তো বুঝতে হবে, কী তাঁরা মত দিচ্ছেন। যেসব বিষয়ে তাঁদের পছন্দের রাজনৈতিক দলগুলো একমত পোষণ করেছে, সেসব বিষয়ে সম্মতি দেওয়াটা সহজ। কারণ, তাঁরা ভেবে নিতে পারেন যে যেসব বিষয়ে সব নেতা একমত হয়ে বসে আছেন, সেখানে তাঁর ‘হ্যাঁ’ বলাতে কোনো ঝুঁকি নেই। প্রতিটি প্রস্তাব নিয়ে তাঁর গবেষণা করার প্রয়োজন নেই।
কিন্তু যেসব বিষয়ে কোনো না কোনো দল আপত্তি তুলেছে, সেই ব্যালটের কী হবে? কোনো প্রস্তাবে যদি কোনো দলের আপত্তি থাকে, তাহলে একজন নাগরিকের দায়িত্ব হবে সেই প্রস্তাব খতিয়ে দেখা বা তাঁর দল যেদিকে রায় দিয়েছে, সেদিকে থাকা। সে ক্ষেত্রে তাঁর দল যেগুলোতে সায় দিয়েছে, শুধু সেগুলোতে তিনি সম্মতি দিতে চাইবেন। কিন্তু ব্যালটে তিনি যদি ‘হ্যাঁ’ বলেন, তাহলে যেসব প্রস্তাবে তিনি নিজে বা তাঁর দল সম্মতি দেয়নি, সেগুলোতেও তাঁর সম্মতি দেওয়া হয়ে যাচ্ছে।
আর যদি ‘না’ বলেন, তাহলে যেসব প্রস্তাবে তাঁর নিজের বা দলের সমর্থন আছে, সেগুলো বাতিল হয়ে যাবে। দেখা যাচ্ছে, গণভোটের এই দ্বিতীয় প্রস্তাব কোনোভাবেই কোনো অর্থবহ জনমত বিচার করতে পারবে না। অতএব গণভোটের ব্যালটে এই দ্বিতীয় প্রশ্ন রাখাটা অর্থহীন, অন্যায্য ও অবিবেচনাপ্রসূত।
সংবিধান ‘পিপলস উইল’ বা জনগণে সার্বভৌম ইচ্ছার প্রকাশ। অতএব সেটির ছায়াতলে সবাই এক হবে, সেটিই কাম্য। সেই সংবিধানের জন্যই জাতি যদি বিভাজিত হয়, তাহলে সেটি হবে চরম স্খলন।সংবিধান দেশের আইনের ভিত্তি। এ জন্য সেটি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হওয়া বাধ্যতামূলক। দেশের একটি ছোট অংশও যদি মনে করে যে তাদের জন্য এই সংবিধান অন্যায্য, তাহলে ঐক্যের বদলে সংঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অন্যায্য না হলেও যদি জনমত সংবিধানের পক্ষে না থাকে, তবে যত ভালো বিশেষজ্ঞ দিয়েই সংবিধান তৈরি হোক না কেন, সেই সংবিধান দেশের কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসতে পারে না।
কমিশনের বৈঠকে এই প্রস্তাব নিয়ে কোনো আলাপ না করে কমিশন শেষে এসে এককভাবে গণভোটে দুটি প্রশ্ন নিয়ে নাগরিকদের কাছে রায় চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। তারা শুধু বলল, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে এই কাজ করা হলো। বিশেষজ্ঞদের অজুহাত দিয়ে এ রকম অস্বচ্ছ গণভোট চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা খুবই অপরিপক্ব সিদ্ধান্ত।
সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয় হলো যদি ধরে নিই, দেশের মানুষ পার্টি লাইনে বা দলীয়ভাবে বিভক্ত, তাহলে বিএনপি যেখানে আপত্তি দিয়েছে, সেটি হ্যাঁ ভোটে পাস হলে দেশের একটি বড় অংশ এই সংবিধান সংস্কারের বিপক্ষে চলে যাবে।
সংবিধানের মূলনীতি নিয়ে একই সমস্যায় আমরা পড়ব। দেশের এক অংশের মানুষের কাছে চারটি মূলনীতি তাঁদের দেশভাবনার কেন্দ্রবিন্দু। সেটি নিয়ে তাঁরা যে আপস করবেন না, সেটি কমিশনেই তাঁরা ওয়াকআউট করে জানিয়েছেন। এসব বিষয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়ে পাস করিয়ে নিলে দেশের মানুষ বিভাজিত হবেন। তখন দেশকে মূল্য দিতে হবে দীর্ঘমেয়াদি অস্থিতিশীলতা দিয়ে।
সংবিধান ‘পিপলস উইল’ বা জনগণে সার্বভৌম ইচ্ছার প্রকাশ। অতএব সেটির ছায়াতলে সবাই এক হবে, সেটিই কাম্য। সেই সংবিধানের জন্যই জাতি যদি বিভাজিত হয়, তাহলে সেটি হবে চরম স্খলন।
ভিন্নমত ও নোট অব ডিসেন্ট নিয়ে যত কষ্টই হোক, ঐকমত্যে পৌঁছানো ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। আমাদের বুঝতে হবে যে সংবিধানের মৌলিক সংস্কারের জন্য ঐকমত্যে পৌঁছানোর তুলনায় বিলম্বে সিদ্ধান্ত নেওয়া কোনো গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নয়। ইতিহাস আমাদের শেখায় টেকসই সংবিধান করতে দু–তিন বছর ধরে আলাপ করাটাই শ্রেয়। নেপাল রাজতন্ত্র বিলোপের সংবিধান করতে নেয় ৯ বছর। আর ইন্দোনেশিয়া তাদের স্বৈরাচার আমলের সংবিধান সংস্কার করতে নিয়েছিল তিন বছর। আমাদের আর এক বছর এই আলাপ করার জন্য তৈরি থাকতে হবে।
আমাদের দেশকে স্থিতিশীল রাখতে ও জাতীয় ঐক্য তৈরি করতে সামনের গণভোট জুলাই সনদকে জন–আকাঙ্ক্ষা হিসেবে বৈধতা দেবে এবং পরবর্তী সংসদকে সেই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার করার ক্ষমতা দেবে। যেসব প্রস্তাবে সব দলের ঐকমত্য আছে, সেসব প্রস্তাব দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাস করবে; যেসব বিষয়ে আপত্তি আছে, সেসব বিষয়ে আগামী সংসদকে প্রয়োজনীয় আলাপ করে ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে হবে। সেই চেষ্টা ঐকমত্যের কাছাকাছি পৌঁছালে নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে তাঁরা জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নের জন্য দুই–তৃতীয়াংশের সম্মতিতে পাস করবেন।
আমাদের সবাইকে, বিশেষ করে ঐকমত্য কমিশনকে মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্র খুব নাজুক পরিস্থিতিতে আছে। অতএব সমস্যার সমাধানের দিকে না থেকে সমস্যার কারণ হয়ে উঠলে দেশ মহা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাবে। ইতিহাস এ প্রক্রিয়াকে কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবেই চিহ্নিত করবে। সেই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতি ডেকে না এনে, তাড়াহুড়া না করে দুই ধাপে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করাই এখন কমিশনের কর্তব্য।
সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কর্মী
মতামত লেখকের নিজস্ব