কনসার্টে ফিরছে অড সিগনেচার। আগামী ১ আগস্ট রাজধানীর কৃষিবিদ মিলনায়তনে (কেআইবি) ‘অড সিগনেচার দ্য কামব্যাক’ শিরোনামের কনসার্ট দিয়ে ফিরছে তারা। এদিন বেলা তিনটায় শুরু হবে কনসার্ট। গত বছর সিলেটে এক কনসার্টে যাওয়ার পথে নরসিংদীতে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ব্যান্ডের গিটারিস্ট ও ভোকাল আহাসান তানভীর পিয়াল এবং মাইক্রোবাসের চালক আবদুস সালাম মারা যান, আহত হন ব্যান্ডের আরও তিন সদস্য। ব্যান্ডটি এরপর অনির্দিষ্ট বিরতিতে চলে যায়। এক বছর পর আবার কনসার্টে ফিরছে তারা।
আরও পড়ুনভক্তদের ডাকে ফিরছে ‘অড সিগনেচার’০২ এপ্রিল ২০২৫বেশ কয়েক মাস ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংগীতবিষয়ক বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে নিয়মিতই অড সিগনেচারকে ফেরার আকুতি জানাচ্ছিলেন ভক্তরা। কিন্তু মানসিক ট্রমা ও পরিবার থেকে অনুমতি না পাওয়ায় ফেরা হচ্ছিল না। তবে চলতি বছরের মে মাসে ভক্তদের ডাকে সাড়া দিয়ে ‘জগৎ মঞ্চ’ শিরোনামের একটি গান দিয়ে আবারও গানের দুনিয়ায় ফেরে অড সিগনেচার। তবে কনসার্ট কার্যক্রম বন্ধই ছিল। অবশেষে কনসার্টে ফেরার সুখবর দিয়েছে তারা। কনসার্টটি নিয়ে ব্যান্ডের কি-বোর্ডিস্ট ও ভোকাল অমিতাভ প্রথম আলোকে বলেন, ‘একক কনসার্ট হলেও অতিথি কয়েকজন শিল্পীও পারফর্ম করবেন। পরিচিত গানের সঙ্গে অপ্রকাশিত কিছু গানও প্রকাশ করা হবে।’
অমিতাভ আরও জানান, ব্যান্ডের নতুন সদস্য, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা—সবকিছু কনসার্টের দিনই আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন তাঁরা।
২০১৭ সালে যাত্রা করে অড সিগনেচার তরুণ শ্রোতাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। তাদের ‘আমার দেহখান’ গানটি অনুরাগীদের ছাপিয়ে সাধারণ মানুষের মুখে মুখেও ফেরে। এর বাইরে ‘ঘুম’, ‘প্রস্তাব’, ‘দুঃস্বপ্ন’, ‘মন্দ’ শিরোনামের গানগুলোও শ্রোতাদের মধ্যে সাড়া ফেলে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কনস র ট
এছাড়াও পড়ুন:
গবেষণাকে বাজারমুখী করতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ত্রিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর
গবেষণাকে বাজারমুখী করতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ত্রিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরদেশ উদ্ভাবনভিত্তিক ও জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতিতে রূপান্তরের লক্ষ্য সামনে রেখে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ডিজিটাল ব্রিজ পার্টনার্স এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় কৌশলগত গবেষণা অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
মঙ্গলবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের “গবেষণা থেকে বাজারে” কর্মসূচির আওতায় গৃহীত এই সহযোগিতার মূল লক্ষ্য দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উদ্ভাবিত জ্ঞানকে বাজারযোগ্য প্রযুক্তিতে রূপান্তর নিশ্চিত করা। একইসঙ্গে শিল্প খাতে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও তথ্যনির্ভর উদ্ভাবন এগিয়ে নেওয়া এবং তথ্য-প্রমাণভিত্তিক নীতিনির্ধারণ উৎসাহিত করাও এ উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত।
চুক্তির আওতায় জলবায়ু সহনশীলতা, শিল্প রূপান্তর, উদ্ভাবনভিত্তিক গবেষণা, তথ্যনির্ভর প্রযুক্তি উন্নয়নসহ জাতীয় অগ্রাধিকারসম্পন্ন খাতে যৌথভাবে গবেষণা, পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়, সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বয়ে জ্ঞান ও প্রযুক্তি হস্তান্তর, গবেষণালব্ধ ফলাফল জাতীয় পর্যায়ে প্রয়োগ এবং ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ ও সম্পদ সংগ্রহের সুযোগও তৈরি হবে।
চুক্তিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে অতিরিক্ত সচিব জনাব আবু সাঈদ মোঃ কামরুজ্জামান এনডিসি, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্টের প্রধান আফসানা চৌধুরী এবং ডিজিটাল ব্রিজ পার্টনার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাবিল চৌধুরী ও হায়দার আনোয়ার স্বাক্ষর করেন।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেনসহ ডিজিটাল ব্রিজ পার্টনার্স এবং সেন্টার ফর এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্টের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম//