২ / ৭বিস্তৃর্ণ খেতে পাশাপাশি দুটি কাকতাড়ুয়া
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অ্যামাজন ৩০ হাজার করপোরেট কর্মী ছাঁটাই করছে
যুক্তরাষ্ট্রের ই–কমার্সের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন ৩০ হাজার করপোরেট কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে। মহামারির ব্যাপক চাহিদার সময় অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগের ক্ষতিপূরণ দিতে এবং খরচ কমাতে প্রতিষ্ঠানটি এই পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানা গেছে। আজ মঙ্গলবার থেকে এই ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে অ্যামাজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ছাঁটাই পরিকল্পনার এই সংখ্যা অ্যামাজনের মোট ১৫ লাখ ৫০ হাজার কর্মীর একটি ক্ষুদ্র অংশ। তবে প্রতিষ্ঠানটির করপোরেট কর্মী প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার। ফলে করপোরেট অংশের কথা চিন্তা করলে এই ছাঁটাইয়ের সংখ্যা প্রায় ১০ শতাংশ। ফলে ২০২২ সালের পর এটি হবে সবচেয়ে বেশি কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনা। ২০২২ সালের শেষের দিকে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ২৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছিল।
রয়টার্সের পক্ষ থেকে অ্যামাজনের এক মুখপাত্রের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অ্যামাজন দুই বছর ধরে ডিভাইস, যোগাযোগ এবং পডকাস্টিংসহ একাধিক বিভাগে কিছু কিছু কর্মী ছাঁটাই করে আসছে। চলতি সপ্তাহে শুরু হতে যাওয়া ছাঁটাইয়ের মধ্যে পিপল এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (পিএক্সটি) নামে পরিচিত মানবসম্পদ বিভাগ; অপারেশনস, ডিভাইস অ্যান্ড সার্ভিসেস এবং অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মী পড়তে পারেন।
তিনটি সূত্র আরও জানিয়েছে, ওই সব বিভাগের ব্যবস্থাপকদের ই–মেইল নোটিফিকেশন পাঠানো রয়েছে। এতে কর্মীদের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করতে হবে, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য তাঁদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
অ্যামাজনের সিইও অ্যান্ডি জ্যাসি বাড়তি আমলাতন্ত্র এড়াতে একটি উদ্যোগ নিয়েছেন, যার মধ্যে ব্যবস্থাপকের সংখ্যা কমানোও অন্তর্ভুক্ত। অদক্ষ কর্মী চিহ্নিত করতে তিনি একটি বেনামি অভিযোগ লাইন স্থাপন করেছেন।
জ্যাসি জুনে বলেছিলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের কারণে ভবিষ্যতে সম্ভবত আরও কর্মী ছাঁটাই করা হতে পারে। বিশেষ করে পুনরাবৃত্তিমূলক ও রুটিন কাজ স্বয়ংক্রিয় করার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
ইমার্কেটার বিশ্লেষক স্কাই ক্যানাভেস বলেছেন, সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অ্যামাজন সম্ভবত এআই-চালিত কাজের ক্ষেত্রে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করছে।
এই দফার কর্মী ছাঁটাইয়ের পূর্ণ পরিধি তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট ছিল না। সূত্রগুলো জানিয়েছে, অ্যামাজনের আর্থিক পরিস্থিতির সঙ্গে সংগতি রেখে কর্মী ছাঁটাইয়ের সংখ্যা পরিবর্তিত হতে পারে। এর আগে ফরচুনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, মানবসম্পদ বিভাগকে প্রায় ১৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের লক্ষ্য দেওয়া হতে পারে।
সূত্রগুলো জানাচ্ছে, এই ছাঁটাইয়ের আরেকটি কারণ হলো, চলতি বছরের শুরুর দিকে কর্মীদের সপ্তাহে পাঁচ দিন অফিসে ফিরিয়ে আনার যে কর্মসূচি শুরু হয়েছিল, তা প্রযুক্তিক্ষেত্রে সবচেয়ে কঠিন পদক্ষেপের একটি। বাড়িতে বসে কাজ করার কারণে যাঁরা প্রতিদিন অফিসে আসছেন না, তাঁদের কাউকে কাউকে বলা হচ্ছে, তাঁরা স্বেচ্ছায় অ্যামাজন ছেড়ে দিয়েছেন। তাঁদের কোনো ছাঁটাই ভাতা ছাড়াই চলে যেতে হবে। এতে প্রতিষ্ঠানটির কিছু আর্থিক সঞ্চয়ের সুযোগ তৈরি হবে।
প্রযুক্তি খাতে কর্মী ছাঁটাই ট্র্যাক করা ওয়েবসাইট Layoffs.fyi–এর হিসাবমতে, চলতি বছরে ২১২টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৯৮ হাজার কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার।
সোমবার অ্যামাজনের শেয়ার ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ২২৬ দশমিক ৯৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। কোম্পানিটি আগামী বৃহস্পতিবার তৃতীয় প্রান্তিকের আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারে।