গবেষণাকে বাজারমুখী করতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ত্রিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরদেশ উদ্ভাবনভিত্তিক ও জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতিতে রূপান্তরের লক্ষ্য সামনে রেখে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ডিজিটাল ব্রিজ পার্টনার্স এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় কৌশলগত গবেষণা অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

মঙ্গলবার  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের “গবেষণা থেকে বাজারে” কর্মসূচির আওতায় গৃহীত এই সহযোগিতার মূল লক্ষ্য দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উদ্ভাবিত জ্ঞানকে বাজারযোগ্য প্রযুক্তিতে রূপান্তর নিশ্চিত করা। একইসঙ্গে শিল্প খাতে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও তথ্যনির্ভর উদ্ভাবন এগিয়ে নেওয়া এবং তথ্য-প্রমাণভিত্তিক নীতিনির্ধারণ উৎসাহিত করাও এ উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত।

চুক্তির আওতায় জলবায়ু সহনশীলতা, শিল্প রূপান্তর, উদ্ভাবনভিত্তিক গবেষণা, তথ্যনির্ভর প্রযুক্তি উন্নয়নসহ জাতীয় অগ্রাধিকারসম্পন্ন খাতে যৌথভাবে গবেষণা, পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়, সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বয়ে জ্ঞান ও প্রযুক্তি হস্তান্তর, গবেষণালব্ধ ফলাফল জাতীয় পর্যায়ে প্রয়োগ এবং ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ ও সম্পদ সংগ্রহের সুযোগও তৈরি হবে।

চুক্তিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে অতিরিক্ত সচিব জনাব আবু সাঈদ মোঃ কামরুজ্জামান এনডিসি, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্টের প্রধান আফসানা চৌধুরী এবং ডিজিটাল ব্রিজ পার্টনার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাবিল চৌধুরী ও হায়দার আনোয়ার স্বাক্ষর করেন।

স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.

আনোয়ার হোসেনসহ ডিজিটাল ব্রিজ পার্টনার্স এবং সেন্টার ফর এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্টের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ভ ব

এছাড়াও পড়ুন:

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী অজয় চন্দ্র বর্মণের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল শুরু করেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে দিয়ে ঘুরে গোলচত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন—‘প্রহসনের বহিষ্কার, মানি না মানব না’, ‘অজয়ের বহিষ্কারাদেশ, প্রত্যাহার করতেই হবে’, ‘জাস্টিস ফর অজয় বর্মণ’ ইত্যাদি।

মানববন্ধনে বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জুয়েল হোসেন বলেন, ‘অজয় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে ছিল। অস্ত্র ও মাদকসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে প্রশাসনের এই অযৌক্তিক বহিষ্কার পুনর্বিবেচনার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা প্রশাসনের কাছে কয়েকবার গিয়েছি, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।’

একই বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ বলেন, ‘প্রশাসন আপিলের সুযোগ দিয়েছে। আমরা বলছি, অজয় কোনো মাদক ও অস্ত্রের সঙ্গে জড়িত নয়। এই বহিষ্কারাদেশ অন্যায্য। আমাদের জুনিয়রের ওপর এমন অবিচার হতে দেব না। আমরা বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দিচ্ছি, দ্রুত সময়ে অজয়ের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনের দিকে যাব।’

২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ২৩৭তম সভায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং আবাসিক হলে অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে ৫৪ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে শাহপরাণ হলের কক্ষে অস্ত্র ও মাদক রাখার অভিযোগে অজয় চন্দ্র বর্মণকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। অজয় চন্দ্র বর্মণ বাংলা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ