রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

নিহত আবুল কালাম আজাদের (৩৫) স্ত্রী আইরিন আক্তার পিয়া বাদী হয়ে গতকাল রোববার রাতেই তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. ইবনে মিজান।

গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফার্মগেট এলাকায় ফুটপাত দিয়ে হাঁটছিলেন আবুল কালাম আজাদ। এ সময় মেট্রোরেল স্টেশনের পশ্চিম পাশে ৪৩৩ নম্বর পিলারের ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে তাঁর মাথায় লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

আরও পড়ুনবিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে ফার্মগেটে একজন নিহত, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ২৬ অক্টোবর ২০২৫

স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তান নিয়ে আবুল কালাম নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলি এলাকায় থাকতেন। রাজধানীর মতিঝিলের একটি ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে কাজ করতেন তিনি। তার বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঈশ্বরকাঠি গ্রামে। আজ নড়িয়ায় তাঁকে দাফন করা হয়।

আরও পড়ুননিহত কালামের দাফন, ‘দুই সন্তান নিয়ে কোথায় দাঁড়াব’—স্ত্রীর প্রশ্ন৯ ঘণ্টা আগে

গতকাল আবুল কালামের মৃত্যুর পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা চলছে, কার গাফিলতিতে এই মৃত্যু ঘটল। গতকাল ঘটনার পরপরই সেতু বিভাগ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান নিহত আবুল কালামের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেন।

আরও পড়ুনউন্নয়নের শহরে সস্তা মৃত্যু ও আমাদের ‘লোকদেখানো’ শোক২৬ অক্টোবর ২০২৫আরও পড়ুনজীবনের দাম যখন আড়াই ভরি সোনার সমান৫ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

তানজিমের আক্ষেপ, ‘যদি একজন ব্যাটসম্যানও দাঁড়িয়ে যেত’

তানজিম হাসানের কণ্ঠে আফসোস, ‘ম্যাচটা যদি শেষ করে আসতে পারতাম...’। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়াম ছেড়ে যাওয়ার সময় এমন একটা আক্ষেপ হয়তো বাংলাদেশের সব সমর্থকদের ভেতরেই—কোনো একজন ব্যাটসম্যান যদি ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারতেন! ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলার পরও যে শেষ দুই ওভারে জয়ের সমীকরণটা নেমে এসেছিল ৩০ রানে।
চট্টগ্রামে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে যা খুব কঠিন কাজও ছিল না। কিন্তু তখন হাতে উইকেট ছিল আর একটি। তবুও সম্ভাবনাটা ছিল শেষ পর্যন্ত। তাসকিন আহমেদের হিট আউট হওয়া বলটাও তো রশির ওপর দিয়ে চলে গিয়েছিল সীমানার ওপারে। তিনি আউট না হলে সমীকরণটা নেমে আসত ২ বলে ১১ রানে। কে জানে, তখন কী হতো!
বাংলাদেশের জন্য কাজটা আসলে কঠিন করে দিয়ে গিয়েছিলেন ওপরের দিকের ব্যাটসম্যানরা। সেটি ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেছেন তানজিম হাসানও, ‘আপনি যদি দেখেন, শেষের দিকে শিশির থাতায় বল অনেক সহজে ব্যাটে আসছিল। আমার কাছে মনে হয়, যদি একটা সেট ব্যাটসম্যান থাকত, তাহলে খেলাটা সহজ হয়ে যেত। কারণ, শেষ দুই ওভারে ৩০ রান লাগত, একটা ব্যাটসম্যান থাকলে সব সময় এই ম্যাচ হাতের মধ্যে থাকে।’
বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটা এত দূর নিয়ে এসেছে আসলে তানজিম হাসানের সঙ্গে নাসুম আহমেদের জুটি। সপ্তম উইকেট জুটিতে ২৩ বলে দুজন মিলে করেছেন ৪০ রান। তবে ম্যাচটা কাছাকাছি আনার তৃপ্তি নয়, ২৭ বলে ৩৩ রান করা তানজিমের কণ্ঠে শোনা গেল না জেতাতে পারার আফসোস। কাল তিনি বলেছেন, ‘আসলে শেষ করতে পারলে খুব ভালো লাগত। কারণ, আমি পুরো সেট ছিলাম, বল অনেক ভালো ব্যাটে লাগছিল। নাসুম ভাইও আমাকে ভালো সাপোর্ট দিচ্ছিলেন, বাউন্ডারি মারছিলেন। মনে হচ্ছিল আমি একটা ব্যাটসম্যানকে নিয়ে ব্যাটিং করছি।’

তানজিম হাসান কাল ভালো ব্যাটিং করেছেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ