১ মিনিটে ১১টি বোতলের ছিপি খুলে ফেলল কুকুর
Published: 7th, August 2025 GMT
পোষা প্রাণী হিসেবে কুকুরের বেশ কদর রয়েছে। দৈনন্দিন জীবনে মানুষের অনেক উপকারে আসে এই প্রাণী। এ কারণে অনেকে কুকুরকে পরিবারের সদস্য বলে মনে করেন। রোগশোকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। আনন্দের মুহূর্ত একসঙ্গে উপভোগ করেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একজন নারী তাঁর পোষা কুকুরের জন্মদিন উদ্যাপন করেন। ওই অনুষ্ঠানে এক মিনিটে ১১টি প্লাস্টিকের বোতলের ছিপি খুলে ফেলে কুকুরটি। এর মাধ্যমে কুকুরটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের স্বীকৃতি অর্জন করে।
টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা সত্যপ্রিয়া ঈশ্বরনের পোষা কুকুরের নাম জেরি। চতুর্থ জন্মদিনে নিজের দক্ষতার পরীক্ষা দেয় পোষা কুকুরটি। পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১ মিনিটে সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিকের বোতলের ছিপি খোলার আনুষ্ঠানিক রেকর্ড গড়ে সে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, প্রিয়া ঈশ্বরন কার্পেটের ওপর পানির খালি বোতল ছুড়ে দিচ্ছেন। আর জেরি বোতলের পেছনের অংশ পা দিয়ে চেপে ধরে ছিপি খুলে ফেলছে। বোতল ছুড়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অত্যন্ত ক্ষিপ্রতার সঙ্গে এই কাজ করছে সে।
সত্যপ্রিয়া ঈশ্বরন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে বলেন, ‘কুকুরটিকে কোনো ধরনের অনুশীলন করানো হয়নি। এটা জেরির স্বভাবজাত গুণ। আমরা তাকে বোতল দিলেই সে বোতলের ছিপি খুলতে পছন্দ করে। কোনো ধরনের বিশেষ প্রশিক্ষণ ছাড়াই সে একটা করতে পারে। সে খুবই মনোযোগী। সে নিজেকে নিজেই চ্যালেঞ্জ দেয়। তাকে কোনো কাজ দেওয়া হলে নিখুঁতভাবে করে দেয়।
ঈশ্বরন বলেন, প্রথমবার জেরিকে একটি বোতল খেলতে দেওয়ার পরপরই তাঁরা তার এই প্রতিভা বুঝতে পারেন। এখন প্লাস্টিকের বোতলই তার প্রিয় খেলনা। তিনি বলেন, সে সব সময় অনেক চ্যালেঞ্জ নিতে চায়, অনেক কাজ করতে চায়। এটি তার প্রেরণা, আর সে একটানা তা করে যায়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যে রানিকে ‘জীবন্ত দেবী’ হিসেবে গণ্য করা হতো
প্রাচীন মিশরের ১৮তম রাজবংশের একজন শক্তিশালী রানী এবং ফারাও আখেনাতেনের প্রধান রাজমহিষী ছিলেন রানি নেফারতিতি ছিলেন। এই নারী তার সৌন্দর্যের কারণে অধিক পরিচিত। এ ছাড়া ইতিহাসে তার অবস্থান শক্তিশালী হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে, তিনি মিশরে একেশ্বরবাদী ধর্মীয় বিপ্লবে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন।
নেফারতিতি নামের অর্থ ‘‘একজন সুন্দরী নারী এসেছেন’’। নেফারতিতির জন্ম আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ১৩৭০ অব্দে।
আরো পড়ুন:
সঞ্চয় করার কিছু কার্যকর উপায়
আজ পুরুষদের রান্না করার দিন
জানা যায়, নেফারতিতির বাবা ছিলেন ফারাও আখেনাতেনের উপদেষ্টা এবং তিনিই কিশোর রাজকুমার আখেনাতেনের দেখাশোনা করতেন। বাবার সুবাদে শৈশবেই রাজকুমারের সঙ্গে পরিচয় হয় নেফারতিতির এবং অল্প বয়সেই তিনি আখেনাতেনের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে গড়ে তোলেন। ১৫ বছর বয়সে রাজকুমারের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। ক্রমে ফারাও আখেনাতেনের জীবনে অত্যন্ত গভীর প্রভাব বিস্তার করেন এই রানি।
আখেনাতেন মিশরের ঐতিহ্যবাহী বহু-ঈশ্বরবাদী ধর্ম পরিবর্তন করে ‘আতেন’ বা সূর্য দেবতার একেশ্বরবাদী পূজার প্রচলন করেছিলেন। এই ধর্মীয় পরিবর্তনে নেফারতিতি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং তাকে জীবন্ত দেবী হিসেবে গণ্য করা হতো।
আখেনাতেনের রাজত্বকালে নেফারতিতি একজন ফারাওয়ের মতোই ক্ষমতা এবং মর্যাদা ভোগ করতেন। অনেক ভাস্কর্য ও চিত্রে তাকে ফারাওদের মতো ক্ষমতা প্রদর্শন করতে দেখা যায়। বার্লিনের একটি জাদুঘরে সংরক্ষিত নেফারতিতির একটি মার্জিত এবং রঙিন আবক্ষ মূর্তি প্রাচীন মিশরীয় শিল্পের অন্যতম পরিচিত নিদর্শন।
আখেনাতেনের রাজত্বের প্রায় ১২ বছর পর হঠাৎ করেই নেফারতিতি ইতিহাস থেকে অদৃশ্য হয়ে যান। তার মৃত্যু সম্পর্কে খুব কম তথ্য জানা যায় এবং তার সমাধি আজও আবিষ্কৃত হয়নি, যা প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে একটি অনেক বড় রহস্য।
সূত্র: ব্রিটানিকা কিডস অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি