আহ্ছানউল্লা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে পূর্বালী ব্যাংক একটি মাইক্রোবাস উপহার দিয়েছেন।

বুধবার (৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল হকের হাতে মাইক্রোবাসের চাবি হস্তান্তর করেন পূর্বালী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ আলী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড.

গোলাম রহমান, সদস্য ড. মো. খলিলউল্লাহ, মো. সাজেদুল কাইয়ুম দুলাল, অধ্যাপক ড. মো. মহিউদ্দিন, ড. এম. এ জলিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মেদ মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শারমিন রেজা চৌধুরী।

আরো পড়ুন:

জবিতে বাস সংকট চরমে, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

বিশ্বের ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল ফাউন্ডেড স্কলারশিপ পেলেন বেরোবি শিক্ষার্থী

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল হক বলেন, “পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে একটি মাইক্রোবাস উপহার দেওয়ার জন্য পূর্বালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এই মাইক্রোবাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”

তিনি বলেন, “শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ উন্নয়নে এ ধরনের সহায়তা আমাদের অগ্রযাত্রাকে আরো গতিশীল করবে। পূর্বালী ব্যাংকের এই উদারতাপূর্ণ উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয় ও কর্পোরেট খাতের মধ্যে একটি দৃঢ় বন্ধন স্থাপন করেছে, যা ভবিষ্যতে আরো নানা যৌথ উদ্যোগের পথ সুগম করবে।”

আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান পূর্বালী ব্যাংক কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়কে মাইক্রোবাস উপহার দেওয়ার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

তিনি বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পরিবহন সুবিধায় সহায়তা করার মাধ্যমে পূর্বালী ব্যাংক একটি শিক্ষাবান্ধব ও সমাজকল্যাণমুখী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ ধরনের উদ্যোগ শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, পুরো সমাজেই ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দেয়।”

অন্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ইনচার্জ) অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদুর রহমান, ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুর রহমান প্রমুখ।

ঢাকা/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহ ছ ন রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

যে রানিকে ‘জীবন্ত দেবী’ হিসেবে গণ্য করা হতো

প্রাচীন মিশরের ১৮তম রাজবংশের একজন শক্তিশালী রানী এবং ফারাও আখেনাতেনের প্রধান রাজমহিষী ছিলেন রানি নেফারতিতি ছিলেন। এই নারী তার সৌন্দর্যের কারণে অধিক পরিচিত। এ ছাড়া ইতিহাসে তার অবস্থান শক্তিশালী হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে, তিনি  মিশরে একেশ্বরবাদী  ধর্মীয় বিপ্লবে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন।

নেফারতিতি নামের অর্থ ‘‘একজন সুন্দরী নারী এসেছেন’’। নেফারতিতির জন্ম আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ১৩৭০ অব্দে। 

আরো পড়ুন:

সঞ্চয় করার কিছু কার্যকর উপায়

আজ পুরুষদের রান্না করার দিন

জানা যায়, নেফারতিতির বাবা ছিলেন ফারাও আখেনাতেনের উপদেষ্টা এবং তিনিই কিশোর রাজকুমার আখেনাতেনের দেখাশোনা করতেন। বাবার সুবাদে শৈশবেই রাজকুমারের সঙ্গে পরিচয় হয় নেফারতিতির এবং অল্প বয়সেই তিনি আখেনাতেনের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে গড়ে তোলেন। ১৫ বছর বয়সে রাজকুমারের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। ক্রমে ফারাও আখেনাতেনের জীবনে অত্যন্ত গভীর প্রভাব বিস্তার করেন এই রানি। 

আখেনাতেন মিশরের ঐতিহ্যবাহী বহু-ঈশ্বরবাদী ধর্ম পরিবর্তন করে ‘আতেন’ বা সূর্য দেবতার একেশ্বরবাদী পূজার প্রচলন করেছিলেন। এই ধর্মীয় পরিবর্তনে নেফারতিতি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং তাকে জীবন্ত দেবী হিসেবে গণ্য করা হতো।

আখেনাতেনের রাজত্বকালে নেফারতিতি একজন ফারাওয়ের মতোই ক্ষমতা এবং মর্যাদা ভোগ করতেন। অনেক ভাস্কর্য ও চিত্রে তাকে ফারাওদের মতো ক্ষমতা প্রদর্শন করতে দেখা যায়। বার্লিনের একটি জাদুঘরে সংরক্ষিত নেফারতিতির একটি মার্জিত এবং রঙিন আবক্ষ মূর্তি প্রাচীন মিশরীয় শিল্পের অন্যতম পরিচিত নিদর্শন।

আখেনাতেনের রাজত্বের প্রায় ১২ বছর পর হঠাৎ করেই নেফারতিতি ইতিহাস থেকে অদৃশ্য হয়ে যান। তার মৃত্যু সম্পর্কে খুব কম তথ্য জানা যায় এবং তার সমাধি আজও আবিষ্কৃত হয়নি, যা প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে একটি অনেক বড় রহস্য। 

সূত্র: ব্রিটানিকা কিডস অবলম্বনে

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ