সংগীতশিল্পী তাহসান খান সম্প্রতি সংগীতাঙ্গন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এতে তাঁর ভক্ত ও সহকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। কেউ এই বিদায় মেনে নিতে পারছেন না। কেউ জানাচ্ছেন প্রিয় তারকাকে শুভেচ্ছা। তাহসানের সংগীতজীবন থেকে বিদায়ে ফেসবুক প্রতিক্রিয়ায় অভিমানী হয়ে ধরা দিলেন অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ।

প্রিয় তারকার কথা স্মরণ করে শৈশবে ফিরেছেন প্রসূন। তিনি লিখেছেন, ‘আমি বহু আগে থেকে আপনার ভক্ত। এই জমানার ফ‍্যান নই। যে সময়ে টিফিনের টাকা জমিয়ে রাখতাম আপনার অফবিট ক্যাসেট, সিডিটা কিনব বলে, আমি সেই সময়ের ফ্যান। যার স্কুল ব‍্যাগের সাদা মার্কারে লেখা থাকত “তাহসান‍ প্লাস প্রসূন”। আমি আপনার তেমন একজন ভক্ত।’

পল্টন পুলিশ কোয়াটারের দেয়ালজুড়ে লেখা ছিল তাহসান। শত হাজার বিচার সালিস সহ্য করে লেখাগুলো মুছতে দিইনি আমি। আমি আপনার সেই ফ‍্যান।তাহসান খান। ছবি: শিল্পীর সৌজন্যে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

বিচারকের ছেলের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে: চিকিৎসক

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনের (১৬) মৃত্যু হয়েছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে। ধারালো ও চোখা অস্ত্রের আঘাতে তার শরীরের তিনটি স্থানে রক্তনালী কেটে গিয়েছিল। এর ফলে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণও হয়েছিল।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকাল পৌনে দশটায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত শুরু হয়। ময়নাতদন্ত করেন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. কফিল উদ্দিন ও একই বিভাগের প্রভাষক শারমিন সোবহান কাবেরী। ময়নাতদন্ত করতে প্রায় ৩০ মিনিট সময় লাগে।

এসময় বাইরে অপেক্ষা করছিলেন তাওসিফের বাবা বিচারক আব্দুর রহমান। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক কফিল উদ্দিন বেরিয়ে এসে তার সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়া পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন। 

ময়নাতদন্তকারী ওই চিকিৎসক জানান, তাওসিফের ডান উরু, ডান পা ও বা বাহুতে ধারালো ও চোখা অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। এই তিনটি জায়গায় রক্তনালী আছে। সেগুলো কেটে গিয়েছিল। এ কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণও ছিল শরীরে। তারা মনে করছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। 

পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে তাওসিফের গলায় কালশিরা দাগ আছে বলে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বলেন, “নরম কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধের কারণে এই দাগটি হতে পারে। তবে এটি মৃত্যুর প্রধান কারণ নয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও শ্বাস রোধে হত্যার চেষ্টা একই সময়ে হয়েছে।” 

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী নগরের ডাবতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় খুন হয় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাওসিফ। হামলাকারী লিমন মিয়া (৩৫) তাদের পূর্ব পরিচিত। তার হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাওসিফের মা তাসমিন নাহার লুসী (৪৪)। এছাড়া ধস্তাধস্তিতে হামলাকারী নিজেও আহত হয়ে হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।

তাওসিফের মরদেহ দাফনের জন্য জামালপুরে গ্রামের বাড়ি নেওয়া হবে।

ঢাকা/কেয়া/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ